আরজি কর কাণ্ড নিয়ে এখনও ধ💖িকিধিকি আগুন জ্বলছে। চর্চায় থাকছে নারী স্বাধীনতা, মেয়েদের নিরাপত্তার কথা। এরই মাঝে সুদূর আমেরিকার টাই🦄মস স্কোয়ারে দাঁড়িয়ে বিশেষ বার্তা দিলেন পৌষালী বন্দ্যোপাধ্যায়। কী লিখলেন গায়িকা?
কী লিখলেন পৌষালী?
সারেগামাপা খ্যাত পৌষালী বন্দ্যোপাধ্যায় আমেরিকায় শো করতে গিয়েছেন। তারই ফাঁকে টাইমস স্কোয়ার থেকে ছবি শেয়ার করলেন। সেখানেই তাঁকে শাড়ি পরে ছবি তুলে🤡 পোস্ট করতে দেখা গেল। না, কেবল শাড়ি পরে নয়, র𒅌ীতিমত বাংলার ঐতিহ্যবাহী সাজে ধরা দিলেন গায়িকা। একই সঙ্গে এই ছবির ক্যাপশনে তিনি যে কথাগুলো লিখেছেন বর্তমান সময়ের জন্য সেগুলো দারুণ ভাবে প্রাসঙ্গিক। নাম না করেই তুলে এনেছেন আরজি কর প্রসঙ্গ থেকে নারী স্বাধীনতা, মহিলাদের সুরক্ষার কথা।
পৌষালী এদিন তাঁর এই পোস্টে লেখেন, 'টাইম স্কಞোয়ারের প্রশস্ত রাজপথ দিয়ে আটপৌরে শাড়ি পরে হেঁটে যাচ্ছে একটা নিতান্ত সাধারণ বাঙালি মেয়ে। বাদামি রঙের ত্বকের উপর হাজারখানেক নিয়ন আলোর ঝিলিমিলি, ব্যানার , বিলবোর্ড কত কত বিজ্ঞাপন༒ে পৃথিবীটা মুখ ঢেকেছে; চারিদিকে সাদা চামড়ার উত্তর ঔপনিবেশিক অহংকার, ফার্স্ট ওয়ার্ল্ড দেশ হয়ে ওঠার অস্থির গরিমা। ও কিন্তু কারও দিকে তাকাচ্ছে না, নির্ভর করছে না। কোন এক স্নেহের শহর চিত্তরঞ্জনে বেড়ে উঠেও নিউ ইয়র্কের নির্মম, ক্ষমাহীন রাস্তায় তাকে কেউ রুখে দাঁড়াতে পারছে না; এ যেন বড় একটা দায় তাই না? কি বলব আমরা এমন মেয়েকে, সাহসিনী? বেড়েপাকা? নাকি মুখ ঝামটা দিয়ে বলব, যত্তসব ন্যাকামি!'
🦩তিনি এদিন উদাহরণ দিয়ে আরও লেখেন, 'না, আমার কথা বলছি না, অন্তত শুধু আমার কথা 🍬বলছি না, সোনালি চক্রবর্তী, গায়ত্রী চক্রবর্তী স্পিভাক, নবনীতা দেবসেন কিংবা হালের সোশাল মিডিয়া সেনসেশন মহুয়া দি সবার কথাই বলছি। কাকেই বা ছেড়ে কথা বলল আমাদের সমাজ; আমি জানি আমিও বাদ যাব না, বাদ যাই না! যতই রাত দখল হোক, মেয়েদের ছেড়ে কথা বললে যে পিতৃতান্ত্রিকতায় আঘাত লাগবে! কিন্তু, এমনি করেই দুর্গমতায় রাজপথে প্রশস্ত দৃপ্তিতে হেঁটে যাব, নিউ ইয়র্ক থেকে নদীয়া, মেয়েরা রাতে দিনে সবাইকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে এগোবে, আটকে রাখতে তো চাইবেই কেউ কেউ! আমরা এমনি করেই হেসে এগিয়ে যেতে যেতে বলবো, ঠিক আছে, দেখা যাবে!'
আরও পড়ুন: সুস্থ আছেন জয়া বচ্চন🌞ের মা, ফেক নিউজ খন্ডন করে জানাল বচ্চন পরিবার
অনেকেই তাঁর এই কথার সঙ্গে সহমত পোষণ করেছেন। এক ব্যক্তি লেখেন, 'ভারতীয় মেয়েরা বিশেষত বাঙালি মেয়েরা আগেও গোটা পৃথিবী চষে বেড়িয়ছেন, এখনও বেড়াচ্ছে, ভবিষ্যতেও বেড়াবে। আমার খুব আপনজন এখানকার লাখ টাকা মাইনের চাকরি ছেড়ে দিয়ে নিজের রোজগারের পয়সায় লন্ডন স্কুল অফ ইকোনোমিক্স এ P🍨Hd করতে গেল একা একাই। এবং ওদের girl's হোস্টেলে সে এখন Queen of India, সাবাস, আরও এগিয়ে যান আপনা🌳রা।' আরেকজন লেখেন, 'একমত,আমরা হেঁটে যাবো,যাবই। ছবি সুন্দর, লেখা অসাধারণ।' তৃতীয় ব্যক্তি লেখেন, 'খুব ভালো বলেছেন ম্যাডাম।'