বিয়ের পর প্রথম সবকিছুই স্পেশ্যাল! তাই শহরের পরিস্থিতি যতই টালমাটাল হোক, যতই মন খারাপের রেশ থাকুক সন্দীপ্তা সেনের কাছে এই বছরের পুজোটা একটু বেশি স্পেশ্যাল। গত বছর ডিসেম্বরে সৌম্যর হাত ধরে দাম্পত্য় জীবন শুরু করেছেন টেলিভিশনের ‘দুর্গা’। সন্দীপ্তা আরজি করের ঘটনার প্রতিবাদও জানিয়েছেন, বিচারও চেয়েছেন তবে উৎসব থেকে দূরে নেই তিনি। আরও পড়ুন-সঙ্গী যদি তোমায় সম্মান না ক♊রে…’, সম্পর্কে রেড ফ্ল্যা𝓡গ থেকে বড়পর্দায় সুযোগ না পাওয়া নিয়ে সরব সন্দীপ্তা সেন
বিয়ের পর প্রথম পুজো কেমন কাটবে সন🙈্দীপ্তার? হিন্দুস্তান টাইমস বাংলার সঙ্গে শেয়ার করে নিলেন নায়িকা। পুজোর প্রসঙ্গ উঠতেই জানালেন, ‘এই বছর ভিতরে একটা খারাপ লাগা তো আছেই। আরজি করের ঘটনাটা আমাদের সবার মনে গভীরভাবে দাগ কেটে গেছে। সঠিক বিচার পেলে আমরা সবাই কিছুটা হলেও শান্তি পাব। কিন্তু বিয়ের ꦰপর প্রথম পুজোটা তো আর আসবে না, তাই নিশ্চিতভাবেই সেটা স্পেশ্যাল। দুজনেই সেটা নিয়ে এক্সাইটেড’।
ষষ্ঠী পর্যন্ত পুজোর কাজ নিয়ে ব্যস্ত সন্দীপ্তা। তারপর বন্ধু, স্বামী আর পরিবারের সঙ্গেই সময় কাটাবেন। বললেন, 'পুজোর প্ল্যান তেমন কিছু নয় আমরা চারজনে মিলে (বাবা-মা, সৌম্যকে) একটু বেরোব। বন্ধুদের সঙ্গেও সপ্তমী-অ🐠ষ্টমীতে কিছু প্ল্যান রয়েছে, সৌম্য় আমার জীবনে আসার পর আমি বাবা-মা'কে নিয়ে একা বেরোলে বাবা-মা ওকে এত্ত মিস করে। আমি বলি- ‘তুই প্লিজ আসিস’। পুজোর শেষের দিকে বাইরে ঘুরতে যাওয়ার প্ল্যানও রয়েছে।'
বিয়ের পর প্রথম পুজোয় কী উপহার পেলেন বরের থেকে? কেনাকাটা নিয়ে অভিনেত্রী বললেন, ‘শপিং টুকটাক হয়েছে। বাবা এই বছর বলেছে নতুন ফোন নে൲বে, তাই সেটা দিয়েছি। মায়ের জন্য শাড়ি কিনেছি। সৌম্যও আমাকে দুটো ড্রেস কিনে দিয়েছে, এছাড়া একটা শাড♕়িও দিয়েছে। আমি ওকে একটা পাঞ্জবি কিনে দিয়েছি, কয়েকটা ফরম্যাল শার্টও দিয়েছি।’
সন্দীপ্তার কাছে পুজোর সাজ মা😼নে সেটা কেমন হবে? চটপট জবাব, ‘অষ্টমীর অঞ্জলিটা শাড়িতে দেব, কিন্তু কেমন সাজব, কোন শাড়িটা পরব তা এখনও ভেবে উঠতে পারিনি। আমি চারদিন শাড়ি পরার মেয়ে নই। তবে অবশ্যই সাবেকি সাজই পছন্দ দুর্গাপুজোতে। অষ্টমী আর দশমীতেই আমি মূলত শাড়ি পরি, বাকি সালোয়ার স্যুট বা অন্য কিছু’।
বরের সঙ্গে প্রথম অষ্টমীর অঞ্জ🥃লি, কতট উত্তেজিত নায়িকা? জানালেন, 'আগেও দু-বছর একসঙ্গে অষ্টমীর অঞ্জলি দিয়েছি। তবে এই বার মিস্টার অ্যান্ডে মিসেস হিসাবে প্রথম, সেটা নিয়ে এক্সাইটেড। তাই ওঁর সঙ্গে কাটানো প্রতিটা ক্ষণ খুব স্পেশ্যাল আমার কাছে। এই বছর সিঁদুর খেলাটা হবে না! নবমীর দিনই আমরা ঘুরতে বেরিয়ে পড়ছি। তাই ওটা মিস করব।