নাইন্টিজ-এর হিন্দি ছবির গান, আজও অনেক সংগীতপ্রেমীর কাছে সেটা মিউজিকের স্বর্নযুগ। আর সেই স্বর্ণযুগে স্বর্ণিম অক্ষরে নাম লেখা আছে যে সকল মিউজিক ডিরেক্টরের তার মধ্যে অন্যতম নদিম সইফি। যদিও একক শিল্পী হিসাবে নয়, সংগীত পরিচালক জুটি নদিম-শ্রবণ হিসাবেই তিনি সমাধিক পরিচিত। চলতি বছরের গোড়ায় করোনা আক্🎐রান্ত হয়ে প্রয়াত হয়েছেন শ্রবণ রাঠোর, চিরতরে ভেঙেছে এই জুটি।
তবে দীর্ঘ কয়েক বছর আগেই বলিউড ছবিতে কাজ বন্ধ করেছিলেন জুটি। সম্প্রতি এক সাক্ষাত্কারে গুলশন কুমার হত্যা মামলা বিতর্ক থেকে শুরু করে ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে মুখ খুলেছেন নদিম সইফি। ইটি টাইমস-কে দেওয়া এক সাক্ষাত্কারে সংগীত পরিচালক ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন টেলিভিশন প্রোগামে হাজির হয়ে গায়কদের তাঁদের (নদিম-শ্রবণ) কাজের যথাযোগ্য মর্যাদা না দেওয়া নিয়ে। 🐷;
তিনি জানান, ‘গায়করা আমাদের কাজ, ট্যালেন্টের প্রশংসা করে ছোটখাটো মঞ্চে, কিংবা কম জনপ্রিয় চ্যানেলে গিয়ে। কিন্তু দ্য কপিল শর্মা শো বা আরও অন্য অনেক শো-তে হাজির হয়ে নদিম-শ্রবণের নাম উল্লেখ করা 🔯থেকে বিরত থাকে তাঁরা’। মূলত ‘আশিকী’ খ্যাত গায়ক কুমার শানুকে কটাক্ষ করেন ‘আশিকী’ ছবির সংগীত পরিচালক। তিনি বলেন, ‘কুমার শানুকে সবাই মেলোডি কিং বলে। বলুন তো কোন মেলোডিটা উনি তৈরি করেছেন? আজকাল তো যার যা ইচ্ছা তাই বলতে পারে। আমি তো শুধু হাঁ করে শুনি আর হজম করে নিই’।
এর পাশাপাশি গুলশন কুমার হত্যা মামলা নিয়েও মুখ খুললেন নদিম। তাঁর জীবনের অন্যতম কালো অধ্যায় প্রায় দু-দশক আগের সেই ঘটনা। নদিম জানান, তিনি কোনওদিন ভাবেননি এই বিতর্কটা এইভাবে তাঁর জীবনকে তছনছ করে দেবে। তাঁর কথায়,൲’পাপাজি (গুলশন কুমার) আমার বড় দাদার মতো ছিল’। নিজে💃কে নির্দোষ প্রমাণ করতেই ভারতে ফিরতে চেয়েছিলেন নদিম। কিন্তু তাঁকে ষড়যন্ত্র করে ফাঁসানো হয়েছিল।
১৯৯৭ সালের ১২ অগস্ট, টি-সিরিজ কর্ণধার গুলশন কুমারকে গুলি করে হত্যা করা হয়। 🐼এই খুনের ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকবার অভিযোগ উঠেছিল নদিম সইফির বিরুদ্ধে। সেইসময় লন্ডনে ছিলেন মিউজিক কম্পোজার। তারপর থেকে আর দেশে ফেরেননি। যদিও এই হত্যꦐা মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে কোনওরকম তথ্য-প্রমাণ মেলেনি। নদিমের আফসোস, ‘আমার সঙ্গে সবচেয়ে বড় অবিচার হয়েছে, এটা আমার প্রাপ্য ছিল না’। ভবিষ্যতে নিজের দেশে ফিরতে চান তিনি।