৬ বছরের প্রেম সম্পর্ক পূর্ণতা পেয়েছে। গত ১৯শ এপ্রিল সাত পাকে বাঁধা পড়েছেন অভিনেত্রী রূপাঞ্জনা মিত্র মানে অনুরাগের ছোঁয়ার লাবণ্য। পাত্র টলিপাড়ার পরিচিত মুখ রাতুল মুখোপাধ্যায়। আক্ষরিক অর্থে ছেলে কোলে বিয়ে সেরেছেন রূপাঞ্জনা। ১০ বছরের শিশুপুত্র রিয়ান সাক্ষী থেকেছে মায়ের নতুন জীবন শুরুর প্রতিটা মূহূর্তে। আরও পড়ুন-ছেলে কোলে বিয়ে করেꦍছেন, রাতুল-রূপাঞ্জনার আইনি বিয়ের দিনও ক🃏্যামেরা হাতে রিয়ান
রূপাঞ্জনার বিয়ের সাজ সকলকে মুগ্ধ করেছে। বিয়ের পর আপতত একটু জিইয়ে নিচ্ছেন অভিনেত্রী। সম্প্রতি ছেলে ও স্বামী রাতুলকে নিয়ে কলকাতার এক সাততারা হোটেলে পেটপুজো করতে পৌঁছেছিলেন অভিনেত্রী। বন্ধু সুদীপা 🥃চট্টোপাধ্যায়ের দেওয়া লাল বেনারসিতে ঝলমলে রাতুলের নববিবাহিতা স্ত্রী। হাতে শাঁখা-পলা, সিঁথিতে চওড়া সিঁদুর, গলায় মঙ্গলসূত্র, রূপাঞ্জনার উপর থে🎶কে চোখ সরছে না রাতুলের। নেটপাড়াতেও ভেসে এসেছে শুভেচ্ছা বার্তা। তবে অনেকেই ট্রোল করতে ছাড়েননি রূপাঞ্জনাকে।
শুরু থেকেই রাতুল-রূপাঞ্জনার বিয়ের কেন্দ্রে থেকেছে দুজনের বয়সের ব্যাবধান নিয়ে চর্চা। ডিভোর্স, সিঙ্গল মাদার রূপাঞ্জনা বয়সে রাতুলের চেয়ে ৬ বছরের বড🌄়। রূপাঞ্জনার ডিনার ডেটের ছবির কমেন্ট বক্সে এক মহিলা মন্তব্য করেন, ‘বুড়ি কি সাজ’। সেটি রূপাঞ্জনার চোখে পড়তেই ওই নেটিজেনকে যোগ্য জবাব দিলেন দীপার শাশুড়িমা।
কড়া ভাষায় অভিনেত্রী লেখেন, 'সিরিয়ালের চরিত্রটাও বুড়ির নয়, আসল জীবনেও নয় চুমকি ডার্লিং। এটা আপনাদের ঈর্ষান্বিত হয়ে মন্তব্য, তাও লক করা (ফেসবুক) প্রোফাইল থেকে। আসলে কি জানেন তো আপনারাই সমাজের মানুষ যারা নিজেরা ফাসট্রেডেট থাকেন আর অন্যদের উস্কানি দেন। প্রোফাইল ব্লক করতেই পারি কিন্তু করবো না, আপꩵনাদের ঘৃণা খুব কম। আর সত্যি কথা বলতে এই ঘৃণা প্রচুর কম সংখ্যক মানুষের থেকে পেয়েছি। সেটা আপনারই বলুন আর পরিবারই বলুন, কিন্তু জেনে রাখবেন আপনারা সংখ্যায় খুবই কম। তাই নিজের মগজকে বেশি আমাদের নিয়ে ভাবাবেন না। তাতে আরও বেশি ফাসট্রেটেড হয়ে যাবেন, তাতে আপনার ক্ষতি। সেটা আপনাদের ক্ষতি, আর সেটা আমরা চাই না। ভালো থাকবেন'।
এদিন লাল পোশাকে রূপাঞ্জনার সঙ্গে টুইনিং করলেন তাঁর নতুন বর। বাবা-মা পোজ দিতেই খিচিক করে ছবি তুলল রিয়ান।⛦ এই ছবি শেয়ার করে রূপাঞ্জনা ক্যাপশনে লেখেন, ‘তোমার সঙ্গে এই নতুন অধ্যায় শুরু করতে পেরে রোমাঞ্চিত। এই যে আমাদের নতুন জীবন।’ হ্য়াজ ট্যাগে দিয়েছেন #সদ্য বিবাহিত। সবশেষে রূপাঞ্জনা লিখেছেন, ‘ছবিটি তুলেছে আমাদের একমাত্র চ্যাম্প।’ রিয়ানকেই চ্যাম্প বলে ডাকেন রাতুল।