বনশালির ছবি আর সেই নিয়ে বিতর্ক থাকবে না? এও কী সম্ভব! রামলীলা, বাজিরাও-মস্তানি, পদ্মাবত-এর পর এবার বিতর্কের কেন্দ্র꧅বিন্দুতে ‘গঙ্গুবাই কাথিয়াওয়াড়ি’। এই ছবিতে নাম ভূমিকায় অভিনয় করছেন আলিয়া ভাট, প্রথমবার বনশালির নায়িকা হিসাবে রুপোলি পর্দায় মহেশ ভাট কন্যা।
বার্লিন চলচ্চিত্র উত্সবে এই ছবির ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ারের জন্য প্রস্তুত আলিয়া-বনশালিরা। তার মধ্যেই ভারতে আইনি জট꧒ে জড়াল ‘গঙ্গুবাই কাথিওয়াড়ি’। হুসেন জাইদির লেখা ‘মাফিয়া কুইনস অফ মুম্বই’ অবলম্বনে তৈরি ‘পদ্মাবত’ পরিচালকের এই ছবি। আগামী ২৫শে নভেম্বর প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাওয়া কথা এই ছবির। তার আগꦑে গঙ্গুবাইের পরিবার আইনি নোটিশ ধরাল পরিচালক-প্রযোজক সঞ্জয় লীলা বনশালিকে এবং লেখক হুসেন জাইদিকে। মানহানির অভিযোগ আনা হয়েছে তাঁদের বিরুদ্ধে। আলিয়ার নামও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে এই মামলায়।
গঙ্গুবাইয়ের দত্তক পুত্রের আইনজীবী নরেন্দ্র দুবে হিন্দুস্তান টাইমসকে জানিয়েছেন, ‘কেউই চাইবে তাঁর মা’কে কেউ যৌনকর্মী হিসাবে তুলে ধরুক। একজন যৌনকর্মীর সন্তানও সেটা চাইবে না। শুধুমাত্র টাকার জন্য কারুর চরিত্র হনন করা হচ্ছে। এটা শুধু মা-ছেলের সম্পর্কের বিষয় নয়, এটা প্রত্যেকটা নারীর সম্মানের বিষয়। কোনও মেয়ꦏে চাইবে না এমন নগ্ন ও অশ্লীলভাবে তাঁকে তুলে ধরা হোক। হুসেন জাইদি তাঁর বইতে যা লিখেছেনসেটা যদি আমরা মেনেওনি তাহলেও উনি বলেছেন গঙ্গুবাই কোনওদিন চাননি যৌনকর্মী হতে। তাহলে কেন তাঁকে ওইভাবে প্রদর্শিত করা হবে। উনি একজন সমাজকর্মী ছিলেন। মোরারজি দেশাই, জহরলাল নেহেরু থেকে অটল বিহারী বাজপেয়ী ওঁনার সঙ্গে দেখা করতে আসতেন নির্বাচনের সময়। কারণ তিনি কামাঠিপুরার কর্ত্রী ছিলেন। উনি যৌনকর্মীদের অধিকারের লড়াই লড়েছেন।
গত দু-বছর ধরেই নানা সময়ে আইনি জটে জড়িয়েছে এই ছবি। আইনজীবীর কথায় ২০২০ সালে ছবির প্রথম প্রোমো সামনে আসবার পর থেকেই এই ছবির মুক্তির উপর স্থগিতাদেশ চেয়ে আদালতের হয়েছিলেন তাঁর মক্কেল। হুসেন জাইদির বই থেকে এই ছবি তৈরি 🔯হয়েছে সেই ব্যাপারটি আদালতে স্পষ্ট হয়েছে। আপতত সুপ্রিম কোর্ট ইন্ডিয়ায় এই ছবির মুক্তিতে স্থগিতাদেশ চেয়ে মামলা দায়ের করেছেন গঙ্গুবাইয়ের ছেলে।
গঙ্গুবাইয়ের চার দত্তক সন্তান- বাবুরাও, বেবি, শকুন্তলা এবং রা🎃জন। জাইদির বই থেকে জানা যায় নায়িকা হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে বাড়ি ছেড়েছিলেন গঙ্গুবাই, তবে প্রেমিকের কাছে ধোঁকা খান তিনি এরপর তাঁকে বিক্রি করে দেওয়া হয় এক যৌনপল্লীতে। তবে অদম্য জেদ আর সাহস নিয়ে হার না মেনে কামাঠিপুরার ‘ম্যাডামজি’ হয়ে উঠেন তিনি।
আজ তককে বাবুরাও জ♊ানিয়েছেন, ‘আমার মাকে ওঁরা যৌনকর্মী বানিয়ে দিয়েছে, লোকজন আমার মা’কে নিয়ে অনেক কথা বলছে সেগুলো আমার পছন্দ নয়'। গঙ্গুবাইয়ের নাতনি ভারতী যোগ করেন, ‘এই সব নির্মাতারা আমার পরিবারের মানহানি করছে শুধুমাত্র টাকার লোভে। এ𝕴টা গ্রহণযোগ্য নয়। আমাদের কোনও অনুমতি নেওয়া হয়নি এই ছবি তৈরির জন্য। হ্যাঁ, আমার ঠাকুমা কামাঠিপুরায় থাকতেন, তবে ওইখানে থাকতেন মানেই উনি যৌনকর্মী তেমনটা হতে পারে না'।