এক্সিট পোল উলটে দিল🌌 I.N.D.I.A জোট। ৪০০ পার করার কথা বলে ভোটে নেমেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তবে ৪০০-তো দূর অস্ত, টেনেটুনে ৩০০ পার করতে পারল না এনডিএ। দেশজুড়ে অনেকটাই ফিকে মোদী ম্যাজিক। ওদিকে রাহুলের নেতৃত্বে হাফ সেঞ্চুরি থেকে প্রায় সেঞ্চুরির (৯৯) দোরগোড়ায় জাতীয় কংগ্রেস।
এবার রাহুল গান্ধীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ পরম-ঘরণী। সক্রিয় রাজনীতির অংশ না হলেও পরমের রাজনৈতিক মতাদর্শ খুব বেশি অজানা নয়। পিয়া নিজের মতাদর্শ সম্পর্কে বেজায় সচেতন। তাই তো প্রকাশ্যে ‘No Vote For Bjp’ লিখে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করতে একব💞িন্দুও কুন্ঠাবোধ করেননি তিনি। লোকসভা ভোটের আগেই বিজেপি-বিরোধী অবস্থান স্পষ্ট করা পিয়া ভোটের দিনও ভোকাল। উত্তরপ্রদেশের ফৈজাবাদ আসন এইবার হাতছাড়া হয়েছে বিজেপির। যেখানে অবস্থিত রামমন্দির। বিজেপির এই সিটে হারকে ‘ডিভাইন জাস্টিস’ (ঐশ্বরিক বিচার) বলে 💯উল্লেখ করেন পিয়া।
এখানেই থ𝔍েমে থাকেননি পিয়া চক্রবর্তী। ইন্ডিয়া জোটের 💮ফলাফল স্পষ্ট হওয়ার পরেই রাহুল গান্ধীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ তিনি। ‘বাজিগর’ রাহুলের হাসিমুখের ছবি পোস্ট করেন পরমব্রতর স্ত্রী লেখেন, ‘হার কর জিতনে ওয়ালো কো….’ এরপর উচ্ছ্বাস ও লাল হৃদয়ের ইমোজি জুড়ে দেন তিনি। আরও লেখেন, ‘একজন মানুষের জন্য কৃতজ্ঞতা পোষ্ট, যিনি ট্রোলিং, লাগাতার আক্রমণ ও বিষাক্ততা সহ্য করেছেন এবং ভদ্রতা এবং স্থিরসংকল্পের সাথে ৫৬ ইঞ্চির হাইপার পৌরুষের বিরোধিতা করেছেন’।
শুধু কংগ্রেস বা ইন্ডিয়া জোটের দুর্দান্ত ফলই নয়। ব্যক্তিগতভাবেও এই ভোটে জোড়✨া আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জয়ী হয়েছেন রাহুল। কেরলের ওয়েনাড়ের পাশাপাশি উত্তরপ্রদেশের রায়বেরেলী থেকেও জয়ী হয়েছেন সোনিয়া পুত্র। ইন্ডিয়া জোট সবমিলিয়ে ২৩০টি আসন পেয়েছে, অন্যদিকে ২৯৬ আসন পেয়ে তৃতীয়বার সরকার গড়ার পথে মোদীর নেতৃত্বাধীন এনডিএ।
এদিকে কর্মজীবনে বহুদিন হল সমাজকর্মী হিসাবে কাজ করছেন পিয়া চক্রবর্তী। সরকারি উদ্যোগে তৈরি হওয়া ‘দেউচা পাঁচামি’ এক কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়। যে কমিটিতে ছিলেন পিয়া চক্রবর্তী। তখন পিয়া অবশ্য ছিলেন অনুপম রায়ের স্ত্রী। তবে একসঙ্গে কাজ করতে গিয়ে দুজনের মধ্যে বন্ধুত্ব তৈরি হয়। তাঁরা একে অপরকে সেই সময়ই নাকি ভালোভাবে চিনেছিলেন। সেখান থেকেই 𓃲নাকি তাঁদের সম্পর্ক গড়ায় পরবর্তী ধাপে। এরপরের কথাগুলি এতদিনে অনেকেরই জানা। ২০২৩ সালের ২৭ নভেম্বর আইনি বিয়ে সারেন পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় ও পিয়া চক্রবর্তী।