আরজি কর কাণ্ডে তরুণী ডাক্তারের খুন ও ধর্ষণের দায় খানিক বর্তেছে রাজ্য সরকারের উপর। ক্ষোভ ফুঁসছে সাধারণ মানুষ। সকলেই চায়, আরজি করে এই ঘটনার সঙ্গে জড়িতরা উচিত শাস্তি পাক। কোনওভাব𝔉ে তৃণমূল সরকার যাতে দোষীদের আড়াল করার চেষ্টা না করে।
নানা স্তর থেকে আসছে প্রতিবাদ। তাতে সামিল ডাক্তার-নার্স-অভিনেতা-গায়ক-সমাজের সকল মানুষ। রাজনীতির রং যে লাগবেই, তা আর আলাদা করে বলে দেওয়ার দরকার পড়ে না𝕴। মমতা দোষ চাপাচ্ছেন রাম-বাম (বিজেপি-বামফ্রন্ট)-এর উপর। চুপ নেই বিরোধীরাও। এবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে খোলা চিঠি দিলেন অভিনেতা-বিজেপি নেতা রুদ্রনীল ঘোষ।
রুদ্রনীল একটি ভিডিয়🍸ো বার্তা শেয়ার করে নিলেন সোশ্যাল মিডিয়াতে। যেখানে তাঁকে বলতে শোনা গেল-
‘মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী, জাস্টিস চাই আওয়াজ যখন সব মানুষের বক্ষে, লিখছ💜ি একটা খোলা চিঠি সব জনতার পক্ষে। জাস্টিস চাই-জাস্টিস চাই, কে দেবে জাস্টিস, প্রমাণ ছাড়া বিচার কঠিন, প্রমাণ তো প্রায় হাপিস। কারণ প্রথম থেকেই প্রমাণ মোছার কাজ সেরেছে পুলিশ। একটা সিভিক জেলে পুড়ে বানাতে চান ফুলিশ। ইচ্ছে থাকে তড়িঘড়ি, ঝুলিয়ে দাও ফাঁসি। ধনঞ্জয়ের স্টাইলে লোকাও, আসল যারা দোষী।’
‘বলছে লোকে আরজি করে, ড্রাগ নাকি, সেক্স র্যাকেট নাকি, অঙ্ক বেচার কারবার। তা কী জানাতে খুন হল মেয়ে𝕴 উঠছে প্রশ্ন বারবার। কোন মাফিয়া বাঁচাতে এই গুলিয়ে দেওয়ার ফন্দি। প্রশাসনিক পদ্ধতিতে সত্যি হচ্ছে বন্দি। শুরু থকেই অস্বাভাবিক মৃত্যু বলে তড়ঘড়ি পোস্টমর্টেম🔯ের খেলা। আত্মহত্যা ঘোষণা হল, যাতে না বেড়ে যায় বেলা। খুন দেখে খুন না বলাতে, কী আড়ালের চেষ্টা। বিকেলের পর পোস্টমর্টেম, কী আড়ালের চেষ্টা। আচ্ছা, পোস্টমর্টেমের রিপোর্ট, এল এত তাড়াতাড়ি। আমাদের বেলা তো হয় না! কী লুকোতে মেয়ের দেহ, দ্রুত পৌঁছল তাঁর বাড়ি। দ্বিতীয়বারের পোস্টমর্টেমে কীসের ছিল ভয়। কী বাঁচাতে আপনার পুলিশ করছিল নয়-ছয়। জ্বলল মেয়ের শরীরজুড়ে হাজার প্রমাণ যত। ছাই হল সব প্রমাণ যত, এবার জাস্টিস হবেটা কী দিয়ে।
আপনি জানেন কেল্লাফতে, গুলোচ্ছে জাস্টিস। আর যেটুকু প্রমাণ আছে, হোক তবে পিস পিস। তাই, পিডব্লিউডি দিয়ে শুরু ঘর ভাঙবার কাজ, সিবিআই যদি ঘরে ঢোকে পড়বে মাথায় বাজ। মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী কীসের এসব কাজে আপন এত মেতে, প্রমাণ লোপাট করার খেলায় এইভাবে কেউ জেতে! কীসের নেশায় সন্দীপকে বানান প্রিন্সিপাল, ওই পাপীকে বাঁচাতে এখন🤪 নিজেই টালমাটাল। কোন চালাটা, কোন কলাটা পৌঁছে দিত ওই সন্দীপ সোনা। নাকি এত দিত, তত হিসেব যাবেই না তো গোণা।
মুখ্যমন্ত্রী মা-মেয়েরা রাত জেগেছে প্রতিবাদী চোখে। তাকিয়ে দেখুন, কতটা রাগ তাদের চোখে♈ মুখে! শুধু আরজিকেরর ঘটনা না, মুখ্যমন্ত্রী শুনুন। বছর ব💧ছর পাপের হিসেব, চাইছে ওরা দেখুন। ওরা জাস্টিস চায় সব ঘটনায়, এ রাজ্যেতে রোজ যা ঘটে। ওই আরজি করের সলতে দিয়ে, ক্ষোভের বোমাটা ফোটে।’
মুখ্যমন্ত্রী ভুলে গেলেন ꦏকেমন করে সিঙ্গুর-নন্দীগ্রাম। শুধু ওই একটা ঘটনাটাই কি কেমন মুছিয়েছিল বাম? ভালোই জানেন, ওটা ছিল সলতে। ক্ষোভের বারুদ জমেছিল, বদলটা চাই বলতে। জনগণকে গুলিয়ে দিতে আরজি করে হামলা, সবাই জানে আপনার লোক, কাকে বলবেন সামলা! সেদিন চার তলাতে ভাঙচুড়ে, প্ল্যানিং ছিল প্রমাণ ধ্বংসের। কিন্তু তাণ্ডব হল তিন তলাতে, অশিক্ষিতের বংশ। বাঁচতে গিয়ে দোষ চাপালেন দায়ি নাকি রাম-বাম, কোন ছকেতে দোষ চাপাবেন, ঝরছে তো আপনার কাল ঘাম। তারপর মৃত্যু কেনার দর কষলেন, মেয়ের দাম নাকি ১০ লাখ। যেন আলিবাবার চল্লিশ চোর বলছে চিচিং ফাঁক। ফাসছি দেখে মিছিল করেন, হে মুখ্যমন্ত্রী। সবার সামনে প্রমাণ দিলেন কে আসল ষড়ষন্ত্রী।
‘আরও অপদার্থ পুলিশমন্ত্রী, স্বাস্থ্যমন্ত্রী, আপনি হলেন নিজে। নিজের বিরুদ্ধে নিজেই মিছিলে, করেন আপনি কী যে! জাস্টিসꦇ চাই, জাস্টিস চাই, নিজেকে রোজ বলুন। প্রমাণ লোপাট আপনি করেন, অনেক হল চলুন… ও যাওয়ার আগে ওই পাখিকে সঙ্গে করুন, আরে আপনার পোষা দোয়েল, প্রমাণ লোপাট যার মদতে, কমিশনার বিনীত গোয়েল। আপনার সোনার ছেলে মিথ্য়ে বলে উর্দিটা গায়ে দিয়ে। সেসব খুলে জোড়া ফুলের সিম্বল নিক গায়ে।’
‘পড়ছে মনে হয় আরজি করে, কয়েক বছর আগে। ডাক্তার পৌলমী যে মারা গেলেন, স্মৃতিতে কি জাগে। সেটা হত্যা নাকি আত্মহত্যা জানেন পুলিশ মন্ত্রী? আরজি করকে নরক বানাও, কী চান ষড়ষন্ত্রী। জানি আপনি তাল ঠুঁকছেন পরিস্থিতি হোক ঠান্ডা। কদিন পরে সব ঝিমিয়ে গেলেই, ফের চালাবেন ডান্ডা।𝓡 মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী জ্বলছে আগুন সবার বুকে, এ আগুন নেভা শক্ত। বঙ্গবাসী চোরেদের নয়, প্রতিবাদের ভক্ত।’
‘অনেক হল সত্যি কথা, একটু বেশি হয়তো তেঁতো। শেষ লাইনে শেষ কথাটা, একটু বেশিই থতমত। আজ ধরে নিন মুখ্যমন্ত্রী ওই মেয়েটা আপনারই বাড়ির মেয়ে, ঘুমিয়ে গেলেও মেয়েটা আছে শুধু আপনার দিকে চেয়ে। আর কী আপনি করতে পারবেন, শুধু জাস্টিস চাই মিছিল তুলে। এইভাবে 🌞কী টপকানো যায় নিজের পাপের পাঁচিল। হে মাননীয়া মিখ্যমন্ত্রী, এইবার তো নিজের সম্মানটা রাখুন। মুখ্য থেকে মুর্খকে আজ দাঁড়িপাল্লায় মাপুন।’