১৪ জুন, ২০২০। মুম্বইয়ে বান্দ্রার ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয় বলিউড অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের ঝুলন্ত দেহ। সুশান্ত মৃত্যু মামলা এখনও আদালতের আওতায়। গত বছর অগস্ট সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে সুশান্তের মৃত্যু মামলার ভার যায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে। অবশ্য মুম্বই পুলিশ প্রথম দিন থেকেই দাবি করে এসেছে ‘আত্মহত্যা’ করেছেন সুশান্ত। তবে জানেন কি সুশান্তকে একবার 'সাহা🌊য্য' করেছিলেন শাহরুখ খান? যা মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছিল এই প্রয়াত অভিনেতার কেরিয়ার। এবং সে কথা জানিয়েছিলেন খোদ সুশান্ত!
কীভাবে মধবিত্ত পরিবার থেকে উঠে এসে ছোটপর্দা ছুঁয়ে বড়পর্দায় দুর্দান্ত সফল হওয়া যায় তা দেখিয়ে দিয়েছিলেন এই প্রয়াত বলি-তারকা। পড়াশোনাতেও দুর্দান্ত ছিলেন এই অভিনেতা। দিল্লি কলেজ অফ ইঞ্জিনিয়ারিং থেকে পাশ করে আমেরিকার স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটি থেকে স্কলারশিপও পেয়েছিলেন তিনি। তবে সেসব কিছু ছেড়ে অভিনয়কেই পেশা করেছিলেন সুশান্ত। ২০১৭ সালে হিন্দুস্তান টাইমসের সঙ্গে তাঁর ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্র থেকে বড়পর্দার নায়ক হয়ে ওঠার যাত্রাপথের গল্প শেয়ার করেছিলেন 'ব্যোমকেশ বক্সী'। জানিয়েছিলেন কীভাবে তাঁর কেরিয়ারের পথ বাছতে সাহায্য করেছিলেন শাহরুখ খান। এমনকি নিজের জীবনেও শাহরুখের প্রভাব পড়ার ব্যাপারেও নানান কথা ไজানিয়েছিলেন এই বলি-তারকা।
সুশান্ত জানিয়েছিলেন ছোট থেকেই শাহরুখ খানের বিরাট ভক্ত ছিলেন তিনি। ক্লাস সিক্সে পড়াকালীন প্রথমবার 'ডিডিএলজে' দেখেই শাহরুখের প্রেমে পড়েছিলেন তিনি। শুধু আচ্ছন্ন করে রাখাই নয়, সুশান্তের কথায় 'কিং খান'🦩 তাঁকে 'ভাবিয়েছিল'.' আসলে নয়ের দশকের ওই সময়টায় ভারতীয় অর্থনীতি নতুন আকার ধারণ করেছিল। নানা পশ্চিমি জিনিসপত্রে দেদার আমদানি ঘটেছিল। তখনই প্রথমবারের জন্য কোকা কোলার ক্যান থেকে শুরু করে একাধিক আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডের জিনিষপত্রের সঙ্গে চাক্ষুষ পরিচয় ঘটেছিল। বুঝে উঠতে পারছিলাম না কী করবো। পশ্চিমি দুনিয়ার জিনিষপত্রে গা ভাসাবো না কি নিজের সংস্কৃতি আঁকড়ে পড়ে থাকবো। ঠিক এইসময় আবির্ভূত হয় 'ডিডিএলজে'. ওই ছবির এক দৃশ্যে সুশান্ত দেখেন শাহরুখ মদ কেনার জন্য দোকানে হাজির হলেও দোকানের মালিক বয়োজ্যেষ্ঠ হওয়াতে তাঁর অনুমতির জন্যেও অপেক্ষা করেছিলেন তিনি।' এই দৃশ্য থেকেই সুশান্ত উপলব্ধি করেন তাল মিলিয়ে চলা। কেটে যায় তাঁর সমস্ত দ্বিধা। দুই সংস্কৃতিকে পাশাপাশি রেখে পথ চলতে শুরু করেন তিনি।
তবে ꦅএখানেই শেষ নয়। হিন্দুস্তান টাইমসকে তিনি আরও জানিয়েছিলেন যে প্রায়শই তাঁকে শুনতে হয় শাহরুখের পর একমাত্র তিনিই সেই অভিনেতা যিনি ছোটপর্দা থেকে উঠে এসে সফল ⛎বড়পর্দার নায়ক হয়েছন। এবং সেখান থেকে তারকা। কেন এক্ষেত্রে 'একমাত্র' তিনিই সফল হয়েছেন? জবাবও নিজেই দিয়েছিলেন সুশান্ত।
তাঁর কথায়,' ১৯৫৪ সালে রজার ব্যানিস্টার প্রথম ব্যক্তি যিনি চার মিনিটেরও কম সময়ে এক মাইল পথ অতিক্রম করতে সক্ষম হয়েছিলেন। তাঁর আগে এই কাজ করার কথা কেউ ভাবতে না পারলেও পরবর্তী সময়ে বহু মানুষ তা করতে সক্ষম হয়েছেন। অর্থাৎ তাঁকে দেখে অনেকেরই মনে হয়েছিল ও পারলে আমি পারব না কেন। একই ব্যাপার আমার কﷺেত্রেও প্রযোজ্য।' কথা শেষে সুশান্ত যোগ করেছিলেন,' অনেকেই আমাকে দেখে বলেন ছেলেটার কপাল ভালো। স্রেফ বরাত জোরে আজ ও এই জায়গায়। বলতে চাই, এমনটা কিন্তু মোটেও নয়। কপাল একটা ব্যাপার বটে, তবে সবটুকু নয়। আজ আমি যে জায়গায় তার জন্য পরিশ্রমও করে যেতে হয় নিরন্তর।'