ব্যক্তিগত কাজ থাকায় এবার ২৮তম কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে থাকতে পারেননি ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। তিনি সিঙ্গাপুরে ছিলেন তখন। আর সেখান থেকেই তিনি হিন্দুস্তান টাইমসকে দেওয়া একটি বিশেষ সাক্ষাৎকারে তাঁর আগামী প্রজেক্ট থেকে নানা ব্যক্ꦓতিগত বিষয়, শাহরুখ খানের সঙ্গ🌄ে তাঁর সম্পর্কের বিষয়ে আলোচনা করেন।
এই সাক্ষাৎকা✨রে অভিনেত্রী জানান তিনি হতো দেড় মাস ধরে সিঙ্গাপুরে আছেন। কিন্তু কেন? এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'আমার মেয়ে এখানে ভীষণ অসুস্থ তাই আমি সব কিছু থেকে বিরতি নিয়েছি। আমি কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবও মিস করে গেলাম। কিন্তু কখনও তো জীবনে গুরুত্ব অনুযায়ী কোনও একটা বেছে নিতেই হয়, ত🍸াই না?'
এই বিষয়ে তিনি আরও বলেন, 'আমি গোটা উদ্বোধনী অনুষ্ঠান মিস করলাম। আমি প্রতিবার উপস্থিত থাকি, কিন্তু এবার পারিবারিক কারণে হল না। যদিও এমনিও মাঝে কয়েক বছর করোনার জন্য কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব অনুষ্ঠিত হতে পারেনি। আমি শাহরুখ এবং অমিতজিকে দেখেছি। অমিতজির তো ৮০তম জন্মদিন উদযাপন করা হল। আসল🦩ে এই অনুষ্ঠানটি পৃথিবীর অন্যতম বড় অনুষ্ঠান। এবার ভিক্টর বন্দোপাধ্যায়ের এবং আমার ছবি, আকরিক দেখানো হয়েছে।'
এরপর যখন তাঁকে শাহরুখ খানকে নিয়ে প্রশ্ন করা হয়, যে তাঁদের মধ্যে রসায়ন কেমন? সেটার উত্তরে অভিনেত্রী বলেন, 'সফলতার আরেক নাম হল শাহরুখ খান। আমাদের সময়ের অন্যতম উজ্জ্বল নক্ষত্র হলেন তিনি। যাঁর কোনও লিগ্যাসি নেই, কিছু⛄ই ছিল না, অথচ এলেন আর সব কেমন জিতে নিলেন। দেখতে, ভাবতেও ভালো লাগে। আমি ওঁকে ভীষণ শ্রদ্ধা করি।' কিং খানের সঙ্গে তাঁর কাজের স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, ' আমরা একসঙ্গে অনেক ইভেন্টে গিয়েছি। একটি বিজ্ঞাপনেও একসঙ্গে কাজ করেছি। ওঁর ক্রিকেট দলের খেলা দেখতে গিয়েছি ওঁর আমন্ত্রণেই। যখনই আমাদের দেখা হয় ভীষণ আন্তরিকভাবে মেশেন, কথা বলেন।'
অভিনেত্রীর কথায়, 'আনন্দ এল রাইয়ের সঙ্গে ওঁর বন্ধু হিসেবে আমার পরিচয় করিয়েছিল। এখন ﷽চার বছর ওর নতুন ছবি পাঠান মুক্তি পেতে চলেছে। ওঁকে কখনই একগাদা ছবি করার লক্ষ্যে দৌড়াতে দেখিনি। আর সেটাই আমার সব থেকে ভালো লাগে ওঁর বিষয়ে।'
শাহরুখের পর যখন তাঁকে নিয়ে প্রশ্ন করা হয় যে, ৯০ দশকের অন্যতম খ্যাতনামা অভিনেত্রী তিনি, বলা ভালো মহিলা সুপার স্টার ছিলেন তিনি বাংলার। সেই বিষয়ে তাঁর কী মত? বিশেষ করে যাঁরা ভাবেন অভিনেত্রীরা একটা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত নায়িকার চরিত্রে অভিনয় করতে পারেন? এই প্রসঙ্গে ঋতুপর্ণা বলেন, ' হ্যাঁ এটা ঠিক মানুষ বলে যে অভিনেত্রীদের একটা শেলফ লাইফ হয়। কিন্তু আমি বারবার সেটাকে ভুল প্রমাণ করতে চেয়েছি। আমি জানি না এই ভাবনাটা কোথা থেকে এসেছে। এটা খুব খারাপ ট্যাবু একটা। যদিও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে গোটা পরিস্থিতি বদলেছে। যদিও আমার অভিজ্ঞতা একটু আলাদা।' কোথায় তাঁর অভিজ্ঞতা আলাদা? এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'সকলে বলত তুমি এই নাটকে নায়িকা। বা নায়কের পরই তোমার নাম বলা হবে। আমার ভীষণ ক্লিশে লাগত বিষয়টা। কিন্তু সত্যি বলতে আমি ছবিগুলি খুব এনজয় করতাম, কারণ প্রতিটি ছবিই আমার খুব কাছের ছিল। প্রতিটি ছবির সঙ্গে আমার বদল হয়♌েছে। আমার চরিত্রগুলোর মধ্যে দিয়ে আমার পরিবর্তন এসেছে। আমি যখন পড়ে ঋতুপর্ণ ঘোষ, বুদ্ধদেব দাশগুপ্ত, অপর্ণা সেনের থেকে ছবির অফার পেতে শুরু করলাম তখন সেটা আমায় একদম নতুন ধরনের ছবি করতে সাহায্য করে। আর গোটা সফরের মধ্যে দিয়ে আমি দারুন কনফিডেন্স অর্জন করেছি। অনেক কিছু শিখেছি। আর সেটা এখনও চলছে।'
‘দহন’ থেকে ‘পারমিতার একদিন’, বা ‘দেবীপক্ষ’ থেকে ‘প্রাক্👍তন’ কিংবা ‘বেলাশেষে’, এই প্রতিটা ছবি কি কোথাও গিয়ে আর্ট এবং বাণিজ্যিক ছবির মধ্যে যে ফারাক আছে সেটাকে মুছে দিয়েছে? সেই প্রসঙ্গে অভিনেত্রী বলেন, মানুষ আমাকে এই ছবিগুলোর চরিত্রের জন্য মনে রেখেছে। এছাড়া ঋতুপর্ণ ঘোষের মতো মানুষের ক্ষমতা ছিল। অনেকে কেবল অভিনেত্রী হতে চান, কমফোর্ট জোনের মধ্যে থাকতে চান। যদিও সেট𓄧াই ভুল নেই কিছু। কিন্তু আমি বরাবর নিজের কমফোর্ট জোনের বাইরে গিয়ে কাজ করতে চেয়েছি। বারবার মনে হয়েছে একজন পুরুষ পারলে এখন মহিলা কেন নয়? আমার আজও ভালো ছবির খিদে মেটেনি। সেটাই আমায় তাড়িয়ে নিয়ে বেড়ায়। আর সত্যি বলতে প্রতিটা ছবি আমার জীবনের এক একটি অধ্যায়ের মতো।'
আগামীতে তাঁকে কোন কোন প্রজেক্টে দেখা যেতে চলেছে? এই প্রশ্নের উত্তরে ঋত🙈ুপর্ণা জানান, 'আমার হাতে এখন অনেক কাজ। অরিন্দম শীলের মায়াকুমারী, মহিষাসুরমর্দিনী উল্লেখযোগ্য। এছাড়া বেশ কিছু হিন্দি কাজও মুক্তির অপেক্ষায় আছে। এর মধ্যে আছে অনুরাগ কাশ্যপের বাঁশুরী, রেবতী মেননের গুড মর্নিং সানশাইন, ইত্যাদি আছে। এছ🍸াড়া চন্দন রায় সান্যালের সঙ্গে সল্ট নামক একটি প্রজেক্ট কাজ করলাম।