বিখ্যাত সাহিত্যিক সলমন রুশদি। নিউ ইয়র্কে ভাষণের ঠিক আগে আক্রান্ত হন ত🐼িনি। তাঁর উপর হামলায় স্তম্ভিত গোটা বিশ্ব। নিউইয়র্কে একটি অনুষ্ঠানে তাঁর উপরে হামলা চালায় বছর ২৪-র এক যুবক।
সংবাদসংস্থা পিটিআইয়ের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এপির এক সাংবাদিক জানিয়েছেন, রুশদির পরিচয় পর্বের সময় মঞ্চে উঠে আসেন এক ব্যক্তি এবং তাঁকে ঘুষি মারতে থাকেন। রুশদির ঘাড়ে গুরুতর আঘাত লেগেছে। এয়ারলিফ্ট করে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়ꩲ। বর্তমানে তিনি ভেন্টিলেটরে আছেন। চোখের সামনে বুকারজয়ী সাহিত্যিকের উপরে এইরকম হামলায় নিন্দার ঝড় বয়ে গিয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘আমার লম্বা চুল, ত্ব🐼ক দেখে….’, মেয়ে মাসাবার ব্রণ, চুলের সমস্যা নিয়ে অকপট নীনা
এই ঘটনার পরই বলিউড অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাওয়াতের মন্তব্য, তিনি এই ঘটনায় ‘আতঙ্কিত'। অভিনেত্রী স্বরা ভাস্কর এটিকে লজ্জাজনক বলেছেন। জাভেদ আখতার এবং রণবীর শোরেও এ꧋ই হামলার নিন্দা জানিয়েছেন।
কঙ্গনা তাঁর ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে হামলা সম্পর্কে একটি সংবাদ নিবন্ধ শেয়ার করেছেন এবং লিখেছেন, ‘জিহাদিদের আরেকটি ভয়ঙ্কর কাজ। স্যাটানিক ভ🥀ার্সেস এই সময়ের অন্যতম সেরা বই… যেভাবে কেঁপে উঠেছি বলার মতো শব্দ নেই… ভয়ঙ্কর।’
জাভেদ আখতারও হামলার নিন্দা জানিয়েছেন। তিনি টুইটারে লিখেছেন, ‘আমি সলমন রুশদির ওপর কিছু ধর্মান্ধ ব্যক্তির বর্বরোচিত হামলার নিন্♏দা করছি। আমি আশা করি এনওয়াই পুলিশ এবং আদালত হামলাকারীর বিরুদ্ধে সম্ভাব্য সবচেয়ে কঠিন ব্যবস্থা নেবে।’
স্বরা ভাস্কর ঘটনাটিকে লজ্জাজনক বౠলে অভিহিত করেছেন এবং টুইটে লেꦏখেন, ‘সলমন রুশদির জন্য চিন্তিত এবং প্রার্থনা। এ হামলা লজ্জাজনক, নিন্দনীয় ও জঘন্য! #SalmanRushdieStabbed।’
রণবীর শোরে সলমনꩲ রুশদির জন্য বেশ কꩵয়েকটি পোস্ট রিটুইট করেছেন এবং আক্রমণকারীকে ‘শিকারী’ বলে অভিহিত করেছেন। একটি টুইটের প্রতিক্রিয়া জানিয়ে লেখেন, ‘পাগলরা সত্যিই বিশ্ব দখল করেছে’। রণবীর আরও লিখেছেন, ‘ওরা পাগল নয়। ওরা মাথা চান। ওরা শিকারী।’
আরও পড়ুন: শ্রীদেবীর ღজন্মꦡবার্ষিকী, মায়ের সঙ্গে পুরনো ছবি পোস্ট করে আবেগঘন জাহ্নবী-খুশি
ওয়েস্টার্ন নিউইয়র্কের চৌতাকুয়া ইনস্টিটিউশনের অনুষ্ঠানে পরিচয়ের সময় মঞ্চে হাদি মাতার নামে নিউ জার্সির বাসিন্দা বছর ২৪-এর এক যুবক সল🃏মন রুশদির উপর হামলা চালায়। ‘দ্য স্যাটানিক ভার্সেস’ লেখার পর বছরের পর বছর ধরে ইসলামপন্থীদের মৃত্যুর হুমকির সম্মুখীন হয়েছেন এই সাহিত্যিক। প্রসঙ্গত, ১৯৮৮ সাল থেকে ইরানে নিষিদ্ধ আছে রুশদির লেখা 'দ্য স্যাটানিক ভার্সেস'। একাধিক মুসলিম সংগঠনের দাবি, ইসলাম ধর্মের বিরুদ্ধে কথা বলেন সলমন।