সময়টা ছিল ৯০-এর দশক। সেসময় বক্স অফিসে একেরপর এক হিট ছবি দিয়েছেন গোবিন্দা ও রবিনা জুটি। গোবিন্দা-রবিনার জুটি ছিল সেসময় সুপারহিট। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে গোবিন্দার সঙ্গে জুটি বেঁধে কাজ করা নিয়ে মুখ খুলেছেন রবিনা। তাঁর কথায়, শ্যুটিং চলাকালীন দেরিতে ঢ🌌োকাই ছিল গ♒োবিন্দার অভ্যাস।
নাহ, এরপরেও গোবিন্দার বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ করছেন না রবিনা। এখনও করছেন না। রবিনা ট্যান্ডন বলেন, ‘আমি হলাম প্রযোজক, পরিচালকের কথা মেনে চলা অভিনেতা। আমি মনে করি সেটে একজন পরিচালকই বস। আমি মনে করি যদি একজন প্রযোজক আমার থেকে ডেট নেন, তাহলে সেই তারিখে সময় মতো শ্যুটিংয়ে পৌঁছে যাওয়াই আমার কাজ। শ্যুটিংয়ে আমি সকাল ৯টায় সেটে পৌঁছে যেতাম। যদিও জানতাম, গোবিন্দা আসবে দুুপুর আড়াইটের সময়। তবে আমার অসুবিধা হত না, আমি মেক-♉আপ করে, ড্রেস পরে, সেজেগুজে ঘুমিয়ে পরতাম। বাকি থেকে যাওয়া ঘুম শেষ করতাম, কিংবা বই পড়তাম। দিনে এক সঙ্গে তিন-চারটি শিফটে কাজ করতাম।’
আরও পড়ুন-‘ডিপ্রেশন শব্দট♌া শহুরে, এটা বড়লোদের বিলাসিতা, গ্রামে এসব নেই!’ মত 🗹নওয়াজউদ্দিনের
রবিনার কথায়, ‘গোবিন্দা দেরিতে আসবে𒅌ন বলেই যে গোটা শ্যুটিং শেষ হতে দেরি হত, এমনটা কিন্তু নয়। উনি খুব দ্রুত কাজ করতেন। যে দৃশ্যটির শ্যুটিং করতে কারোর একদিন লাগত, সেটি উনি এক ঘণ্টায় শেষ করে ফেলতেন। প্রযোজকরা ওঁর কাজের ধরন জানতেন, তাই সমস্যা হত না। আর গোবিন্দার ছবি বক্স অফিসে হিট, তাই কারো কোনও অভিযোগের জায়গাই ছিল না। আমিও দোষ দিতাম না, দিব্যি ঘুমিয়ে নিতাম। তারপর উঠে একটু মেকআপে টাচ আপ করে নিয়ে শ্যুটিং শুরু করে দিতাম।’
সম্পꦆ্রতি গোবিন্দা অপেশাদার, দেরি করে শ্যুটিংয়ে আসতেন, এইসব গুঞ্জনের জবাব দিয়েছেন গোবিন্দা। মণীশ পালের পডকাস্টে এসে গোবিন্দা বলেন, ‘যখন আপনি সফল হন, তখন অনেকেই আপনাকে টেনে নিচে নামানোর চেষ্টা করবে। আমি যখন ১৪-১৫ বছর শীর্ষে ছিলাম, যখন সবকিছু আমার পক্ষে ছিল, তখন কেউ এই কথাগুলি তোলেনি… এটি হল ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি, সময়ের সাথে সাথে মানুষ বদলায়, এবং সমীকরণও তাই।’ আর এবার গোবিন্দা সম্পর্কে ওঠা এমন অভিযোগ নিয়ে মুখ খুললেন তাঁর সহ অভিনেত্রী রবিনা।