কাজের জগতে বহু তিক্ত অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হতে হয়। তবে সম্প্রতি রাহুল বন্দ্যোপাধ্যায় মানে 'দেশের মাটি'র রাজা এমন এক অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়েছেন তা তিক্ত না অদ্ভূত সেটা বোঝা বেশ কঠিন! নিজের সেই অদ্ভূত অভিজ্ঞতা ও বিরক্তির কথা ফেসবুকের দেওয়ালে তুলে ধরেছেন রাহুল। সঙ্গে একটি আবদার রেখেছেন নিজেও। রাহুলের এই অদ্ভূত অভিজ্ঞতার সঙ্গে ওতোপ্রোতভাবে জড়িয়ে তাঁর স্ত্রী (আইনি বিচ্ছেদ হয়নি) প্রিয়াঙ্কা সরকার। রাহুলের কাছে আচমকা ফোন, ‘দাদা, প্রিয়াঙ্কাদিকে পাওয়া যাবে?’ এমন আবদার শুনে তো রেগে আগুন রাহুল। সোশ্যাল মিডিয়ায় গোটা ঘটনাটা জানানোর পর রাহুলের টলিউড সহকর্মীরাও ঢালাও মন্তব্য করে൩ছে, যা ঘিরে শোরগোল নেটদুনিয়ায়।
ঠিক ব্যাপারটা কী? রাহুল জানিয়েছেন, ‘সম্প্রতি রাজর্ষি দে-র ছবির জন্য পোস্টার শুট করতে গিয়ে একজন ফটোগ্রাফার এর সাথে আলাপ হয়,যার নাম শান্তনু কর্মকার।….সে ফটোশুট এর জন্য উৎসাহ দেখায়, আমি ফটোশুট একেবারেই 💧পছন্দ করি না, নেহাত কাজের জন্য যতটুকু লাগে,ততটুকুই...কিন্তু আজকাল ইনস্টাগ্রাম করছি বলে রাজি হই। ভাবি ছেলেটির উপকার হবে,আমারও কিছু ছবি তোলা হবে। কাꦰলকে ছেলেটি ফোন করে আমায় বলে ’দাদা,প্রিয়াঙ্কাদিকে পাওয়া যাবে? তাহলে একটা শাড়ী শ্যুট করতাম…'।
এই ঘটনা নিয়েই অনুযোগ রাহুলের। তিনি বলেন, ‘আমার আর প্রিয়াঙ্কার ছাড়াছাড়ি হয়েছে আধ দশক হয়ে গিয়েছে। যা সবারই জানা। আর যদি একসঙ্গে থাকতামও তাহলেও ‘নবাব কিনলে আরাম ফ্রি’-তে বিশ্বাসী নই আমি। প্রত্যেকেই নিজের যোগ্যতায় জায়গা করেছি। স্ব✱াভাবিকভাবেই এরকম একটি নির্বোধের সঙ্গে কাজ করা সম্ভব নয়'। কিন্তু মনে মনে যখন ঠিক করেছেন, তখন ফটোশ্যুট করতে নিশ্চিত রাহুল, তাই কোনও ফটোগ্রাফার যদি𒐪 শুধুমাত্র তাঁর সঙ্গেই কাজ করতে আগ্রহী হন, তাহলেই যেন যোগাযোগ করেন, এমন বার্তা দেন রাহুল।
রাহুলের এই পোস্টে টলি তারকাদের মন্তব্যের ঢল। দেবলীনা কুমার তথা গৌরব চট্টোপাধ্যায় ঘরনির কথায়, ‘দুঃখের কথা আর কী ব🐠লি! আমরা যেন সবাই প্যাকেজে আসি৷’ রাহুলের অপর সহ-অভিনেত্রী রূপাঞ্জনা লিখেছেন, প্রস্তাব শুনে প্রথম প্রতিক্রিয়া কী হতে পারে, সেটা তিনি নিশ্চিত জানেন। শ্রীজাতর মন্তব্য,‘দুটো মানুষ আলাদাই, সে তারা একসঙ্গে থাকুক আর না থাকুক। এই স্বাতন্ত্র্যের বোধ আমাদের কবে হবে কে জানে।’ ঋত্বিক তো রাহুলকে সাবধান করে বললেন, ‘স্যার তো কবেই বলেছেন,কাউকে বেশি লাই দিতে নেই সবাই চড়ে মাথায়’৷
‘মায়া’ ছবির পরিচালক রাজর্ষি তো ফেসবুক কমেন্ট বক্সেই রাহুলের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিয়েছেন ৷ কারণ তাঁর ছবির পোস্টার শ্যুট উপলক্ষেই রাহুল এই তিক্ত অভিজ্ঞতার মু෴খোমুখি হয়েছেন৷ রাজর্ষি দে- জানান, তিনিও এই প্রথম বার ওই আলোতচিত্রীর সঙ্গে কাজ করছেন৷ যদিও রাহুল তাঁর পরিচালক বন্ধুকে কাছে অনুরোধ করেছেন, এর মধ্যে না ঢুকত𒐪ে।
‘চিরদিনই তুমি যে আমার’, এ কথা বলেই একে অপরের হাতটা শক্ত করে ধরেছিলেন রাহুল-প্রিয়াঙ্কা। কিন্তু সেই সম্পর্ক চিরস্থায়ী হয়নি। খাতায় কলমে আজও স্বামী-স্ত্রী তাঁরা, কিন্তু মনের বিচ্ছেদ হয়ে গিয়েছে বহু আগেই। বছর পাঁচেক এক ছাদের তলায় থাকেন না প্রাক্তন জুটি। তবে নিজেদের একওমাত্র ছেলে সহজের জন্য জীবনটা সহজ ক꧂রে নিয়েছেন তাঁরা। পারস্পরিক মর্যাদার সম্পর্কটা টিকিয়ে রেখেছেন পুরোমাত্রায়।
দিন কয়েক আগেই এক সাক্ষাত্কারে রাহুল বলেছেন,'প্রিয়াঙ্কার সঙ্গেও এখন খুব ভাল বন্ধুত্বের সম্পর্ক আমার। আর একটা জিনিস মনে করি, আমি প্রেমিꦫকের তুলনায় বন্ধু হিসেবে বেশি ভাল মানুষ'।