ছোটবেলার খেলার সাথী, সেই বন্ধুত্ব ছাদনাতলায় গড়িয়েছিল ১৯৯২ সালে। তবে খ♑ুব বেশিদিন টেকেনি প্রসেনজিৎ-দেবশ্রীর বিয়ে। তিন বছর পরেই ভেঙে যায়🎀 টলিপাড়ার সাড়া জাগানো এই বিয়ে। প্রাক্তনরা এখন বন্ধু, বলিপাড়ায় হালে এটাই ট্রেন্ড। কিন্তু বিয়ে ভাঙার পর দেবশ্রীর সঙ্গে মুখ দেখাদেখি বন্ধ বুম্বাদার।
তিন দশক পেরোলেও সেই দূরত্ব ঘোচেনি। ছেলেবেলার বন্ধু বুম্বার সঙ্গে বিয়ে ভাঙার পর চুমকি কিন্তু আর বিয়ের পিঁড়িতে বসেননি। বরং নিজের অভিনয় কেরিয়ার, রাজনীতি, সোশ্যাল ওয়ার্ক- এইসব নিয়েই কেটেছে দেবশ্রী রায়ের জীবন। অন্যদিকে দেবশ্রীর পর অপর্ণা গুহঠাকুরতার সঙ্গে গাঁটছড়া (১৯৯৭) বেঁধেছিলেন নায়ক। কিন্তু এবারও পরিণতি একই! ফের বিচ্ছেদ যন্ত্রণার মধ্যে দিয়ে যেতে হয় প্রসেনজিৎ-কে।&nbs🉐p;
দু-বার বিয়ে ভাঙার যন্ত্রণায় কাতর প্রসেনজিতের হাত ধরেন অর্পিতা। এরপর দু-দশক কেটেছে।🦩 অর্পিতার সঙ্গে অটুট প্রসেনজিতের দাম্পত্য। স্বামী হিসাবে নিজের খামতি নিয়ে সরব অভিনেতা। টলি ফোকাস কলকাতাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘আমি স্বামী হিসাবে পুরোপুরি অযোগ্য'। কিন্তু কেন এই ধারণা তাঁর। অপর এক সাক্ষাৎকারে নিজের স্বামী সত্ত্বা নিয়ে প্রসেনজিৎ বলেন, 'স্বামী হিসাবে আমি গ্রেট নই। এমন নয় যে আমি খারাপ, তবে ওভারঅল দেখলে মনে হবে আমি সঠিক মানুষ নই। তার মানে এই নয় যে আমি ভিলেন। আমি বাবা হিসাবে অনেকটাই দিই। কিন্তু সামনের লোকটার জন্য সেটা নাই মনে হতে পারে।’
প্রসেনজিৎ-অর্পিতার একমাত্র পুত্র তৃষাণজি🅘ৎ। সদ্য স্নাতক ডিগ্রি হাতে পেয়েছে সে। দৈহিক উচ্চতায় তিনি বাবাকে ছাপিয়ে গিয়েছেন মিশুক (তৃষাণজিতের ডাকনাম)। ছেলের বিশেষ দিনটায় পাশে ছিলেন অভিনেতা। বাবা হিসাবে নিজেকে ‘যোগ্য’ সার্টিফিকেট দিয়েছেন প্রসেনজিৎ।
দক্ষিণ ভারতের কোদাইকানাল ইন্টারন্যাশন্যাল স্কুল থেকে স্নাতক হয়েছেন তৃষাণজিৎ। ছেলের স্নাতকের শংসাপত্র পাওয়ার মুহূর্তের সেই ভিডি🀅য়ো দিয়ে অভিনেতা লিখেছলেন, ‘আজ নিজেকে গর্বিত বাবা মনে হচ্ছে। কারণ, আমার ছেলে মিশুক স্নাতক হল। ওর জীবনের এমন এক মুহূর্তের সাক্ষী থাকতে পেরে গর্ব𓆏িত। অনেক শুভেচ্ছা। ভবিষ্যতে আরও সাফল্য পাও।’
প্রসেনজিতের এক কন্যা সন্তানও আছে প্রেরণা। অভিনেতা ও তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী অপর্ণা গুহঠাকুরতার একমাত্র কন্যা সে। ইউরোপে থাকে, সেখানে তাঁর পড়াশোনা। বাবার সঙ্গ🌳ে কোনও যোগাযোগ নেই তাঁর। রূপে-গুণে টলিউড নায়িকাদের টেক্কা দেবেন প্রেরণা।
প্রসেনজিৎকে আমাগিতে দেখা যাবে ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তর সঙ্গে ‘অযোগ্য’ ছবিতে, পরিচালনায় কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়। ৭ই জুন মুক্♛তি পাবে এই ছবি।