বৃহস্পতিবার মাদার টেরেসার ১১১তম জন্মদিন উপলক্ষে শ্রদ্ধা জানাতে তাঁর সঙ্গে তোলা বহু পুরোনো নিজের একটি ছবি নেটমাধ্যেমে ভাগ করে নিয়েছিলেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। ছবিতে দেখা যাচ্ছে মাদারের পিছনে সশ্রদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে রয়েছে এই টলি-সুপারস্টার। ছবির ক্যাপশনে লেখা ‘মাদারের উপস্থিতি, তাঁর কথায় সব উদ্বেগ সরে গেল। আশীর্বাদ পেয়ে আমি ধন্য।’ আ✱র এরপরেই এই ছবি ঘিরে শুরু হয়েছে বিতর্ক।নেটিজেনদের সমালোচনার ঝড় আছড়ে পড়েছে 'টলিউডের ইন্ডাস্ট্রির'- ওপর।
গন্ডগোলটা বাধে যখন আসল ছবিটি সামনে আসে। এক নেট নাগরিকের সুবাদে সেই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট হতেই শুরু হয়েছে হইচই। আসল ছবিতে দেখা যাচ্ছে প্রসেনজিতের পাশে দাঁড়িয়ে রয়েছেন তাঁর প্রাক্তন স্ত্রী দেবশ্রী রায়। আর মাদারের একপাশে বসে রাজ্যের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসু। এই আসল ছবি থেকে তাঁদের বেমালুম কেটে বাদ দিয়ে মাদারের সঙ্গে স্রেফ তাঁর ছবি পোস্ট করেছেন প্রসেনজিৎ। ব্যাস! এরপরেই কেউ কেউ কটাক্ষ করে টলি-তারকার উদ্দেশে কটাক্ষ করে কাটা কাটা শ𒀰ব্দে প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছেন, 🎉‘মেরুদণ্ড কাকে দত্তক দিলেন?' কেউ বা রাজনৈতিক ইঙ্গিতপূর্ণ উপহাস করে 'বুম্বা'-দাকে বললেন,‘শেষে বুম্বাদা তুমিও লক্ষ্মী ভান্ডারের আশায় ছবি ক্রপ করলে!'
কোনও কোনও নেটিজেন তো প্রসেনজিতের এই পোস্ট থেকে তাঁর দলদলের গন্ধ পর্যন্ত পাচ্ছেন। অন্তত তাঁদের করা কমেন্ট থেকে সেই মনোভাবই ফুটে বে🌱রোচ্ছে।
জ্যোতি বসুকে এই ছবি থেকে কেটে বাদ দেওয়াতে একদল নেটিজেনদের দাবি একসময়ে জ্যোতিবাবুর সঙ্গে যথেষ্ট হৃদ্যতা ছিল 'বুম্বা'-দার। এখন তাঁর জ্যোতি বসুকে আর প্রয়োজন নেই তাই ছবির পুনর্নিমাণ করার আগে হয়তো একমুহূর্ত ভাবেননি তিনি। অবশ্য তাঁকে ঘিরে হাজার হাজার ট্রোলিং হলেও এখনও পর্যন্ত এ বিষয়ে পাল্টা কিছু বলেননি টলিপাড়ার এই মেগাতারকা। প্রসঙ্গত, এইমুহূর্তে প্রসেনজিতের হাতে রয়েছে 🅷অতনু ঘোষের ‘শেষ পাতা’ ছবি। মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের ছবি ‘কাকাবাবুর প্রত্𓄧যাবর্তন’।