পুজো প্রায় এসে গিয়েছে। বাইরের আবহাওয়া যদিও অন্য কথা জানান দিচ্ছে, কিন্তু বৃষ্টি উপেক্ষা করেই কꦇেনাকাটায় মজে বাঙালি। পুজোর প্রত্যেকটা দিন কেমন সাজবেন তা নিয়ে চিন্তায় কয়েক মাস আগে থেকেই ঘুম উড়ে যায় বাঙালি মেয়ে-বউদের। পুজোর পাঁচটা দিন নিজেকে সের☂া দেখানোটা খুব জরুরি। অষ্টমির অঞ্জলি থেকে দশমীর সিঁদুর খেলা- বাঙালি মেয়েদের জন্য শাড়ি মাস্ট। তা আম জনতা হোক বা সেলেব সবার জন্যই এই ফর্মুলা খাটে।
অভিনেত্রী সন্দীপ্তা সেনের স্টাইল স্টেটমেন্ট নিয়ে নতুন করে কিছু বলার নেই। ছোট পর্দার মা দুর্গা টলিগঞ্জের অন্যতম ফ্যাশনিস্তা। শাড়ি হোক বা ওয়েস্টার্ন সব পোশাকেই মোহময়ী তিনি। এবছর পু♈জোতে ফ্যানে♎দের জন্য ‘বোধন’ নিয়ে হাজির হচ্ছেন সন্দীপ্তা। এর পাশাপাশি গোটা পুজোর প্ল্যানও সেরে ফেলছেন নায়িকা।
এ বছরের দুর্গাপুজোটা সন্দীপ্তার জন্য খুব স্পেশ্যাল। মাস কয়েক ꧅আগেই প্রেღমের খবরে শিলমোহর দিয়েছেন অভিনেত্রী। প্রেমিকের সঙ্গে এটাই তাঁর প্রথম পুজো। পরস্পরকে দেওয়া উপহারে রয়েছে ভালোবাসার ছোঁয়া। এক সাক্ষাৎকারে সন্দীপ্তা জানালেন, সৌম্যের দেওয়া সাদা-হলুদ মলমল শাড়ি পরেই অষ্টমীর সকালে অঞ্জলি দেবেন তিনি। প্রেমিককেও ডিজাইনার অভিষেক রায়ের একটি সুন্দর পাঞ্জাবি উপহার দিয়েছেন তিনি। নায়িকা জানান, ‘সৌম্যর জন্য অভিষেক রায়ের নকশা করা একটি পাঞ্জাবি কিনেছি। ওর যে দিন ইচ্ছে সেটা ও পরবে।’
তবে শুধু সৌম্য না বাবা-মা'র জন্যও জমিয়ে শপিং করেছেন সন্দীপ্তা। পাঞ্জাবির পাশাপাশি বাবার জন্য জিনস, 🦩শার্টও কিনেছেন। মায়ের জন্য দুটো শাড়ি কিনেছেন। এখন পর্যন্ত সন্দীপ্তার দুটো শাড়ি হয়েছে। একটা ঢাকাই মসলিন, অন্যটা মলমল। আসলে সাদা শাড়ি খুব পছন্দের সন্দীপ্তার, সেই শাড়ির লোভ তিনি সামলাতে পারেন না। শাড়ির পাশাপাশি কুর্তিও কিনেছেন দুটো। ক্যাজুয়াল পোশাক কেনার প্ল্যানিং রয়েছে। কারণ পুজোর পর ঘুরতে যাবেন সন্দীপ্তা, বিদেশ সফরের জন্য শীতের পোশাকও কিনতে হবে- সেটারও পরিকল্পনা রয়েছে।
শাড়ির সঙ্গে ম্যাচিং গয়নাও কিনবেন সন্দীপ্তা। ইতিমধ্যএই দুটো🌜 ঝুমকো কিনেছেন। কাজের চাপ সামলে শাড়ির সঙ্গে মানানসই কানের দুল কিনবেন। আজকাল অনলাইনে শপিং-এর ঝোঁক বেড়েছে, যদিও সন্দীপ্তার কথায়,'আমার হাতে নিয়ে দেখেশুনে না কিনলে ঠিক পছন্দ হয় না।' স্টার স্টেটাসের꧙ জন্য আজকাল নিউ মার্কেট বা গড়িয়াহাটের ফুটপাতে পুজোর কেনাকাটা যেতে পারেন না, সেই আফসোসও সঙ্গে রয়েছে তাঁর।