রত্না পাঠক শাহ আর নাসিরুদ্দিন শাহের প্রেম কাহিনি শুনবেন নাকি? সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে প্রথম সাক্ষাতের কথা খোলসা করলেন🌜 বর্ষীয়ান অভিনেত্রী। ১৯৭৫ সালে তাঁদের প্রথম দেখা। এরপর লম্বা সময় প্রেম, তারপর লিভ ইন করার পর বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন ১৯৮২ সালের😼 ১ এপ্রিল। সাক্ষাৎকারে বরের সঙ্গে প্রথম দেখার কথা মনেই করলেন না, বরের থেকে পাওয়া সেই ‘উপদেশ’-এর কথাও স্মরণ করলেন যা তাঁকে সাহায্য করেছিল শ্বশুরবাড়ির সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে।
রত্না পাঠক এবং সুপ্রিয়া পাঠক সম্প্রতি টুইঙ্কেল খান্নার ইউটিউব টক শো দ্য আইকনস-এ হাজির হন। আর সেখানেই টুইঙ্কল রত্নাকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন কীভাবে তিনি প্রথমবার নাসিরের সঙ্গে দেখা করেন। সেই মধুর স্মৃতি স্মরণ করে রত্না জানান, একটি𒈔 নাটকের রিহার্সলে প্রথম চার চোখ এক হয়। অভিনেত্রী জানান, নাসিরের চোখে থাকা জন লেননের চশমাটি আসলে সবচেয়ে বেশি পছন্দ হয়েছিল তাঁর। দাড়ি ছিল অভিনেতার, আর দাড়ি আলা পুরুষ পছন্দ করতেন রত্না।
‘আমরা দুবেজির একটি নাটকের রিহার্ꦐসল করছিলাম একসঙ্গে। সেটির নাম ছিল সম্ভোগ সে সন্🦄ন্যাস তক। আমাদের জীবনের পুরো গল্প জুড়ে রয়েছে এই নাটক। তিনি একটি জন লেননের চশমা পরে এলেন। তাঁর সেই সময় দাড়িও ছিল। আর দাড়ি আলা পুরুষ আমার আবার খুব পছন্দ।’, জানান রত্না।
এরপরই রত্না জানান প্রথমদিকে তিনি নাসিরের নাম ঠিকভাবে উচ্চারণই করতে পারতেন না। অনেক কসরত করে তবেই সঠিক উচ্চারণটি শিখতে পেরেছিলেন। তিনি প্রথমদিকে জানতেন নাসিরের নাম শি🗹বেন্দ্র সিনহা। আসলে দুবেজির উচ্চারণেই এই বোঝার♏ ভুল। যদিও পরবর্তীতে নাসিরই নিজেকে পুরো কাস্টের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন। আর রত্নাও সঠিক নামটা জানতে পারেন।
রত্মার কথায়, ‘সেই সময় দুবেজির অনেকগুলো দাঁত পরেছিল। আর আমি বুঝতেই পারিনি উন🐓ি নাসিরের নাম কী বলছেন। আমি কোনও কারণে শুনেছিলাম সত্যেন্দ্র সিনহা।’
প্রসঙ্গত, রত্নাকে ভিয়ের আগে মনরা সিক্রিকে বিয়ে করেছিলেন নাসির। তাঁদের একটি কন্যা সন্তানও হয়, অভিনেত্রী হিবা শাহ। মনরা মারা যান ১৯৭৮ সালে। নতুন বাড়়িতে মানিয়ে নেওয়া প্রসঙ্গে রত্নাকে উপদেশ দিয়ে সেইসময় নাসির বলেছিলেন, তিনি যেন শ্বশুরবাড়ি গিয়ে সব সম্পর্ককে নাম দেওয়ার না চেষ্টা করেন। এবং কিছু জিনিস আলগা ছেড়ে দেন। সেটাই করেছিলেন রত্না। পরবর্তীকালে নাসিরের প্রথমপক্ষের মেয়❀ের সঙ্গেও ভালো সম্পর♌্কে গড়ে ওঠে রত্নার।