মিমি ছিলেন নরম মাটি! যাদꦏবপুরের জন্য ‘কোমর বেঁধে ঝগড়া করতে পারে’ এমন কাউকে চেয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই কারণেই সায়নী ঘোষকে টিকিট দেন তৃণমূল সুপ্রিমো। নিরাশ করেননি সায়নী, আড়াই লক্ষেরও বেশি ব্যাবধানে যাদবপুর লোকসভা আসন জিতেছেন তৃণমূলের যুবনেত্রী🎀।
ফল ঘোষণার পরেও আলোচনার কেন্দ্রে সায়নী। একটা সময় মমতা-বিরোধী শিবিরে দেখা যেত সায়নীকে, পরে তাঁর হাত ধরেই প্রকাশ্য়ে রাজনীতিতে। মমতার নীতিই শুধুই মুগ্ধ করেনি সায়ন𓄧ীকে, দিদির মতোই সাদা খোল, সরু একরঙা পাড় বিশেষত নীল কিংবা সবুজ রং-এর শাড়িতে দেখা যায় তাঁকে। তৃণমূলের সাংগঠিনক দায়িত্বে আসার পর থেকে চলনে-বলনে মমতার ‘মিনি ভার্সন’ হয়ে উঠেছেন সায়নী।
প্রচারের সময়েই কথা দিয়েছিলেন যাদবপুরের মানুষের ঘরের মেয়ে হয়ে উঠ🍨বেন। সাংসদ পদে শপথ গ্রহণের আগেই ময়দানে নেমে পড়েছেন সায়নী। তাঁর ‘জোশ’ বেজায় ‘হাই’। একদিনও বিশ্রাম নিতে চান না, মানুষের জন্য কাজে নেমে পড়েছেন তিনি। বুধবার বারুইপুর পূর্ব এবং সোনারপুর উত্তরে সাংগঠনিক বৈঠক করেন। বৃহস্পতিবারও বারুইপুর পশ্চিমে করলেন কর্মীসভা।
মমতা আগেই চালু করেছেন, ‘দিদিকে বলো’। সেই ধাঁচে যাদবপুরের মানুষের দাবিদাওয়া জানতে ১ মাসের মধ্যে হেল্পলাইন চালু করবেন সায়নী। পাশাপাশি সপ্তাহে একদিন বরাদ্দ করছেন যাদবপুরবাসীর অভাব-অভিযোগ শোনার জন্য। বৃহস্পতিবার বারুইপুর রবীন্দ্রভবনে দাঁড়🔯িয়ে মমতার সৈনিক সায়নীকে বলতে শোনা গেল, ‘একমাসের মধ্যে হেল্পলাইন নম্বর চালু হবে। যেখানে মানুষ সাংসদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করতে পারবে। সমস্যা জানাতে পারবে। পাশাপাশি, পুরসভার যে সব ওয়ার্ডে মাইনাস হয়েছে সেখানে আমি নিজে কাজ করব। আমি মাঝে মাঝে আসব না। সব সময়ই আসব।’
বাংলার রাজনীতিতে সায়নীর উত্থান বিদ্যুৎ গতিতে। '২১-এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে ‘বামঘেঁষা’ সায়নী ঘাসফুলে যোগ দেন। ভোটে লড়ে হেরে যান সায়নী। কিন্তু অল্প সময়ের মধ্যেই মমতার সুনজরে আসেন নিজের কাজের মাধ্যমে। সময় যত 🐲গড়িয়েছে ততই বাংলার রাজনীতিতে নিজের গুরুত্ব বাড়িয়েছেন সায়নী।
সমাজমাধ্যমে জয় শ্রীরাম স্লোগানের বিরোধিতা করায় যখন গেরুয়া শিবিরের রোষে পড়েছিলেন সায়নী, তখন তাঁর পাশে দাঁড়ান মমতা। এরপরই বামমনস্ক সায়নীর সঙ্গে মমতার নৈকট্য় বাড়ে। ধীরে ধীরে পোড়খাওয়া রাজনীতিবিদ হয়ে উঠেছেন সায়নী। একুশের বিধানসভা ভোটের সময়ে সায়নী ঘোষের পোস্ট করা ‘শিবলিঙ্গে কন্ডোম’ টুইট নতুন করে মাথাচাড়া দিয়েছিল। এবারেও তার অন্য়থা হয়নি। অতীত বিতর্কের ‘অভিশাপ’ ঘোচাতেই বোধহয় লোকসভা ভোটের প্রচারের সময়ে একাধিকবার শিবলিঙ্গের পুজো করেছেন সায়নী। এমনকী সাংসদ পদ জেতার শংসাপত্র সবার প্𒅌রথম শিবের পায়েই অর্পণ করেছেন তৃণমূলের এই তরুণ তুর্কী। ভোটে জিতে পার্লামেন্টে যাচ্ছেন সায়নী। যাদবপুরবাসীকে দেওয়া কথা রাখবেন সায়নী🅰, আশা সক্কলের।