মহারাষ্ট্র পরিবেশমন্ত্রী তথা মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীর ছেলে আদিত্য ঠাকরেকে খুনের হুমকি দেওয়ার অভিযোগে বেঙ্গালুরু থেকে জয়সিং রাজপুত নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করল মুম্বইয়ে পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চের আধিকারিকরা। এএনআই সংবাদমাধ্যমের এক প্রতিবেদনে জানা গেছে ৩৪ বছর বয়সী জয়সিং নিজেকে প্রয়াত বলি-অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের ফ্যান হিসেবে দাবি করেছে। ওই প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী গত ৮ ডিসেম্বর মন্ত্রী আদিত্য ঠাকরেকে একাধিকবার ফোন করেছিল এই অভিযুক্ত। তবে ফোন তোলেননি আদিত্য। তাই শেষমেশ মন্ত্রীকে মেসেজ পাঠায় জয়সিং। সেখানে সুশান্তের মৃত্যুর জন্য আদিত্যকে দায়ী করে তাঁকে 'খুনি' হিসেবে উল্লেখ করে ওই অভিযুক্ত। সঙ্গে-উদ্ধব-পুত্রকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকিও দেয় সে।এই প্রসঙ্গে সে রাজ্যের মন্ত্রী নবাব মালিক জানান আদিত্যকে খুনের হুমকি দেওয়া বিষয়টি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। তিনি জানান যেভাবে আদিত্যকে খুনের হুমকি দেওয়া হয়েছে যার ফলে তাঁদের মনে হচ্ছে নরেন্দ পাহলকের এবং গোবিন্দ পানসারে-কে যে সংগঠন খুলে করেছিল, এই ঘটনার সঙ্গে তাদের যোগাযোগ থাকতে পারে। তিনিও যে এ ধরণের হুমকি পেয়েছেন সেকথা জানানোর পাশাপাশি মালিক বলেন, 'এই ঘটনার পিছনে কারা, করা রয়েছে সেই বিষয়ে জোরদার তদন্ত শুরু করা হয়েছে'।প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ১৪ই জুন সুশান্ত সিং রাজপুতের বান্দ্রার অ্যাপার্টমেন্ট থেকে উদ্ধার হয়েছিল অভিনেতার দেহ। প্রাথমিকভাবে মুম্বই পুলিশের তরফে বলা হয়েছিল আত্মহত্যাই করেছেন সুশান্ত, সেই নিয়ে বিতর্ক কম হয়নি। অবশেষে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে গত বছর অগস্টে এই মামলার দায়ভার যায় সিবিআইয়ের হাতে। তারপর থেকে প্রায় দেড় বছর অতিক্রান্ত, কিন্তু সুশান্তের তদন্ত প্রক্রিয়া কতদূর এগিয়েছে সেই নিয়ে বিশেষ কোনও তথ্য মেলেনি সিবিআইয়ের কাছ থেকে। তবে প্রয়াত অভিনেতার ডিলিট হওয়া ই-মেল আর সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট ও চ্যাট সম্পর্কিত সব তথ্য হাতে পেতে আনুষ্ঠানিকভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা চাইল। ১৪ই জুনের ঘটনার সঙ্গে জড়িয়ে থাকতে পারে এমন কোনও দিক তদন্ত প্রক্রিয়ার বাইরে রাখতে চান না কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা।সুশান্তের মৃত্যুর ৪০ দিনের মাথায় সুশান্তের বাবা কেকে সিং প্রয়াত অভিনেতার বান্ধবী রিয়া চক্রবর্তী, তাঁর পরিবার (ভাই,বাবা,মা), ম্যানেজার শ্রুতি এবং সুশান্তের হাউজ ম্যানেজার স্যামুয়েল মিরান্ডার বিরুদ্ধে অভিনেতাকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ আনেন। পরবর্তীতে সুশান্তকে খুন করা হয়েছে বলেও কেকে সিংয়ের আইনজীবী বিকাশ সিং দাবি করেন। সুশান্তের মৃত্যু তদন্ত নয়া মোড় নেয়, রিয়ার মাদকযোগের অভিযোগ প্রকাশ্যে আসবার পর। মাকককাণ্ডে এনসিবির হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন সুশান্তের গার্লফ্রেন্ড। আপতত জামিনে মুক্ত রিয়া, তবে সুশান্তের ফ্ল্যাট মেট তথা ক্রিয়েটিভ ম্যানেজার সিদ্ধার্থ পিঠানি মাদক মামলায় এখনও জেলবন্দি।