টলিউডের পাওয়ার কাপল হিসেবে ধরা হয় রাজ চক্রবর্তী আর শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়কে। একসময় দুজনের সম্পর্ক নিয়ে কম আলোচনা হয়নি। মিমির সঙ্গে রাজের প্রেম ভাঙা, শুভশ্রীর সঙ্গে সম্পর্কে যাওয়া ছিল নেটপাড়ার প্রিয় টপিক। তবে নিন্দুকদের মুখ বন্ধ করেছেন তাঁরা।💛 সব পরিস্থিতিতেই আগলে রাখেন একে-অপরকে।
২০১৮ সালে বিয়ে করেন ধুমধাম করে বাওয়ালির রাজবাড়🅺িতে। এরপর ২০২০ সালে জন্ম হয় প্রথম সন্তান ইউভানের। তারপর ২০২৩ সালে রাজশ্রী জুটির কোল আলো করে আসে ইয়ালিনি। সম্প্রতি ‘সন্দেশ টিভি’ ইউটিউব চ্যানেলের পডকাস্ট শো-তে এসেছিলেন রাজ। সেখানে পিতৃত্ব নিয়ে কথা বলতে শোনা যায় তৃণমূলের বিধায়ককে।
রাজ বলেন, ‘যেদিন আমি বাবা হলাম, এখন আমি যদিও দুই সন্তানের বাবা, আমার জীবনটা সত্যি বদলে গেছে। বদলে গেছি। আমি এমনিতেই খুব আবেগপ্রবণ। এখন আরও হয়ে গেছি।ꦯ আমার ফোকাসটা খুব পরিষ্কার হয়ে গেছে। আগে অনেক মানুষকে প্রয়োজন হত। অনেক মানুষের সঙ্গে বন্ধুত্ব করতে চাইতাম। এখন আর সেসব মনে হয় দরকার নেই। কাজ আর পরিবারই সব। আমি বোঝাতে পারব না। দ্বিতীয়বার বাবা হওয়ার পর তো মনে হচ্ছে আর কিচ্ছু চাই না। শুধু পরিবারকে খুশি রাখতে চাই।’
‘কাজ করলে পয়সা আসবে জানি। আমি পয়সার এত লোভীও নই। আমার সত্যি বেশি কিছু চাই না। ইউভান আর ইয়ালিনিকে নিয়েই থাক💞তে চাই। কাজ না থাকলে বিকেল সাড়ে ৬টা, ৭টার মধ্যে বাড়িতে ঢুকে যাই। সকালটা ওদের সঙ্গে কাটাই’, আরও জানালেন রাজ।
মেয়ে ইয়ালিনির সঙ্গে কাটানো একটা সুন্দর মুহূর্তও তুলে ধরলেন রাজ কথাপ্রসঙ্গে। বললেন, ‘এত মিষ্টি বাচ্চাদুটো। ওদের জন্যই কোনও জটিলতা বা অবসাদ আমার𝔉 উপর প্রভাব ফেলতে পারে না। আজ সকালেই যেমন ইয়ালিনির একটা ছবি তুলছিলাম। এই মুহূর্তগুলো এভাবে বোঝাতেও পারব 🧜না।’
প্যারেন্টিং নিয়ে তাঁর আর শুভশ্রীর পরিকল্পনা নিয়ে কথা বলার সময় রাজ বললেন, ‘আমি আর আমার বউ এটা নিয়ে আলোচনা করেছি। আমরা কথা বলে ঠিক করেছি, আমরা একটা সুন্দর পরিবেশ তৈরি করব। ওরা আমাদের থেকে শিখবেꦯ। আমরা কেমন পোশাক পরছি, কাদের সঙ্গে মিশছি, কীভাবে কথা বলছি, এগুলোই ও আমাদের থেকে শিখবে। আমি যেমন মহিলাদেরকে অসম্মান করা একেবারে পছন্দ করি না। পৃথিবীর সবথেকে সুন্দর কিছু যদি হয় সেটা নারী। এগুলোই যদি ইউভান শেখে, তাহলেই অনেক। সাফল্য-ব্যার্থতা তো থাকবেই। ওকে কখনও বলে দেব না এটা হউ, ওটা হউ। আমরা যদি চিৎকার কর𓃲ে কথা বলি, তাহলে ও বলবে। ইউভান যেমন মোবাইল দেখে না। ওর মা খুব কড়াভাবে না করেছে। টিভি দেখে। এডুকেশনাল ভিডিয়ো দেখে। কিন্তু মোবাইলে হাত দেয় না।’