ছেলেমেয়েদের নিয়ে মায়েরা সবস♚ময়ই চিন্তায় থাকে। বিশেষত সন্তান কৈশোরে পা রাখলে সেই চিন্তা আরও বেড়ে যায়। ছেলে-মেয়ে একটু একটু করে যৌবনের দিকে পা রাখলে তাঁর মধ্যে নানারকম শারীরিক ও মানসিক পরিবর্তন আসে। বয়ঃসন্ধিকালে নিজেদের একটা আলাদা জগত তৈরি করে নেয় তারা, সেই জগতে সহজে এন্ট্রি মেলে না বাবা-মা'র। তার সিঙ্গল পেরেন্টদের ক্ষেত্রে তো এই পরিস্থিতি সামাল দেওয়াটা আরও চ্যালেঞ্জিং।
'দিদি নম্বর ১' রচনা জীবনকে খুব কাছ থেকে দেখেছেন। তাঁর কথা বরাবর মানুষকে অনুপ্রাণিত করে, কিন্তু নিজের 'টিনএজার' ছেলেকে সামলাতে নাকাল রচনা। তাঁর একমাত্র ছেলে রৌনক (ওরফে প্রনীল) বসু। এবার রৌনাককে সামলানোর টিপস চেয়ে বসলেন অভিনেত্রী! রবিবার ‘দিদি নম্বর ১’-এর সানডে ধামাকা এপিসোডে টেলিপাড়ার চার নায়ক এবং তাঁর মায়েরা খেলতে আౠসছেন। সায়ক চক্রবর্তী, অভিষেক শর্মা, সোহেল দত্ত এবং সায়ন্ত মোদক এদিন দিদি নম্বর ১-এর মঞ্চে হাজির হবেন তাঁদের মায়েদের সঙ্গে।
অনুষ্ঠানের ফাঁকে কথা হচ্ছিল কৈশোরে ছেলে-মেয়েদের পালটে যাওয়া আচরণ নিয়ে। তখনই রচনা ফাঁস করে ফেলেন, কৈশোরে পা দেওয়ার পর থ♎েকে মায়ের থেকে একটু দূরে সরে গিয়েছে রৌনাক। 𒐪কিশোর ছেলেকে কীভাবে সামলানো যায় সেই প্রশ্ন সোহেলের মায়ের কাছে রাখেন অভিনেত্রী।
রচনা বলেন, ‘আমি প্রতি দিন রাতে কান ধরে আমার সঙ্গে শোয়াই। কিন্তু ও কিছুতেই আমার সঙ্গে শুতে চায় না।’ তখনই সোহেল বলে ওঠে- ‘তার মানে ওর মনে ফুল ফুটেছে’। এরপর সায়ন্তর মা যোগ করেন, ‘ফোনে অনেক কিছু জানতে পারি’। সঙ্গে সঙ্গে রচনা বলে উঠেন, ‘এই রৌনাক আমি আজ রাতে তোর কাছে আসছি, তোর ফো🌄ন চেক করতে’। তবে🔯 মজার ছলেই এটা বলতে শোনা গেল রচনাকে।
জানা যায়, নায়িকা এমনিতে বেশ কড়া মা। ছেলেকে যথেষ্ট অনুশাসনের মধ্যেই বড় করছেন তিনি। ছেলের জন্য নিজের কেরিয়ারকেও জলাঞ্জলি দিয়েছেন রচনা। মূলত রৌনাকের পড়াশোনার দিকে নজর দিতেই অভিনয় থেকে সরে এসেছেন তিনি। আপতত ছেলের সঙ্গে ছুটি কাটাতে ভিন দেশে পাড়ি দিয়েছেন রচনা। এꦗয়ারপোর্ট থেকে একসঙ্গে ছবিও পোস্ট করেছেন।