পরনে নীল রঙা হ্যান্ডলুম শাড়ি, চোখে রোদচশমা। গরম থেকে বাঁচতে টেনে বাঁধা হাত খোঁপা ভরসা। সাংসদের পরিচিতি গলায় ঝুলিতে দিল্লি মেট্রোয় সায়নী ঘোষ। শুক্রবার, সংসদ অধিবেশনের পঞ্চম দিনে ঠিক এইভাবেই সংসদ ভবনে পৌঁছান যাদপপুরের তৃণমূল সাংসদ। আরও 🌞প෴ড়ুন-মধ্যমণি কল্যাণ, সংসদে পা রেখেই সেলফি মুডে, নুসরত-মিমিদের ‘ভুল’ রিপিট করলেন না সায়নী-রচনারা
দিল্লির শিবাজি পার্ক🃏 স্টেশন থেকে মেট্রোয় ওঠেন তারকা সাংসদ। প্রায় ৪০ মিনিটের মেট্রো সফরের পর নামেন সেন্ট্রাল সেক্রেটারিয়েট স্টেশনে। ‘আদ আদমি’র মতো মেট্রো চেপে সায়নীর সংসদে যাওয়ার ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় হু হু෴ করে ভাইরাল হয় এদিন সন্ধ্যায়।
এখন আর তাঁর পরিচিতি শুধু নায়িকা নন। জনপ্রতিনিধি তিনি। যাদবপুরের ম꧙ানুষের ‘হক’ আদায়ের জিম্মা তাঁর কাঁধে সঁপেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূলের সাংগঠিনক দায়িত্বে আসার পর থেকে চলনে-বলনে মমতার ‘মিনি ভার্সন’ হয়ে উঠেছেন সায়নী।
প্রচারের সময় ‘অতি সাধারণ’ ইমেজ তুলে ধরেছিলেন সায়নী ঘোষ, ভোটে জিতেও একইরকম তিনি। অথচ এর জন্য় কম ট্রোলিং-এর মুখে পড়লেন না নবনির্বাচিত সাংসদ। একজন নেটিজেন লেখেন, ‘ভেবেছিল বাংলার মতো ওখানেও ওকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হবে। তাই ভেবে মেট্রো তে চড়েছিল। কিন্তু ওখানে ওকে কেউ বসতেই দেয়নি।’ অপর একজন কটাক্ষের সুরে লেখেন, ‘সব ভণ্ডা🍌মি। এরা নিজেই ফটো তোলায় মিথ্যা পাবলিসিটির জন্য।’ আরেকজন ট্রোল করে লেখেন, ‘ওকে তো কলকাতারই কেউ চেনে না। দিল্লির মানুষ চিনবে ক🎉ী করে?’
বাংলার রাজনীতিতে সায়নীর উত্থান বিদ্যুৎ গতিতে। '২১-এর বিধ🍰ানসভা নির্বাচনের আগে ‘বামঘেঁষা’ সায়নী ঘাসফুলে যোগ দেন। ভোটে লড়ে হেরে যান সায়নী। কিন্তু অল্প সময়ের মধ্যেই মমতার সুনজরে আসেন নিজের কাজের ম༺াধ্যমে। সময় যত গড়িয়েছে ততই বাংলার রাজনীতিতে নিজের গুরুত্ব বাড়িয়েছেন সায়নী।
সমাজমাধ্যমে জ🐎য় শ্রীরাম স্লোগানের বিরোধিতা করায় যখন গেরুয়া শিবিরের রোষে পড়েছিলেন সায়নী, তখন তাঁর পাশে দাঁড়ান মমতা। এরপরই বামমনস্ক সায়নীর সঙ্গে মমতার নৈকট্য় বাড়ে। ধীরে ধীরে পোড়খাওয়া রাজনীতিবিদ হয়ে উঠেছেন সায়নী। একুশের বিধানসভা ভোটের সময়ে সায়নী ঘোষের পোস্ট করা ‘শিবলিঙ্গে কন্ডোম’ টুইট নতুন করে মাথাচাড়া দিয়েছিল। এবারেও তার অন্য়থা হয়নি। অতীত বিতর্কের ‘অভিশাপ’ ঘোচাতেই বোধহয় লোকসভা ভোটের প্রচারের সময়ে একাধিকবার শিবলিঙ্গের পুজো করেছেন সায়নী। এমনকী সাংসদ পদ জেতার শংসাপত্র সবার প্রথম শিবের পায়েই অর্পণ করেছেন তৃণমূলের এই তরুণ তুর্কী। ভোটে জিতে এখন পার্লামেন্টে সায়নী। যাদবপুরবাসীকে দেওয়া কথা রাখবেন তিনি, আশা সক্কলের।