রিল হোক কিংবা রিয়েল, তর্কাতীতভাবে একজন বর্ণময় চরিত্র মিঠুন চক্রবর্তী। অভিনয়, প্রেম, বিতর্ক হোক কিংবা রাজনীতি রঙের ছটা তাঁর গোটা কেরিয়ার জুড়েই। সেইসঙ্গে আসমুদ্রহিমাচল ভারতে জনপ্রিয়তা। বয়সের সংখ্যা ৭০ এর চৌকাঠ পেরোলেও, তাঁর জনপ্রিয়তা আজও অটুট। এইবারে মিঠুন চক্রবর্তীর জীবন ও তাঁর নানান অজানা গল্পকে দু'মলাটে নিয়ে এলেন রামকমল মুখোপাধ্যায়। হেমা মালিনী এবং সঞ্জয় দত্তের পর এটি রামকমলের লেখা তৃতীয় জীবনী। বইয়ের নাম 'মিঠুন চক্রবর্তী: দ্য দাদা অফ বলিউড'।প্রায় দু' বছর ধরে এই বই লিখেছেন রামকমল মুখোপাধ্যায়। জীবনী লেখার জন্য মিঠুনকেই 'সাবজেক্ট' হিসেবে কেন বেছে নিলেন তিনি? জবাবে তিনি জানিয়েছেন নিজের আত্মজীবনী লিখতে কোনওদিনই উৎসাহী নন মিঠুন। তাই কলম ধরলেন তিনি। লেখকের কথায়,'তবে ওঁর জীবনের এতসব ঘটনা ও গল্প যে তা লেখার ইচ্ছে ছিল আমার বহুদিনের। আর তাছাড়া মিঠুনের মতো এত বড় একজন মেগাস্টার অথচ টিনার ওপরে মাত্র কয়েকটি বই রয়েছে বাংলায়। তাই ভেবেছিলাম একটি প্রামাণ্য বইয়ের প্রয়োজন ছিল। সেই চিন্তার ফসলই হলো 'দাদা অফ বলিউড'। তাছাড়া মিঠুনের জীবনের বহু ঘটনায় লেখককে প্রভাবিত করেছিল। চেয়েছিলেন সেইসব ঘটনা জেনে যেন নয়া প্রজন্ম এবং ইন্ডাস্ট্রির 'আউটসাইডার'-রা মনের জোর পায়। মিঠুন নিজেও আউটসাইডার হিসেবে ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ শুরু করেছিলেন। ধীরে ধীরে নিজের বিরাট সাম্রাজ্য তৈরি করে ফেলেন তিনি। নিজে একসময় প্রবল অর্থকষ্টের মধ্যে দিয়ে গেছেন বলেই পরবর্তী সময়ে দু'হাতে টাকা খরচ করেছেন অভাবী মানুষদের জন্য। সেসব কথা রয়েইছে এই বইয়ে। এছাড়াও লেখকের মনে হয়েছিল সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর পর ইন্ডাস্ট্রিতে তেমনভাবে আউটসাইডারদের আলোচনাও ক্ষীণ থেকে ক্ষীণতর হয়ে গেছে। এই সময় আরও বেশি করে এই বই সময় উপযোগী বলেই মনে হয়েছে তাঁর। তা কীভাবে রামকোমল সুযোগ পেলেন মিঠুনের আত্মজীবনী লেখার? হেমা মালিনীকে নিয়ে তাঁর লেখা বই ‘বিয়ন্ড দ্য ড্রিমগার্ল’ এর প্রচার করতে হেমার সঙ্গে মিঠুনের 'ডান্স ইন্ডিয়া ডান্স' অনুষ্ঠানে গেছিলেন রামকমল। সেখানে হেমাই নাকি মিঠুনকে প্রস্তাব দেন যে তারকাকে নিজের হাতে কিছুই লিখতে হবে না। তাঁর থেকে বরং সে তাঁর জীবনের কথা রামকমলকে বলুক। সেই লিখে দেবে। হেমা মালিনীর কথা শুনে মিঠুন হেসেছিলেন। তবে প্রস্তাবটা তাঁর মন্দ লাগেনি। এরপরেই অল্প অল্প করে বিষয়টি এগিয়েছিল।