টানা ১৫ দিন জিজ্ঞাসাবাদের পর সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফꦆতার আর জি কর মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তন সুপার সন্দীপ ঘোষ। চিকিৎস তরুণীর খুন-ধর্ষণের ২৬ দিনের মাথায় গ্রেফতার। সুপ্রিম কোর্টে আগামি বৃহস্পতিবার আর জি কর মামলার শুনানি, তার ঠিক তিনদিন আগে সিবিআইয়ের জালে সন্দীপ। যদিও খুন ও ধর্ষণের মামলা নয়, আর জি করে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছেন প্রাক্তন সুপার।
সোমবার সন্ধ্যায় এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েছে প্রতিবাদী জুনিয়র ডাক্তার-সহ বাংলার লাখো মানুষ। মানুষের আন্দোলন বিফলে যায়নি, খানিক স্বস্๊তি সবার। কেউ বলছেন, ‘যেটা পুলিশ করতে পারেনি, সেটা সিবিআই করে দেখিয়েছে।’ কিন্তু তাতেও বিপদের মেঘ যেন কাটছে না। সন্দীপ ঘোষের গ্রেফতারি নিয়ে মুখ খুলেছেন টলিউডের সদস্যরাও।
গত কয়েকদিনে আম জনতার সঙ্গে ভিড়ে মিশে আর জি করের নির্যাতিতার বিচার দা💧বি করেছেন স্বস্তিকা, সোহিনী, শ্রীলেখা, সুদীপ্তা, সৃজিতরা। ফেসবুকে সৃজিত মুখোপাধ্যায় কেবল একটা শব্দ লেখেন এই কাঙ্খিত গ্রেফতারির পর। লেখেন, ‘ফাইনালি’। জিতু কমল লেখেন, ‘প্রথম ব্রেকথ্রু’। গ্রেফতারির খবর সোশ্যালে তুলে ধরেছেন দিতিপ্রিয়া রায়, পিয়া চক্রবর্তীরাও।
সন্দীপের গ্রেফতারি নিয়ে বিদিপ্তা চক্রবর্তী টিভি নাইন বাꦑংলাকে জানান, ‘এটা নিঃসন্দেহে ভাল খবর। কিন্তু এটা কোনও আইওয়াশ নয় তো? কারণ, জানতে পারলাম তাঁকে তিলোত্তমা ধর্ষণ মামলা নয় আর্থিক দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে। কিন্তু আমার প্রশ্ন হল তাঁর নাম তো প্রকাশ্যে এসেছে তিলোত্তমা ঘটনাকে কেন্দ্র করেই।' বিদিপ♑্তার মতে, আর জি করের নির্যাতিতার সঙ্গে ঘটা নৃশংস ঘটনাকে কেন্দ্র করেই সন্দীপের নাম উঠে এসেছে। সেই কারণে সেই মামলাতেই সন্দীপের গ্রেফতারি দরকার।
শ্রাবন্তীর কথায়, ‘আমি চাই যে ভাবেই হোক তিলোত্তমার সঙ্গে যাঁরা এই নৃশংসতা করেছে তারা যেন শাস্তি পায়। তিলোত্তমা যেন ন্যায় বিচার পায়।’ এদিন শুধু সন্দীপ ঘোষ নন, আর্থিক দুর্নীতির মামল𓂃ায় সিবিআই গ্রেফতার কর♊েছে তাঁর দেহরক্ষী আফসার আলি খান এবং দুই ভেন্ডার বিপ্লব সিনহা ও সুমন হাজরাকে। সব মিলিয়ে এদিন একসঙ্গে চারজন সিবিআইয়ের জালে।
অভিনেতা অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায় লেখেন, ‘৪টে উইকেট ডাউন?🐓’ ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হওয়া চারজনকে সিজিও কমপ্লেক্স থেকে নিজাম প্যালেসে আনা হয়েছে। মেডিক্যাল পরীক্ষার পর 🎶আগামিকাল (মঙ্গলবার) আদালতে পেশ করা হবে অভিযুক্তদের।