দিনটা ছিল ২০২৩-এর ৯ মার্চ। সব নিয়ম নীতি মেনে বিয়েটা করেছিলেন গায়ক দুর্নিবার সাহা আর মোহর সেন। যে বিয়ে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় চর্চা কিছু কম হয়নি। কারণ, এটা ছিল দুর্নিবারের দ্বিতীয় বিয়ে। মোহর পেশায় প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের জনসংযোগ আধিকারিক। বুম্বাদার কাছে তিনি নিজের মেয়ের মতো তিনি। সেই মোহরকে গায়ক দুর্নিবার যখনไ বিয়ে করলেন, তা নিয়ে চর্চা তো হবেই!
তবে যে যাই বলুক না কেন,বিয়ের পর থেকে সুখেই সংসার করছেন দুর্নিবার-ঐন্দ্রিলা (মোহরের আসল নাম)। বি🦂য়ের ৮ মাসের মাথাতেই বাবা-মা হন দুর্নিবার-মোহর। আপাতত ছেলেকে নিয়ে সুখের সংসার তাঁদের। যদিও সোশ্যাল মিডিয়ায় এখনও চার মাসের ছেলের মুখ দেখাননি দুর্নিবার-মোহর। তবে খুদের টুকরো টুকরো ঝলক মাঝে মধ্যেই শেয়ার করেন তাঁরা। সে নাহয় হল, ছেলের বয়স ৪ মাসের কিছু বেশি, এরই মধ্যে ফের মা হতে চলেছেন মোহর? প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের জনসংযোগ আধিকারিকের বেবি বাম্পের ছবি পোস্ট ঘিরে নেটপাড়ায় সেই জল্পনায় ছড়িয়েছে। সত্যিই কি মা হচ্ছেন মোহর?
আজ্ঞে নাহ, একথা এক্কেবারেই💖 সত্যি নয়। মোহর সেন শুক🃏্রবার সক্কাল সক্কাল যে বেবি বাম্পের ছবি শেয়ার করেছেন, সেটা গতবছর ক্রিসমাসের সময় তোলা। অর্থাৎ মোহরের এটা প্রথম সন্তানের বেবি বাম্প। সেই পোস্ট করে ক্যাপশানে তিনি লেখেন, ‘গত ক্রিসমাসে আমি তোমায় হৃদয় দিয়েছিলাম।’
এর আগে গত রবিবার বেশ রাতের ছোট্ট ছেলে আর বর দুর্নিবারের একটা সাদা-কালো ছবিও শেয়ারꦉ করলেন ঐন্দ্রিলা সেন। ক্যাপশনে লিখেছিলেন, ‘তুঝসে মেরা জিনা মরনা, জান তেরে হাত ম্য𝓀ায়… তুমি সঠিক।’
টলিপাড়ায় কান পাতলেই জানা যায়, ২০২১-এর ডিসেম্বরে সামপ্লেস এলসে একটা শো শুনতে গিয়ে প্রথম আলাপ মোহর-দুর্নিবারের। মাস কয়েক যেতে না যেতে মোহরকে প্রেম প্রস্তাব দেন গায়ক। প্রথমদিকে সম্পর্ক চেপেই রেখেছিলেন। তবে এসব খবর কী আর চাপা যায়! এরপর ২০২৩-এর ৯ মার্চ বিয়ে করেছিলেন দুর্নিবার-ম✨োহর। দাঁড়িয়ে থেকে সেই বিয়ে দিয়েছিলেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়।
তবে মোহরের সঙ্গে বিয়ের আগে মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়কে বিয়ে করেছিলেন দুর🅘্নিবার সাহা। ২০২১-এর ফেব্রুয়ারিতে সাতপাক ঘোরেন মীনাক্ষী-দুর্নিবার। যদিও তাঁরা আইনি বিয়ে সেরেছিলেন ২০১৭-তে। তবে কয়েক মাসেই ছন্দপতন। ২০২১ সালের ডিসেম্বরেই ছাদ আলাদা হয়ে যান দুর্নিবার-মীনাক্ষী। তবে সেসবই অতীত। দুর্নিবারের জীবন জুড়ে এখন শুধুই মোহর। এই মুহূর্তে ছোট্ট ছেলেকে নিয়ে সুখে সংসার করছেন মোহর-দুর্নিবার।