দোলে রঙিন গোটা বাংলা। বসন্ত বাতাসে প্রেমের গন্ধ। প্রেমের আর রঙের চাদর গায়ে জড়িয়ে দোল উদযাপন কাঞ্চন-শ্রীময়ীর। তাঁদের বিয়ে নিয়ে যতই বিতর্ক থাকুক না কেন,আনন্দ উৎসবে প্রেমের জোয়ারে ভাসলেন দুজনে। বিয়ের বয়স সবে ২৩ দিন, কাঞ্চনের সঙ্গে প্রথম দোলে প্রেম সাগরে ডুবলেন শ্রীময়ী। আরও🐭 পড়ুন-বিয়ের পর প্রথম দোল, ‘প্রেমিক-প্রেমিকা’র সঙ্গেই রঙের উৎসব কাটাবে কাঞ্চন-শ্রীময়ীর
হাঁটুর বয়সী শ্রীময়ী চট্টরাজকে বিয়ে করায় ট্রোলের মুখে তৃণমূলের উত্তরপাড়ার বিধায়ক। জুটির বিয়ের ছবি ঘিরে নিন্দের শেষ নেই। তবুও বিতর্ক♓, ট্রোলিংকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে আবারও অন-ক্যামেরা রোম্যান্সে মজলেন ২৬-এর শ্রীময়ী আর ৫৩-র কাঞ্চন। গত ১৪ই ফেব্রুয়ারি আইনি বিয়ে সেরেছিলেন দুজনে, এরপর ২রা মার্চ সাত পাকে বাঁধা পড়েন।
দোলা-যাত্রার আগের দিন শ্রীময়ীর বাপের বাড়িতে রয়েছে সত্যনারায়ণের পুজো। সেই-সব সামলেই শ্বশুরবাড়িতে হাজির নতুন বউ। কাঞ্চনের বাড়িতে রাধা-মাধব রয়েছেন। তাঁদের আবির ছুঁইয়েই শুরু হয়েছে জুটির দোলযাত্রা। ইনস্টাগ্রামে সেলিব্রেশনের ঝলক ভাগ করে নিয়েছেন শ্রীময়ী। দোলের জন্য অভিনেত্রী বেছেছেন লাল൩ পেড়ে সাদা শাড়ি। মাথায় হলুদ গাঁদার মালা, গলায় আর কানে জাঙ্ক জুয়েলারি। কাঞ্চনের দেখা মিলল সাদা পাঞ্জাবিতে। গালে আবির ছোঁয়ালেন পরস্পরের, শুধু কী রঙ লাগালেন! শ্রীময়ীর চোখে ডুবলেন কাঞ্চন। নতুন বউয়ের উপর থেকে চোখ ফিরছে না উত্তরপাড়ার বিধায়কের।
প্রেক্ষাপটে বাজছে, শ্রেয়া ঘোষালের কন্ঠে🌼 ‘মোহে রং দো লাল’। কাঞ্চন-শ্রীময়ীর রোম্যান্সের রং ইনস্টাগ্রামের দুনিয়ায় ঢেউ তুলল। হিন্দুস্তান টাইমস বাংলার সঙ্গে দোলের পরিকল্পনা ভাগ করে নিয়েছেন শ্রীময়ী। কাঞ্চনের তৃতীয় বউ জানান, ‘আমাদের কষ্ঠিপাথরের রাধামাধব আছে। তাঁকে আগে আবির ছোঁয়াতে হবে। তারপরই আমরা দোল খেলতে পারব। রাঘামাধবকে ভালো করে আবির মাখিয়ে, গঙ্গাজল-গোলাপ জল, ঘি, মধু দিয়ে স্নান করাতে হবে। পুরো ঘষে-মেজে চকচকে করে ত💦ুলে তারপর তাঁকে নতুন জামা-কাপড় পরানো হবে’। এরপর বাড়িতে একটা যজ্ঞের হবে'। রবিবার এই পর্ব মিটেছে। সোমবার বাড়ির ছাদে চলবে চুটিয়ে দোল খেলা তবে শুধু আবির মেখে।
শ্🃏রীময়ী জানান, ‘আমি তো আবির খেলি, রং-এ যে এলার্জি আছে। তারপর বাড়িতে মধ্যাহ্ন ভোজনের আয়োজন হয়েছে। মেনু হল মাংস, ভাত, চিংড়ি মাছের মালাইকারি। তবে এর পুরোটাই হবে আমার-কাঞ্চনের বাড়িতে। দোলের দিন ক্লাবে বা অন্য কোথাও গিয়ে খেলি না। বাড়িতে আমার দাদা-বউদি, ভাসুর-জা, আমার বোন ওর ছোট্ট বাচ্চা, এরাঁ সকলে আসবে। তবে আমার দিদি আসতে পারবে না, ও বাইরে থাকে তাই। আমার সবাই মিলে গানবাজনা করব, আড্ডা দেব, ছবি তুলব। বাড়ি পুরো জমজমাট থাকবে। হাউস পার্টি বলতে পারেন’।