খুব একটা সহজ ছিল না রণবীর ও ঋষি কাপুরের মধ্যেকার সম্পর্ক। অন্তত পরিবার ও অভিনেতার একাধিক সাক্ষাৎকারে সে কথা উঠে এসেছে একাধিকবার। ‘মুফট’ হিসেবে পরিচত ঋষি যে কাওকে বলে দিতেন অপ্রিয় সত্যি। এমনকী, তিনি নিজের ছেলেকেও বলেছিলে🌳ন যে, ফ্লপ করবে সাওয়ারিয়া।
সাম্প্রতিক এক সাক্ষাৎকারে রণবীর তাঁর বাবা ঋষির ব্যাপারে এই তথ্যগুলি আনলেন সামনে। তাঁকে বলতে শোনা গেল, সঞ্জয় লীলা বনশালির সাওয়ারিয়া খুব একটা পছন্দ ছিল না বাবার। ভারতীয় আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব (International Film Festival of India)-এর মঞ্চ থেকে রণবীর ভাগ করে নেন, তাঁর করা কাজের সবচেয়ে বড় সমালোচক 𓆏🦹ছিলেন ঋষিই। যেমন তিনিজানালেন, মুক্তির একদিন আগে বরফি দেখেছিলেন বর্ষীয়ান অভিনেতা। আর তা দেখে ছেলে সম্পর্কে বলেছিলেন, রণবীর ভালো অভিনেতা, তবে তাঁর আর্ট ফিল্মে কাজ করা উচিত নয়।
আরও পড়ুন: নেপোটিজমের জন্য বলিউড ‘অতটাও দোষি নয়’, দাবি কৃতির, ‘🐈দর্শকꦇরাই চায় স্টার কিডদের…’
রণবীর আরও ভাগ করে নেন য𝔉ে, তাঁর বাবার তীক্ষ্ণ দৃষ্টি ছিল সবকিছুতে। কারজাতে প্রথম ছবি সাওয়ারিয়া যখন শ্যুট করছেন তিনি, তখন সেটে এসেছিলেন ঋষি খোদ। কেন একটা বুদ্ধ রাখা, এতগুলো জানল কেন, সকালের পরিবর্তে কেন রাতে শ্যুট করা হচ্ছে, এমন অন🐟েক প্রশ্নও করেছিলেন তিনি। আর রণবীর বাবার ওল্ড স্কুল চিন্তাভাবনা মনে করে বলেছিলেন, বর্তমানে সিনেমা নির্মাণে অনেক বদল এসেছে।
আরও পড়ুন: ඣভারত-অস্ট্রেলিয়া ম্যাচে অনুষ্কার লুক ভাইরাল,কোথায় ཧপাবেন এই কো-অর্ড সেট? দাম কত
সেই সময় গাড়িতে উঠেই ঋষি নাকি নীতুকে জানিয়ে দেন যে, সিনেমাটি চলবে না। আর সেটাই অবশ্য হয়েছিল। বক্স অফিসে নিজস্ব জায়গা করে নিতে ব্যর্থ হয় সাওয়ারিয়া। বরং সেই একই দিনে মুক্তি পাওয়া ওম শান্তি ওম বাজিমাত করে বক্স অফিসে। আসলে ঋষি বিশ্বাস করতেন, দর্শকদের কিছু পরিচিত সেটিংস রয়েছে। সিনেমা বানানোর সময়, সেগুলোর থেকে বিচ্ছিন্ন করলে তা গ্রহনযোগ্যতা হারায়। 🌠রণবীর তখন তার বাবার কথাকে পুরোপুরি উপলব্ধি করতে পারেনি, সে এখন তাদের গুরুত্ব বুঝতে পেরেছে।
আরও পড়ুন: 'লাভলি লোল্লা'য় মা-মেয়ের চরিত্রে গওহর খান-ঈশা মালভিয়া! কে ♌কোন ভূমিকায়?
নিখিল কামাতের সঙ্গে এক 🎐সাক্ষাৎকারে, রণবীরকে বলতে শোনা গিয়েছিল, একটা সময় নিউ ইয়র্কে টানা একটা বছর একসঙ্গে ছিলেন তিনি বাবার সঙ্গে। সেই সময় ক্যানসারের চিকিৎসা চলছিল। চিকিৎসা শুরুদিন ৪৫ পর, একদিন কান্নায় ভেঙে পড়েন ঋষি। যা খুব হৃদয়বিদারক ছিল রণবীরের জন্য। কারণ বাবাকে কখনো ওভাবে দেখেননি তিনি। তবে পরিস্থিতি সেই মুহূর্তে খুব অদ্ভুত লেগেছিল তাঁর। পরবর্তীতে রণবীরকে আক্ষেপ করতে দেখা গিয়েছে, তিনি সেদিন পারেননি তাঁদের মধ্যেকার দূরত্ব মিটিয়ে এগিয়ে গিয়ে বাবাকে ভালোবাসা দিতে, জড়িয়ে ধরতে, যা সেই সময় খুবই দরকার ছিল।