সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর সঙ্গে জড়িত আর্থিক তছরুপের মামলায় শুক্রবার অনেক টালবাহানার পর দুপুর বারোটা নাগাদ হাজির হন রিয়া চক্রবর্তী। সঙ্গে ছিলেন তাঁর ভাই, তথা এই মামলার অপর অভিযুক্ত শৌভিক চক্রবর্তীও। এরপর সেখানে এসে হাজির হন রিয়ার ম্যানেজার, তথা সুশান্তের প্রাক্তন ম্যানেজার শ্রুতি মোদী। সিবিআইএর এফআইআর এবং ইডি ইসিআইআর রিপোর্টেও অভিযুক্তের তালিকায় নাম রয়েছে শ্রুতি মোদীর।এদিন প্রায় তিনঘন্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর ইডির দফতরের বাইরে আসেন শৌভিক এবং সাংবাদিকদের ব্যাপক প্রশ্নের থেকে পালিয়ে বাঁচেন তিনি। গাড়ি নিয়ে সেই সময় বেরিয়ে গেলেও দুঘন্টা পর বিকাল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ ফের ইডির দফতরে আসেন শৌভিক। সূত্রের খবর, রিয়ার সম্পত্তি সম্পর্কিত বেশকিছু নথি এবং আটি রির্টানের ফাইল ও অন্যসকল ডকুমেন্ট এদিন সঙ্গে আনার নির্দেশ দিয়েছিল ইডি। সেগুলি গড়হাজির থাকাতেই ফেরত পাঠানো হয়েছিল শৌভিককে। তবে এদিনও দ্বিতীয়বার ইডির দফতরে ঢোকবার সময় শৌভিকের হাত ছিল খালি। তবে অন্য কেউ সেগুলো পৌঁছে দিয়েছেন কিনা তা স্পষ্ট নয়। সুশান্ত সিং রাজপুতের গার্লফ্রেন্ড রিয়ার বিরুদ্ধে ১৫ কোটি টাকা তছরূপের অভিযোগ এনেছে সুশান্তের পরিবার। সুশান্ত সিং রাজপুত প্রতিষ্ঠিত দুটি সংস্থার ডিরেক্টারের পদেও রয়েছেন রিয়া ও তাঁর ভাই শৌভিক চক্রবর্তী। এই সংস্থাগুলির আর্থিক লেনদেন খতিয়ে দেখছে ইডি।টাইমস নাওয়ের এক প্রতিবেদন থেকে জানা যাচ্ছে ২০১৮-২০১৯ অর্থবর্ষে রিয়া চক্রবর্তীর আয় ছিল মাত্র ১৪ কোটি টাকা। তেমনই বলছে তাঁর ইনকাম ট্যাক্স রিটার্ন (ITR) ফাইল।এত কম টাকা আয় করা সত্ত্বেও সম্প্রতি নাকি রিয়া মুম্বইয়ে দুটি কোটি কোটি টাকা মূল্যের সম্পত্তি কেনেন। একটি সম্পত্তি রিয়ার নিজের নামে, অন্যটি রিয়ার পরিবারের এক সদস্যের নামে। সেই টাকা কোথা থেকে এল? জানতে চাইবে ইডি। এদিন রিয়া ও শৌভিক এবং শ্রুতি মোদীর পাশাপাশি জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে রিয়ার চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট রীতেশ শাহকেও। আপতত মুম্বইয়ের ইডির দফতরে চারজনের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। জবাবে সন্তুষ্ট না হলে রিয়াকে গ্রেফতারও করবে পারে ইডি, এমনই মন্তব্য করেছেন সুশান্তের পরিবারের আইনজীবী বিকাশ সিং।