প্রসেনজিৎ-ঋতুপর্ণার কি প্রেম ছিল? এই প্রশ্নের জবাব জানেন একমাত্র অন্তর্যামী! কারণ এই প্রশ্নের সরাসরি উত্তর দিতে না-রাজ দুজনেই। ৫০তম বার এক ছবিতে প্রসেনজিৎ-ঋতুপর্ণা। উত্তম-সুচিত্রার পর বাংলা ইন্ডাস্ট্রির সবচেয়ে চর্চিত এবং সফল জুটি। প্রেম প্রসঙ্গে প্রসেনজিতের সাফ কথা, 'কিছু জিনিস অজানা থাকুক, মানুষ ভাবতে থাকুক। যখন আমরা থাকব না, তখনও যাতে এই আলোচনাটা চলে।’ আরও পড়ুন-দু'বার ভেঙেছ𝓰ে বিয়ে! স্বামী হিসাবে নিজেকে ‘অযোগ্য’ তকমা, ‘আমি ভিলেন𓃲 নই’, বলছেন প্রসেনজিৎ
তাঁদের প্রেম নিয়ে যেমন চর্চা থামে না। তেমনই অন্তহীন আলোচনা দুজনের মনোমালিন্য নিয়েও। ২০১৫ সালে শিবপ্রসাদ-নন্দিতা মিলিয়েছিলেন প্রসেনজিৎ-ঋতুপর্ণাকে। ‘প্রাক্তন’-এর আগে ১৪ বছর একসঙ্গে কাজ করে𓆏ননি তাঁরা। কীসের অভিমান? কেন এই দূরত্ব? ইন্ডাস্ট্রিতে কানাঘুষো মনোমালিন্যর জন্যই একসঙ্গে কাজ করা বন্ধ করেন প্রসে♕নজিৎ-ঋতুপর্ণা। শ্বশুরবাড়ি জিন্দাবাদের মতো ব্লকবাস্টার ছবির পরপর একসঙ্গে কাজ বন্ধ করেন তাঁরা।
সম্প্রতি অযোগ্যর এক প্রচারমূলক অনুষ্ঠানে ঝগড়া প্রসঙ্গে অভিনে🐼তা জানান, ‘আমাদের মধ্যে কোনও ঝামেলা হয়নি। আমরা একসঙ্গে কাজ করিনি, কারণ আমাদের কাজে বাধা এসেছিল। তবে সেটা অতীত, এখন আমরা ফিরে এসেছি এবং দর্শকদের ভালোবাসার জন্যই এটা সম্ভবপর হয়েছে। এই ভালোবাসার জন্যই আমরা একসঙ্গে ৫০ নম্বর ছবিটা করছি।’
ঝগড়া প্রসঙ্গে এই সময়কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় জানান, 'একদিন হয়তো ঋতুকে ডেকে আমি বললাম, 'এখন নতুন প্রজন্ম এসে গিয়েছে। আমরা বলে দিই, আমাদের মধ♈্যে ঝগড়া হয়ে গিয়েছে। ১২-১৩ বছর পর আবার একসঙ্গে কাজ করব। আমরা এরকম কোনও ঝগড়া ক্রিয়েট করেছি কিনা, সেটা কেউ জানেন না! অথবা হতে পারে, এই দু'জন মানুষ এত পরিশ্রম করেছে, যোগ্য হোক বা অযোগ্য হোক, কোনও পার্সোনাল অ্যাজেন্ডা ছাড়া বাংলা ছবির জন্য এতটা লড়েছে যে, ঈশ্বর একটা বিরতি তৈরি করে দি💃লেন। ডেস্টিনি!'
তবে প্রসেনজিতের বিশ্বাস ঝগড়াই আর্শীবাদ। তিনি বলেন, ‘হয়ে (ঝগড়া) ভালো হয়েছে। যদিও আ♑মি ঝগড়া করিনি। এই পৃথিবীতে কোনও শিল্পীর নাম নিয়ে আমি বলিনি, তাঁর সঙ্গে কাজ করব না’।
প্রাক্তনের পর কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়ের ‘দৃষ্টিকোণ’-এ ফের একসঙ্গে দেখা গিয়েছে প্রসেনজিৎ-ঋতুপর্ণাকে। কাকতালীয়ভাবে ১৪ বছরের বিরতির পর দর্শক দুজনের ইনটেন্স প্রেম দেখলেও মিলন দেখতে পায়নি। অযোগ্যতেও প্রসেন (প্রসেনজিৎ) পর্ণার প্রাক্তন। রক্তিম (শিলাজিৎ)-এর সঙ্গে সংসার পর্ণার। কাহিনিকারের এই ললাট লিখন নিয়ে ভাবিত নন তাঁরা। কারণ দুজন🔴েই জানেন তাঁদের বিচ্ছেদেও হলে সিটি পড়ে।
টলিউডে তিন দশক পেরিয়ে আসা ঋতুপর্ণা আজও বকা খান প্রসেনজিতের কাছে। আফসোস নেই। নিজেদের জুটি নিয়ে কনফিডেন্ট নায়ি༒কা। ওই সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, 'প্রসেনজিৎ-ঋতুপর্ণা জুটি একটাই আছে পুরো পৃথিবীতে। আগামী দিনে হতে পারে, তবে এখন আমি এর কোনও বিকল্প দেখতে পাচ্ছি না।…..দু'জন মানুষ এক্সিস্ট করে তাঁদের কাজের মাধ্যমে, তাঁদের রেজনেন্সের মাধ্যমে, দর্শকের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনের মাধ্যমে। এটা খুব কম দেখা যায়। সেজন্যই তো একজন-অন্যজনের সঙ্গে বারবার ফিরে আসি'।