দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কারে সম্মানিত হতে চলেছেন মিঠুন চক্রবর্তী। ৩০ সেপ্টেম্বর, সোমবার সক্কাল সক্কাল টুইট করে এই সুখবর শোনান কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। প্রসঙ্গত, এর আগে বাঙালি হিসাবে দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার পেয়েছিলেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। আর এবার এই পুরস্কার যাচ্ছে আরও এক বাঙালির কাছে। আর তিনি হলেন মিঠুন চক্রবর্তী। এই পুরস্কার প্রাপক হিসাবে তাঁর নাম ঘোষণা হওয়ায় আপ্লুত বলে জানান 'মহাগুরু'।🌃
দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার পাওয়ার প্রতিক্রিয়ায় ঠিক কী বলেছেন মিঠুন চক্রবর্তী?
এদিন আবেগতাড়িত মিঠুন বলেন, ‘কখনও ভাবিনি ফুটপাতের একটা ছেলে এত বড় সম্মান পাবে। আমি কলকাতার অন্ধ গলি, সেখান থেকে উঠে এসেছি। মুম্বইয়ের রাস্তার ফুটপাতে থেকে⭕ছি। কখনও কল্পনা করতে পারিনি, এতবড় একটা সম্মান পাব। বিশ্বাস করুন, আমি আক্ষরিক অর্থেই হতবাক। আমি হাসতেও পাচ্ছি না, কাঁদতেও পাচ্ছি না। এমন একটা সম্মান দিলে কে কী বলবে, কেউই কিছু বলতে পারে না। আমি এই পুরস্কার আমার পরিবার ও বিশ্বজুড়ে থাকা আমার অগণিত ভক্তকে উৎসর্গ করছি।’
মিঠুনের কথায়, ‘আমি শুধু আমার সেই অনুরাগীদের বলতে চাই, যাঁরা এক্কেবারেই আর্থিকভাবে শক্তিশাꦍলী নয়, ♐যে আমি যদি এখানে পৌঁছতে পারি, তাহলে আপনারাও পারবেন।’
আরও পড়ুন-ভারতীয় সিনেমায় অবদানের জন্য দাদাসাহেব ফালকে পুর🐈স্কার পাচ্ছেন মিঠুন চক্রবর্তী
প্রসঙ্গত ৩০ সেপ্টেম্বর, সোমবার সকালে অশ্বিনী বৈষ্ণব এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, ‘দাদাসাহেব ফালকে বাছাই জুরি কিংবদন্তি অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তীকে ভারতীয় চলচ্চিত্রে তাঁর আইকনিক অবদানের জন্য পুরস্কৃত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ৮ অক্টোবর ৭০তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে তাঁর হাতে ♕এই পুরস্কার তꦐুলে দেওয়া হবে।’
অশ্বিনী বৈষ্ণব আরও লেখেন, 'মিঠুন দা'র অসাধারণ সিনেম্যাটিক সফর সব প্রজন্মের কাছে অনুপ্রেরণা। সিলেকশন জুরি কিংবদন্তি অভিনেতাকে দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ভারতীয় চলচ্চিত্রে মিঠুনজি'র অসামান্ꦯয অবদান রয়েছে।'
প্রসঙ্গত, এর আগে ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে, তিনি ভারত সর🌸কার কর্তৃক তৃতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান পদ্মভূষণে ভূষিত হয়েছিলেন মিঠুন চক্রবর্তী।
১৯৭৬ সালে মৃণাল সেনের 'মৃগয়া' ছবির হাত ধরে সিনেমার দুনিয়া প্রথম পা রাখেন মিঠুন চক্রবর্তী। প্রথম ছবিতে অভিনয়ের পরই অসামান্য অভিনয় নৈপুণ্যের জন্য তিনি সেরা অভিনেতা হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছিলেন। পরবর্তী সময়ে তিনি বলিউডে পা রাখেন। ১৯৮২ সালের ডিস্কো ড্যান্সার ছবিকে ‘জিমি’র ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন, যা ভারত এবং সোভিয়েত🐎 ইউনিয়নের বক্স অফিসে একটি বড় সꩲাফল্য পেয়েছিল।