ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের অন্যতম স্তম্ভ ছিলেন উস্তাদ রাশিদ খান। তবে মঙ্গলবার সেই মহান প্রতিভাই চলে গেলেন অমৃতলোকে। ১০ জানুয়ারি দুপুর ৩.৪৫ নাগাদ থেমে যায় জীবনের ঘড়ি। দীর্ঘদিন ধরেই প্রস্টেট ক্যা꧋নসারে আক্রান্ত ছিলেন সঙ্গীতশিল্পী। এরপর নভেম্বরে আচমকাই ব্রেন স্ট্রোকের শিকার হন শিল্পী। ভর্তি ছিলেন পিয়ারলেস হাসপাতালে। রেখে গেলেন স্ত্রী, দুই কন্যা এবং এক পুত্রকে।
কিংবদন্তী শিল্পীর মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করলেন প্রধানমন্ত্রী ন﷽রেন্দ্র মোদী। ম♒ঙ্গলবার রাতে নিজের অফিসিয়াল এক্স হ্যান্ডেলে (আগের টুইটার) ভারতের পিএম লিখলেন, ‘ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীত জগতের কিংবদন্তি ব্যক্তিত্ব ওস্তাদ রশিদ খান জি-র মৃত্যুতে শোকাহত। সঙ্গীতের প্রতি তাঁর অতুলনীয় প্রতিভা এবং নিবেদন আমাদের সাংস্কৃতিক জগতকে সমৃদ্ধ করেছে এবং একাঝধিক প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করেছে। তাঁর চলে যাওয়া এমন এক শূন্যতা তৈরি করল, যা পূরণ করা কঠিন হবে। তাঁর পরিবার, শিষ্য এবং অগণিত ভক্তদের প্রতি আমার আন্তরিক সমবেদনা।’
অন্য দিকে, ‘আপনজন’ রাশিদ খানের মৃত্যুর খবর পেয়েই সব কাজ ফেলে হাসপাতালে ছুটে আসেন মুুখ্যমন্ত্রী। এদিন শিল্পীর পরিবারকে সান্ত্বনা দিলেন দিদি, রইল পাশে থাকার বার্তাও। মমতাকে বলতে শোনা গেল, ‘রাশিদের স্ত্রী, কী অল্প বয়স। বাচ্চা মেয়ে’। অভিভাবক হয়ে রাশিদ খানের পরিবারের পাশে থা๊কার কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী।
গায়কের মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন রাহুল গান্ধীও। তিনি সামাজিক মাধ্যমে লিখলেন൩, ‘উস্তাদ রাশিদ খানের মৃত্যুতে ভারতের শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের এক অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে গেল। শোকের এই সময়ে তাঁর পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাই।’
এদিকে রশিদের মৃত্যু নিয়ে দানা বেঁধেছে বিতর্ক। পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তী মেনে নিতে পারেননি অনুজের এই অকালে চলে যাওয়া। তাঁর অসুস্থতার খবর এতদিন সেভাবে বাইরে আসেনি। ডিসেম্বরেই শোনা গিয়েছিল, দীর্ঘ কয়েক সপ্তাহ ধরে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন। আর এই নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে অজয় চক্রবর্তী বলেন, ‘গতকাল রাত পর্যন্ত জানতাম, রাশিদ ভাল আছেন। দুবাইয়ে আছেন। সুস্থ আছেন। আর মুখ্যমন্ত্রী কিছুক্ষণ আগে খবর দিলেন, রা🍃শিদ আর নেই। আমার কিছু করতেই ইচ্ছা করছে না। আমি একটাই কথা জানতে চাই বাড়ির লোক কেন এই মিথ্যাচার করল। মেসেজ দিয়েছেন এতদিন ধরে যে রাশিদ ভাল আছে।’
গান স্যালুট দেওয়া হবে প্রয়াত শিল্পীকে, পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় আজ (বুধবার) হবে শেষকৃ্ত্য। মঙ্গলবারই সেকথা জানিয়েছ🧔েন মুখ্যমন্ত্রী। মঙ্গলবার থেকে পিস ওয়ার্ল্ডে রাখা রয়েছে দেহ, বুধবার সকালে তা শায়িত থাকবে 🌸রবীন্দ্রসদনে। সেখানেই শ্রদ্ধা জানাতে পারবেন তাঁর গুণমুগ্ধরা। তারপর নিয়ে যাওয়া হবে নাকতলার বাড়িতে। সেখান থেকে টলিগঞ্জ মাজারে গোরস্থ করা হবে উস্তাদ রাশিদ খানকে।