রাজকুমার সন্তোষীর ছবি ‘ব্যাড বয়’ দিয়ে অভিনয় জগতে ডেবিউ করতে চলেছেন মিঠুন চক্রবর্তীর ছেলে নমশি চক্রবর্তী। মঙ্গলবার ছবির প্রচারে কলকাতায় আসেন তিনি। আর সেখানেই সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় উঠে এল বাবার কথা। জানালেন, কীভাবে বাবাচ পরিচয় গোপন রেখে অডিশন দিতে যেতেন। ২০১৬ থেকে ২০১৯— শুধু লোকের কাছে ‘না’ শুনেছেন। তবুও সামনে আসতে দিতেন না মিঠুন চক্রবর্তীর ছেলের পরিচ🥂য়। নমশি কথায়, ‘‘আমাকে যা অপমান সহ্য করতে হয়েছে, বাবা তাঁর থেকে অনেক বেশি সহ্য করেছেন। শুনেছি বাবাকে অনেকে এমনও বলতেন মিঠুন নায়ক হলে তাঁরা পেশায় ইতি টানবেন। বাবা সবসময় তাই আমাকে বোঝাত, ‘সব সময় মনে রাখবে, তোমাকে আমার থেকে অন্তত ভা💎ল অপমান সহ্য করতে হচ্ছে’!’’
বর্তমানে মিঠুনের পরিচয় শুধু একজন অভিনেতা হিসেবে নয়, বাংলার মানুষের কাছে তিনি রাজনীতিবিদও। বিরোধী দলে। রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে মতানৈক্য লেগেই আছে। এমনকী মিঠুন থাকায় দেবের ‘প্রজাপতি’ নিয়েও তো কম বিতর্ক হয়নি! হল পায়নি নন্দনে। মিঠুন পুত্রকে ♉সে নিয়ে প্রশ্ন করা হলে জবাব আসে, বাবা যে রাজনৈতিক 🌞দলের সঙ্গেই থাকুন না কেন, বাংলার প্রতি ভালোবাসা বদলাবে না।
আনন্দবাজারের সঙ্গে কথা প্রসঙ্গে নমশি টানেন মোহন ভগবতের প্রসঙ্গ। যিনি একসময় ছিলেন আরএসএসের প্রধান। জানান একবার মিঠুনের আমন্ত্রণে মোহনজি এসেছিলেন তাঁদের মুম্বইয়ের বাড়িতে।🐭 মিঠুন ওঁদের লুচি-তরকারি খাইয়েছিলেন। যাতে মোহন অবাক হয়ে বলেছিলেন, ‘আরে উনি আমাদের পুরি-ভাজি খাওয়াচ্ছেন আর আধ্যাত্মিক কথা বার্তা বলছেন! উনি তো কোনও অনুরোধ করছেন না বা কিছু চাইছেন না! কী অদ্ভুত মানুষ।’ নমশি এরপর নিজের বক্তব্য যোগ করেন, ‘আমার বাবা এরকমই। বꦑাবা যেই রাজনৈতিক দলেই যোগ দিন না কেন, পশ্চিমবঙ্গের প্রতি বাবার ভালবাসা এতটুকু বদলাবে না।’
প্রসঙ্গত, মিঠুন এখন রয়েছেন রিয়েলিটি শো ডান্স বাংলা ডান্স-এর বিচারকের আসনে। সঙ্গে দীর্ঘ ১৩ বছর পর বাংলাদেশের ছবিতেও কাজ করতে চলেছেন তিনি। ছবির নাম হিরো। বাবা-মেয়ের সম্পর্কের সমীকরণ নিয়ে সে গল্প। চিত্রনাট্যকর আব্দুল জাহির বলেন, ‘তিন মাস ধরে আমাদ♍ের কথা চলছিল ছবির গল্প নিয়ে। আমরা আগেই চিত্রনাট্য পাঠিয়েছিলাম। রবিবার তা নিয়ে বিস্তারিত কথা হল।’ চলতি বছরের অক্টোবর মাসেই ফ্লোরে যাবে ছবি বলে শোনা যাচ্ছে।
(এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক )