ছয় থেকে সাতের দশকের শেষ পর্যন্ত ব🍬লিউড বুঁদ হয়েছিল মুমতাজ ম্যাজিকে। রোম্যান্টিক দৃশ্যে অভিনয় হোক কিংবা সমুদ্র সৈকতে বিকিনি পরে দর্শকদের হৃদয়ে উত্তাপ বাড়ানোয়, সবেতেই দক্ষ ছিলেন এই বলি-সুন্দরী। ১৯৭২ সালে অভিনেতা-পরিচাল♐ক ফিরোজ খানের পরিচালনায় 'অপরাধ' ছবিতে মুমতাজের বিকিনি পরা আগুনে রূপে কাৎ হয়েছিল তামাম দর্শককুল।
তবে জানেন কি 'অপরাধ' ছবিতে প্রথমে বিকিনি পরতে একেবারেই রাজি ছিলেন না এই লাস্যময়ী। এক সাক্ষাৎকারে নিজেই সেই কথা জানিয়েছিলেন মুমতাজ। বলেছিলেন চেহারা তাঁর তন্বী ও সুঠাম হলেও নিম্নাংশ অত্যন্ত ভারি হওয়াতেಌ তাঁর অস্বস্তি ছিল বিকিনির মতো অত খোলামেলা পোশাকে। তাঁর কথায়, 'আমার থাই বেশ চওড়া ছিল। ইরান দেশের মানুষদের সাধারণত যেমন চেহারার কাঠামো হয় আর কী... তা হওয়াতে ভেবেছিলাম বিকিনি পরলে হয়তো ব্যাপারটা আরও কুরুচিকর লাগবে।'
তবে🍌 শেষপর্যন্ত ফিরোজ খানের পরামর্শে বিকিনি পরতে রাজি হয়েছিলেন তিনি।ফিরোজ তাঁর 'মামজি'-কে বলেছিলেন যে যদি বিকিনি দৃশ্যের শুট হওয়ার পর সেই সিকোয়েন্স 'চেক' করে অভিনেত্রীর সামান্যতম খারাপ লাগে তাহলে সেই দৃশ্য তিনি ছেঁটে ফেলবেন ছবি থেকে! তবে সেই দৃশ্যের শুট হওয়ার পর বলাই বাহুল্য একটু খারাপ লাগেনি মুমতাজের। অভিনেত্রীর কথায়, 'সেই সিকোয়েন্স পরে দেখে বুঝেছিলাম বিকিনিতে আমাকে যথেষ্ট আকর্ষণীয় এবং সেক্সি লাগছে!'
এরপর অবশ্যಌ বর্তমানে বলিউডের 'বোল্ড দৃশ্য' নিয়ে তাঁর আপত্তি জানিয়েছেন মুমতাজ। বর্ষীয়ান অভিনেত্রীর কথায়, 'এখন যেমন প্রায় বেশিরভাগ হিন্দি ছবিতে যৌনতা একটা বড় অংশ জুড়ে থাকে, আমাদের সময় সেটা ছিল না। আজকাল হিন্দি ছবির গান তো বসে শোনা যায় না। পাশাপাশি ছবির গল্পের মাথামুন্ডু প্রায় নেই বললেই চলে।'
প্রসঙ্গত,বিয়ের পর থেকেই মুমতাজ প্রবাসী। ফিরে আসেননি অভিনয়েও। ইন্ডাস্ট্রি থেকে বহু দূরে তিনি দিব্যি আছেন নিজের সংসার নিয়ে। কিছু দিন আগে রটেছিল তাঁর মৃত্যুর গুজব। পরে মেয়ে টুইট করে জানান, মুমত🌜াজ তাঁর সঙ্গে লন্ডনে আছেন, ভাল আছেন।