হিন্দি টেলিভিশনের অতি-পরিচিত মুখ নন্দিশ সান্ধু। ‘উত্তরণ’-এর নায়ক ভালোবেসে বিয়ে করেন কো-স্টার রশমি দেশাইকে। কিন্তু টেকেনি দাম্পত্য সম্পর্ক। এরপর শোবিজ জগত থেকে বেশ কয়েক বছর আড়ালে ছিলেন নন্দিশ। কেরিয়ারের দ্বিতীয় পর্বে নন্দিশকে বিরাট🍨 সাফল্য এনে দিয়েছে ‘জুবিলি’। আমাজন প্রাইম ভিডিয়োর এই সিরিজে জামশেদ খান ওরফে অরিজিন্যাল মদন কুমার হিসাবে নজর কেড়েছেন অভিনেতা।
তবে এই ꦦসাফল্যের মাঝেই নন্দিশের ব্যক্তিগত জীবনে নেমে এসেছে অন্ধকার। ‘জুবিলি’র প্রচারের ব্যস্ততার মধ্যেই ভাইকে হারান নন্দিশ। মারণরোগ ক্যানসার কেড়ে নিয়েছে নন্দিশের ছোট ভাই ওঙ্কার সিং সꦚান্ধুকে। অভিনেতার কথায়, ‘এটাই জীবনের সবচেয়ে বড় ক্ষতি’। নন্দিশ এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘পরিবারের সবার মধ্যে ওঙ্কারই ছিল আমার ঘনিষ্ঠ। রাজস্থানে একসঙ্গে বড় হয়েছি আমরা। ও আমার ভাই ছিল না, আমার সন্তান ছিল। মাত্র সাড়ে চার বছরের ছোট হলেও সন্তানের মতো করেই ওকে আমি বড় করেছি’।
শেষ মুহূর্তে ভাইয়ের পাশে থাকতে না পারার আফসোস রয়েছে, তবে নন্দিশ জানান ওঙ্কারের ইচ্ছে ছিল কাজকেই গুরুত্ব দিক দাদা। নন্দিশ বলেন, ‘ও বলত দাদা যা কিছু ঘটে যাক কাজের চেয়ে জরুরি কিছুই নয়। কখনও সেটার প্রতি অবহেলা করো না, যাই পরিস্থিতি হোক না কেন। ওর অসুস্থতার সময়ও ও সবসময় আমার খোঁজ নিত। ও জুবিলি দেখতে চেয়েছিল, কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত ওর শারীরিক পরিস্থিতি এতটাই বিগড়ে যায় যে প্রথম এপিসোডও দেখা শেষ করতে পারেনি’।&n🐬bsp;
আরও পড়ুন-২০০ কোটির আর্থিক তছরুপের অভিযোগ, জ্যাকলিনকে বিদেশ যাত্রার অ꧅নুমতি দিল আ🐭দালত
মৃত্যশয্যায় থাকাকালীনও দাদাই ছিল ওঙ্কারের ধ্যান-জ্ঞান। আবেগতাড়িত নন্দিশ বলেন, ‘ও জানত ওর হাতে আর সময় নেই। কিন্তু আমাকে বলত, সব ভালো হবে। তাই ও চলে যাওয়ার পরেও আমি যদি কাজে মন না দিই,ꩵ তাহলে ও শান্তি পাবে না- এটা আমি জানি। ওঙ্কার🤡 যেখানেই থাকুক, আমাকে কাজ করতে দেখলেই ও খুশি হবে এটা আমি জানি’।
ভাইকে হারিয়ে তাঁর জীবনে যে শূন্যতা তৈরি হয়েছে তা কোনওদিনই দূর হবে না, একথা ভালোভাবেই জানেন নন্দিশ। তবে তাঁর জীবনের সবচেয়ে বড় সাফল𓆉্য দেখে যেতে পারল না ভাই, ꧋এই আফসোস সঙ্গে থাকবে ‘জুবিলি’ অভিনেতার। গত, ২৮ এপ্রিল মৃত্যু হয় নন্দিশ সান্ধুর ভাই ওঙ্কার সিং সান্ধুর।