দেশজুড়ে এখন ওটিটি প্ল্যাটফর্মের ছড়াছড়ি, তবে বিনোদনের এই মাধ্যমে সেন্সরশিপের কোনও বালাই নেই। এই কারণে মোদী সরকার ঠিক করে ফেলেছে ডিজিটাল মিডিয়া এবং ওটিটি প্ল্যাটফর্মের বিধি-বিধান বেঁধে দেওয়া হবে। নভেম্বর মাসেই নির্দেশিকা জারি করে নির্দে🐠শিকা জারি করে OTT প্ল্যাটফর্ম এবং অনলাইন নিউজ পোর্টালের কন্টেন্টে নজরদারির 🍰বিষয় সাফ করে দিয়েছিল কেন্দ্র। আপতত দেশজুড়ে ৪০টির বেশি ওটিটি (ওভার দ্য টপ) প্ল্যাটফর্ম রয়েছে, যেখানে নেটফ্লিক্স, আমাজন প্রাইম,ডিজনি প্লাস হটস্টার, জিফাইভের মতো মাল্টিন্যাশন্যাল সংস্থা গুলি রয়েছে।
অনলাইন ফিল্ম বা সিরিজ এবং নিউজ কন্টেন্টে স্ব-নিয়ন্ত্রণ আরোপের বিষয়টি এই মাসেই চূড়ান্ত হবে। তথ্য-সম্প্রচার মন্ত্রকের তরফে একটি নির্দিষ্ট বিধি জারি করা হবে,সেই নিয়ম মাফিক ডিজিটাল মিডিয়া নিজেদের নিয়ন্ত্রণ করবে। উচ্চপদস্থ এক সরকারি আধিকারিক জানিয়েছেন, ‘প্রিন্ট মিডিয়ার জন্য প্রেস কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়া রয়েছে, ফিল্মের জন্য সিবিএফসি রয়েছে, টিভি চ্যানেলগুলিও নিয়ন্ত্রিত হয় কেবল টিভি নেটওয়ার্ক রেগুলেশন আইনের আওতায়। তবে ডিজিটা🍰ল মিড🤡িয়া এতদিন পর্যন্ত কোনও নিয়ন্ত্রণের মধ্যে ছিল না, তবে শীঘ্রই এখানে অতিরিক্ত নিয়ন্ত্রণ আসতে চলেছে এর কনটেন্ট নিয়ে ওঠা একাধিক অভিযোগ নিরসন করতে’।
ভারতে ওটিটি প্ল্যাটফর্মের প্রায় ২০ কোটি গ্রাহক রয়েছেন, এ💮বং এই ১,০০০ কোটি টাকার মার্কেট ভ্যালু রয়েছে এই সেক্টরের। বেশ কিছু ওটিটি❀ প্ল্যাটফর্মের জন্য মাসিক বা বার্ষিক হিসাবে নির্দিষ্ট পরিমাণ সাবস্ক্রিবশন ফি দিতে হয়, তবে বেশিরভাগ ওটিটি প্ল্যাটফর্মই বিনামূল্যে দেখা যায়, কোনওরকম টাকা খরচ না করেও।
অপর এক সরকারি আধিকারিক জানিয়েছেন, তথ্য-সম্প্রচার মন্ত্রক এই বিষয়টিতে বিশেষভাবে জোর দিচ্ছে যাতে ওটিটি প্ল্যাটফর্মে নিয়ন্ত্রণের বিষয়টি এই সেক্টরের স্বাধীনতায় কোনওরকম হস্তক্ষেপ না করে। এতদিন পর্যন্ত ইন্টারনেট এবং ম♐োবাইল অ্যাসোশিয়েশন অফ ইন্ডিয়া ওটিটি প্ল্যাটফর্মগুলির প্রতিনিধিত্ব করে আসছে। যদিও তাদের তরফে স্ব-নিয়ন্ত্রণের জন্য যে পদ্ধতিগুলির কথা উপস্থাপন করা হয়েছে সেগুলি মাত্রাতিরিক্তভাবেই ওটিটি প্ল্যাটফর্মগুলির পক্ষে, অন্যদিকে গত এক বছর ধরে ওটিটি প্ল্যাটফর্মের কনটেন্ট নিয়ে একাধিক অভিযোগ জমা পড়েছে তথ্য-সম্প্রচার মন্ত্রকে। ওটিটিতে ব্যবহৃত ভাষা, একাধিক যৌনতাꦰ ভরা দৃশ্যের জেরে সেগুলিকে ‘সফট পর্ন’-এর তকমা দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত দেওয়ার অভিযোগও উঠেছে একাধিক ওটিটি কনটেন্টের বিরুদ্ধে। ফেক নিউজের বাড়-বাড়ন্ত ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মকে নিয়ন্ত্রণের অন্যতম কারণ।
এই মামলায় অস্ট্রেলিয়ার সকারের মডেল অনুকরণের কথা ভাবছে ভারত সরকার। যেখানে গুগল,ফেসবুকের মতো মাল্টিন্যাশন্যাল প্ল্যাটফর্মগুলি স্থানীয় কন✤টেন্টের জন্য অর্থ প্রদান করবে, অন্য﷽দিকে ইউটিউবের মতো টেক প্ল্যাটফর্মগুলিতে শুধুমাত্র সেইসব পার্টিই কনটেন্ট আপলোড করতে পারবে যাঁদের সঙ্গে সংস্থার চুক্তি রয়েছে।