আজ আরও ꦏএকটা ২১ ফেব্রুয়ারি। নাহ ভাষা দিবসের কথা বলছি না। আজ উত্তম কুমারের অন্যতম নায়িকা সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়ের জন্মদিন♛। আজ বুধবার, ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪, ৮৭ বছরে পা রাখলেন সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়। তবে জন্মদিনেও নাকি কারোর সঙ্গে দেখা করতে চাইছেন না সাবিত্রী। কিন্তু কেন?
এবিষয়ে টিভি9 বাংলাকে সাবিত্রী জানান, বিগত দেড়মাস ধরে তিনি খুবই অসুস্থ। তাঁর শরীর এক্কেবারেই ভালো নেই। তিনি খুবই অসুস্থ। সর্দি, কাশি, সেইসঙ্গে জ্বর রয়েছে। নেবুলাইজারও নিতে হচ্ছে তাঁকে। আর তাইꦡ জন্মদিনে সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়ের বাড়়িতে আজ কোনও আয়োজনই হচ্ছে না। সাফ জানিয়ে🅷ছেন, আজ (বুধবার) জন্মদিনে কারোর সঙ্গে দেখাও করছেন না তিনি।
স্বাধীনতার পূর্বে, অখণ্ড ভারতে জন্ম হয়েছিল কিংবদন্তি অভিনেত্রী সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়ের।🌳 সেটা ছিল ১৯৩৭ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি। বাংলাদেশের কুমিল্লা জেলার একটা ছোট শহরে কমলাপুরে জন্মগ্রহণ করেন সাবিত্রী। তাঁর বাবা শশধর চট্টোপাধ্যায় ছিলেন রেলের স্টেশনমাস্টার। ১৯৪৭ সালে দেশভাগের সময় কিশোরী বয়সে কলকাতার দিদির🐬 বাড়ি টালিগঞ্জে চলে আসেন সাবিত্রী। টালিগঞ্জেই তাঁর বেড়ে ওঠা। আর তাই সেই সময় বাংলা ছবির তারকাদের খুব কাছ থেকেই দেখার সুযোগ পেয়েছিলেন।
আরও পড🥂়ুন-‘কাঞ্চন ইমোশনাল ফুল’!, সদ্🌳য বিয়ে করেই কেন স্বামীকে নিয়ে একথা বললেন শ্রীময়ী?
সাবিত্রী চট্টোপাধ্যারা ছিলেন ১০ বোন। নতুন জায়গায় এসে অভিনেত্রীর বাবার পক্ষে এতজনের স🌺ংসার চালানো সম্ভব হচ্ছিল না। আর তাই খুবই অল্পবয়সে (ফ্রক পরা, কিশোরী বয়স) অভিনয় দুনিয়ায় পা রাখেন সাবিত্রী। তাঁর প্রথম ছবি ছিল, 'পাশের বাড়ি'। যে ছবির জন্য তিনি পারিশ্রমিক পেয়েছিলেন মাত্র ২০০ টাকা। যদিও নাকি সেসময় তাঁর উচ্চারণে ওপার বাংলার টান থাকায় তিনি বাদ পড়েছিলেন। পরে ওই চরিত্রের জন্য আর কাউকে🧸 না পেয়ে প্রস্তাব সাবিত্রীর কাছেই ফিরে আসে। তারপর ছবি মুক্তি পেতেই সাবিত্রীর অভিনয়ে মুগ্ধ হন বাংলা ছবির দর্শক।
পরবর্তী সময়ে ‘গলি থেকে রাজপথ’, ‘অবাক পৃথিবী’, ‘অনুপমা’, ‘দুই ভাই’, ‘ধন্যি মেয়ে’, ‘মাল্যদান’, ‘নিশিপদ্ম’ সহ অসংখ্য ছবিতে অভিনয় করেছেন সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়। একসময় উত্তম-সুচিত্রা এবং উত্তম-সুপ্রিয়া জুটির জনপ্রিয়তা যখন কিছুটা থিতিয়ে পড়েছে। ঠিক তখনই মহানায়ক উত্তম কুমারের সঙ্গে জুটি বেঁধেছিলেন সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়। সেসময় উত্তম-সুপ্রিয়া জুটিও খুবই জনপ্রিয়🍌 হয়েছিল।। উত্তম কুমার বিভিন্ন সꦐাক্ষাৎকারে সাবিত্রীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছিলেন বহুবার। সাবিত্রীর অভিনয়গুণে মুগ্ধ ছিলেন খোদ মহানায়ক।