অতীতের তিক্ত স্মৃতি মুছে ফেলতে চান চর্চিত রিয়ালিটি শো-রোডিজ-এর বিজেতা আশুতোষ কৌশিক। এই জেরে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ আশুতোষ। ‘right to be forgotten’-এর আওতায় এই আবেদন দাখিল করেছেন একাধিক রিয়ালিটি শো-এর মঞ্চ কাঁপানো এই প্রতিযোগী। আশুতোষের কথায়, সেই সকল ভি൩ডিয়ো তাঁর জীবনে ‘ক্ষতিকারক প্রভাব’ ফেলছে। তাই গুগুলসহ অন্যসমস্ত অনলাইন প্ল্যাটফর্ম থেকে ওই ভিডিয়ো মুছে দেওয়ার আবেদন তাঁর।
২০০৯ সালে দুটি রিয়ালিটি শো জেতবার মাস কয়েকের মধ্যেই মদ্যপ অবস্থায় হেলমেট না পড়ে বাইক চালানোর ছেড়ে গ্রেফতার হন আশুতোষ কৌশিক। হাতাহাতিতেও জড়িয়েছিলেন তিনি। সেই সব ভিডিয়ো ও ফটো ইন্টারনেট থেকে সরিয়ে ফেলবার আবদেন জানিয়েছেন আশুতোষ কৌশিক𓄧।
এই মর্মে বিচারপতি রেখা পাল্লি একটি নোটিশ জারি করেছেন তথ্য সম্প্রচার মন্ত্রক, সার্চ ইঞ্জিন গুগুল, প্রেস কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়া এবং বিদ্যুতিন চ্যানেল পর্যবেক্ষণক💦ারী সংস্থার উদ্দেশ্যে। ‘রাইট টু প্রাইভেসি’ এবং ‘রাইট টু ফরগটন’-এর আও🌺তায় এই আবেদন জানিয়েছেন আশুতোষ।
আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষগুলিকে আদালতের কাছে নিজেদের জবাব পেশ করতে হবে। মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য হয়েছে ডিসেম্বর মাসে। রোডিজের পাঁচ নম্বর সিজন জিতে ছিলেন আশুতোষ কৌশিক। সালটা ২০০৭, পরের বছরই বিগ বসের মঞ্চে খেতাব জেতেন তিনি। নিজের সম্মান ও আত্মমর্যাদা অটুট রাখতে বেশ কিছু ভিডিয়ো, ছবি এবং সেই সংক্রান্ত নিউজ আর্টিকেল গুগ🏅লসহ অনান্য প্ল্যাটফর্ম থেকে মুছে দেওয়ার কথা জানান তিনি। কারণ সেই অতীত স্মৃতি তাঁর ব্যক্তিগত জীবনকে অস্থির করে তুলছে।
আবেদনের প্রতিলিপিতে বলা হয়েছে, যদিও ভারতীয় সংবিধꦆানে সরাসরিভাবে ‘রাইট টু বি ফরগটন’-এর উল্লেখ করা হয়নি, কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট ‘রাইট টু লাইফ’কে মান্যতা দিয়েছে যার সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে ব্যক্তি স༒্বাধীনতার প্রসঙ্গ। তাই সংবিধানের ২১ নম্বর আর্টিকেলের (রাইট টু লাইফ) সঙ্গে ওতোপ্রোতভাবে জড়িতে এই ‘ভুলে যাওয়ার অধিকার’।
বিগ বস এবং রোডিজ ছাড়া কিসমত লাভ পয়সা দিল্লি, শর্টকাট রোমিও, জিলা গাজিয়াবাদের༺ মতো বলিউড ফিল্মেও অভিন✱য় করেছেন আশুতোষ কৌশিক। গত বছর এপ্রিলে সাত পাকে বাঁধা পড়েন আশুতোষ।