দীর্ঘ লড়াই চালালেন। তবু শে🌳ষমেশ জীবনযুদ্ধে হেরে গেলেন রাজু শ্রীবাস্তব। এক মাসেরও বেশি হাসপাতালে লড়াই করে সেখানেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন কৌতুকাভিনেতা। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৫৮ বছর।
হৃদরোগে আক𝕴্রান্ত হওয়ার পর দিল্লির এইমসে ভর্তি হয়েছিলেন রাজু। জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত ছিলেন সেখানেই। আর প্রতি মুহূর্তে তাঁর পাশে ছিলেন স্ত্রী শিখা শ্রীবাস্তব। অপেক্ষা করেছিলেন রাজুর ফিরে আসার। স্বামীর প্রয়াণে ভেঙে পড়েছেন শিখা। সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, 'কথা বলার অবস্থায় আমি নেই। কী-ই বলতে পারি? ও অনেক লড়াই করেছে। ভেবেছিলাম, সব বাধা কাটিয়ে ও ফিরে আসবে। কিন্তু সেটা হল না। ও সত্যিই একজন লড়াকু মানুষ ছিল।'
রাজুর আত্মীয় কুশল শ্রীবাস্তবও শেষ দিন পর্যন্ত তাঁর পাশে ছিলেন। প্রত্যেক দিন হাসপা🅘তালে আসতেন কৌতুকাভিনেতাকে দেখতে। রাজুর চলে যাওয়া তিনি মেনে নিতে পারেননি। বললেন, 'দ্বিতীয় বার হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার পর উনি মারা গেলেন। গতকালও আমরা ভেবেছিলাম, সব ঠিক হয়ে যাবে। উনি দু'মা🃏স ধরে লড়াই চালিয়ে গেলেন।'
চিকিৎসক অনিল মোরারকা রাজু শ্রীবাস্তবের বহু দিনের বন্ধু। তিনিই দিল্লিতে কৌতুকাভিনেতা চিকিৎসা করছিলেন। অনিলের কথায়, 'রাজু আর আমি কলেজ জীবনের বন্ধু। ৩৭ বছরের বন্ধুত্ব আমাদের। আমরা একসঙ্গে অনেক লড়াই করেছি। ভাবিনি সাফল্য পাব। রাজু ভাইয়ের জন্য আমরা গর্বিত। ওঁর আত্মার শান্তি কামনা করি।'
আরও পড়ুন: কেন মনে থেকে যাবেন রাজু? দেখে নিন কৌতুকশিল্পীর সেরা কিছু মজার ভিডিয়ো
নিজস্ব ঢঙে কৌতুক পরিবেশন করার কারণে রাজু শ্রীবাস্তব জনপ্রিয় হয়েছিলেন দেশের সাধারণ মানুষের মধ্যে। টেলিভিশনের জনপ্রিয় একটি কমেডি শো থেকে তাঁর যাত্রা শুরু। এর পর আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। ছোট পর্দায় 'বিগ বস','কমেডি সার্কাস', 'দ্য কপিল শর্মা শো'-এর মতো অনুষ্ঠানে দেখা গিয়েছে তাঁকে। আবার বড় পর্দাতেও 🌳'বাজিগর', 'ম্যায়নে প্যায়ার কিয়া', 'বম্বে টু গোয়া'র মতো ছবিতে কাজ করেছেন তিনি।