বলিউডে যেমন সলমন খানকে দেখলেই প্রশ্ন আসে, ‘বিয়ে কবে করছ?’, তেমনটা আজকাল দেবের ক্ষেত্রেও। সুপারস্টার অভিনেতা, তৃণমূলের সাংসদ বহু বছর ধরেই সম্পর্কে রয়েছেন রুক্মিণী মৈত্রের সঙ্গে। সব ব্যাপারে খোলাখুলি মতামত দিলেই,𝓡 বিয়ের কথা উঠলেই গোল গোল জবাব আসে দেবের থেকে। আপদে-বিপদে একে-অপরের পাশে ঢাল হয়ে থাকা দেব-রুক্মিণীর কি সত্যিই বিয়ে করার ইচ্ছে নেই?
দেবের সঙ্গে বিয়ে প্রসঙ্গে রুক্মিণীর জবাব:
দেবের মতো বিয়ে করা নিয়ে প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয় রুক্মিণীকেও। ব্যুমেরাং ছবির প🅠্রচারের সময় অভিনেত্রী জানালেন, বিয়েতে বিশ্বাস আছে তাঁর। বিয়ে করবেনও। দেব-বান্ধবী বললেন, ‘আমার একটা সম্পর্ক আ⛎ছে। আর সেটা যতটা ভালোবাসার, তার থেকে অনেক বেশি সম্মানের। ২০১৭-তে আমি সিনেমা জগতে আসার অনেক আগে থেকে।’
আরও পড়ুন: ‘সন্দীপ রায়ের বাড়িতে বাসন মাজে…’ কাজের লোককে ‘ক্লাসলে🌠স’ বলা ইন্দ্রনীলকে কটাক্ষ ঝিলমের
অনেকেরই দাবি লুকিয়ে বিয়ে করেছেন তিনি আর দেব। তবে সামনে আনতে চান না! যদিও অভিনেত্রী হেসেই উড়িয়ে দিলেন সেই দাবি। আনন্দবাজারকে বললেন, ‘ওরে বাবা! আমার মা না আমাকে এরকম করবে (হাত 🦄দিয়ে কচু কাটার ভঙ্গিমা দেখিয়ে)। আমাদের একটা ছবি ছিল চ্যাম্প। সেখানে আমাদের বিয়ের দৃশ্য ছিল। ওটা থেকে শুরু হয়েছে। আমার মা-কে একজন প্রতিবেশীও এসে বলেছে, ওদের তো বিয়ে হয়ে গেছে। আমার মা-ও বলেছে, সে কী আমাকেও তো ডাকল না!’
রুক্মিণী স্পষ্ট করে দেন তাঁর কাছে সবচেয়ে প্রয়োজন ভালো থাকা, খুশি থাকা, আর সঙ্গে অবশ্যই একে-অপরের উপর বিশ্বাস। সম্পর্ক প্রশ্নে জবাব দেন, ‘আমার কাছে আমার মনের মানুষটা প্রাইমারি। বাকি সব সেকেন্ডারি। আমরা না এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় বিয়ের ফোটোটা, তারপর কোথাও ঘুরতে গেলাম সেটাতেই আট🎐কে আছি। আমি সত্য🏅ি ভালো আছি, খুশি আছি, কমিটমেন্ট আছি, এটাই দরকার। এই সম্মান, এই কমিটমেন্টটাই দরকার আমার কাছে।’
আরও পড়ুন: ‘সোহাগে আদরে’ মাখামাখি! কোয়েলে বুঁদ অরিজিৎ, 🌳চুলে গুঁজল মুখ, দেখুন সেই ভাইরাল ছবি
দেবের সঙ্গে লিভ ইন করা নিয়ে কী বলছেন রুক্মিণী?
লিভ ইন করছেন না বলেও স্পষ্ট করে দিলেন রুক্মিণী। পরবর্তীতে করতে চান কি না প্রশ্নে বললেন, ‘এভাবে বলা মুশকিল। কখন কী হবে। আমি আমার মা-বাবার খুব ভালো সম্পর্ক দেখেছি। আমার বাবাকে শেষ দিন অবধি মাকে চুমু খেতে দেখেছি। তবে আরেক দিক থেকে আমি আমার চেনা অনেককে বলতে শুনেছি, এই মানুষটাকে আগে থেকে চিনলে, বিয়ে করতাম না। কোথাও না কোথাও আমি মনে করি একটা মানুষের সঙ্গে সম্পর্কে থাকা আর সেই মানুষটার সঙ্গে এক ঘরে থাকার মধ্যে অনেক পার্থক্য আছে। তোমার যদি মনে হয় তুমি লিভ ইন করে মানুষটাকে আরও ভালো করে চিনতে পারবে, তাহলেও তাই করো। কে কী বলল, ভেব♊ে লাভ নেই। যদি পরিবার পাশে থাকে, তোমার সিদ্ধান্ত নিতে সুবিধে হয়, তাই করো। কারণ আমাদের সমাজে ১০ বছরের সম্পর্ক ভাঙাকে সাধারণ চোখে দেখা হয়, আর ১০ মা🍌সের বিয়ে ভাঙাও বিশাল একটা ব্যাপার। বিশেষ করে মেয়েদের ক্ষেত্রে। তাই নিজের যেটা ভালো মনে হয়, সেটাই করা দরকার। ’