সঙ্গীত আবার এক নক্ষত্রপতন। লতা মঙ্গেশকরের পরে এ🐬বার গীতশ্রী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়। ৯০ বছরে এসে পথচলা শেষ হল তাঁর। গত কয়েক দিন ধরেই অসুস্থ অবস্থায় ভর✨্তি ছিলেন হাসপাতালে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সেখানেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন কিংবদন্তি শিল্পী।
১৯৩১ সালে কলকাতার ঢাক♓ু🧸রিয়ায় জন্ম হয় তাঁর। ছয় ভাইবোনের মধ্যে কনিষ্ঠতম ছিলেন তিনি। বাবা নরেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় ছিলেন রেলের অফিসার, মা হেমপ্রভা দেবী গৃহবধূ।
সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের ছোটꦿবেলা থেকেই সঙ্গীতের প্রতি আগ্রহ ছিল। পণ্ডিত সন্তোষকুমার বসু, এটি কানন, চিন্ময় লাহিড়ির থেকে তিনি তালিম পেয়েছেন। তবে গুরু হিসাবে তিনি বারবার বলতেন উস্তাদ বড়ে গুলাম আলি খাঁ সাহেবের কথা। ছোটবেলা থেকেই ধ্রুপদী সঙ্গীতের তালিম শুরু হয় তাঁর।
যদিও ছোটবেলা থেকে ধ্রুপদী সঙ্গীতচর্চা দিয়ে শুরু করেছিলেন, কিন্তু সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় বাংলা আধুনিক গান এবং চলচ্চিত্রের গানেও সমান মাপে জনপ্রিয়তা পান। শুধু বাংলাতেই নন, হিন্দি ছবিতেও কাজ করেছেন তিনি। ১৯৫০ সালে ‘তারানা’ ছবি দিয়ে শুরু করে একের পর এক হিন্দি ছবির ✅গান গেয়েছেন তিনি। সব মিলিয়ে ১৭টি হিন্দি ছবিতে গান গেয়েছেন সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়।
১৯৫২ সালে পাকাপাকিভ▨াবে কলকাতায়ফিরে আসেন তিনি। শুরু করেন পর পর বাংলা ছবিতে গান গাওয়া। ১৯৬৬ সালে শ্যামল গুপ্তর সঙ্গে বিয়ে হয় তাঁর। শ্যামল গুপ্তর লেখা বহু গানও গেয়েছেন সন্ধ্যা।
বাংলা সিনেমার গান যত দিন থাকবে, তত দিন অমর থাকবেন সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়। হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে 🃏একের পর এক কালজয়ী গান গেয়েছেন তিনি। উত্তম কুমারের ছবি মানেই, তাঁর কণ্ঠে সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের গান এক সময়ে বাঙালির গানে বসে গিয়েছিল। সে গান না শুনলে বাঙালির মনের আশা মিটত না। হেমন্ত ছাড়াও সুরকার রবিন চট্টোপাধ্যায়, নচিকেতা ঘোষের সঙ্গেও বহু ছবিতে কাজ করেছেন সন্ধ্যা।
তবে শুধু গান নয়, রাজনৈতিক কারণেও সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় মনে থেকে যাবেন অনেকেরই। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময়ে দুঃস্থ আশ্রয়প্রার্থীদের সাহায্য করতে এগিয়ে এসেছিলেন তিনি। অর্থ তোলার বিষয়ে তিনি পুরোভাগে দাঁড়িয়েছিলেন। স্বাধীন বাংলাদেশে রেডিয়ো সেন্টার খোলার বিষয়েও তাঁর অগ্রণী ভূমিকা ছিল। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে ‘তুমি ফিরে এলে’ বলে একটি গানও গান সন্ধ্যা। এপার বাংলার পাশাপাশি ওপার বাংলাতেও তাই তাঁর জনপ্র🦹িয়তা ছিল সমান মাপের।
কিছু দিন আগেই কোভিড সংক্রমণ হয় তাঁর। সেই সংক্রমণের পরেই বেশ অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়। এরই মধ্যে তাঁকে ‘পদ্মশ্রী’ পুরস্কার দেওয়ার কথা শোনা যায়। কিন্তু সন্ধ্যা জানিয়েছিলেন, ওই পুরস্কার তাঁর জন্য অসম্মানজনক🥀। তাই তিনি সেটি নিতে চাননি।
এর কিছু দিন পরে আবার ꦿঅসুস্থ হয়ে পড়েন শিল্পী। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন তিনি। শেষ হল একটি যুগের। মায়াবতী মেঘের রাজ্যে পাকাপাকিভাবে চলে গেলেন আধুনিক🥀 বাংলা গানের হাতেখড়ি যে কয়েক জন কিংবদন্তির হাত ধরে, তাঁদের একেবারে পুরোভাগে থাকা