শীঘ্রই কোল আলো করে আসবে সন্তান। অভিনেত্রী রিচা চাড্ডা বর্তমানে তাঁর গর্ভাবস্থার তৃতীয় ত্রৈমাসিকে রয়েছেন। শরীরের কষ্টকে তোয়াক্কা না করেই নিজের ব্যক্তিগত এবং পেশাগত জীবনের ভারসাম্য বজায় রাখছেন তিনি। অভিনেতা-স্বামী আলি ফজলের🦩 সঙ্গে তাঁর প্রথম সন্তানের আগমনের অপেক্ষায় থাকাকালীন, চাড্ডা হিন্দুস্তান টাইমসকে বলেন যে তিনি এই সময়টিকে তাঁদের প্রোডাকশন হাউসে স্ক্রিপ্ট এবং প্রোজেক্টগুলি তত্ত্বাবধান করতে ব্যবহার করছেন৷
♐‘ফোকাস প্রোডাকশনের দিকে কারণ এটি আসলে নতুন প্রতিভা সম্পর্কে চিন্তা করার সময়, নতুন নির্মাতাদের কাছে যাওয়ার এবং তাদের স্ক্রিপ্টগুলি পড়ার কিংবা তাঁদের দৃষ্টিভঙ্গি কেমন তা দেখার সময়।’
আরও পড়ুন: 𝄹(‘অতীতে অনেক ভুল করেছি...’ কী নিয়ে আফসোস করছেন সামান্থা?)
🐼এই দম্পতি ২০২১ সালে তাঁদের প্রযোজনা সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। সম্প্রতি ২০২৪ এর জন্য একটি প্রোজেক্টের কথা উল্লেখ করেন। ‘গার্লস উইল বি গার্লস,’ ‘পাপিটা’, ‘পিঙ্কি প্রমিজ’ এবং অ্যাডাল্ট অ্যানিমেশন ‘ডগি স্টাইলজের’ মতো প্রোজেক্টগুলি বিভিন্ন আখ্যান এবং নতুন প্রতিভা প্রদর্শনের জন্য সেট করা হয়েছে। চাড্ডা বলেন, ‘এছাড়াও আমাদের আরও কিছু কাজ চলছে, যা আমরা এখনও প্রকাশ করিনি কারণ আমরা এটি একবার করে দেখতে চাই। যখন নিজেদের উপর আত্মবিশ্বাস তৈরি হবে তখন স্পষ্টভাবে এই নিয়ে কথা বলতে পারবো।’
♌৩৭ বছর বয়সী ‘মম টু বি’ প্রকাশ করেছেন যে তিনি নিজেই এই বছরের শেষের দিকে বা ২০২৫ সালের শুরুর দিকে শ্যুটিং শুরু করার জন্য নির্ধারিত আসন্ন প্রযোজনার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন, যাতে তাঁর নবজাতকের সঙ্গে যথেষ্ট সময় কাটাতে পারেন। বর্তমান সময়কে বর্ণনা করতে গিয়ে রিচা বলেন, ‘আমি শ্যুটিং থেকে দূরে আছি, গল্প থেকে দূরে নই।’
ꦕসঞ্জয় লীলা বানসালি-পরিচালিত ‘হীরামান্ডি: দ্য ডায়মন্ড বাজার’- এ লাজ্জো চরিত্রে সর্বশেষ দেখা গিয়েছে রিচা চাড্ডাকে।আর এখন তাঁর জীবনের পরবর্তী অধ্যায়- মাতৃত্ব।এই রঙিন মুহূর্তের আনন্দগুলিও তিনি ভাগ করে নিতে ভোলেন না।
আরও পড়ুন: 🐭(শুভ জন্মদিন রিয়া চক্রবর্তী: ৩২তম জন্মদিন উপলক্ষে দেখে নিন তাঁর ৮টি সেরা ছবি)
🐬যদিও তিনি স্বীকার করেছেন যে সন্তানের জন্মের আগে ‘বাবা-মা’-এর দায়িত্ত্ব, কর্তব্য নিয়ে আলোচনা করা বৃথা।তবে তিনি আর তাঁর স্বামী আলি ফজল নিজেদের জীবনের এই নতুন দায়িত্ত্ব নেওয়ার জন্য প্রস্তুত।তিনি জানান, ‘এই মাতৃত্ব আমার জন্য নতুন হতে চলেছে, যেমন আলির জন্য পিতৃত্ব নতুন হবে। আমরা খুব উন্মুক্ত মানসিকতার মধ্যে বড় হয়ে উঠেছি, যেখানে আমাদের উপর আমাদের বাবা মায়েদের কোনও বিধিনিষেধ ছিল না। সুতরাং, আমি মনে করি আমরাও একই কাজ করব। আমরা অবশ্যই শিশুর মধ্যে কৌতূহলের ইচ্ছে বাড়ানোর চেষ্টা করব।’