লোকসভা ভোটে কঙ্গনা রানাওয়াতের প্রার্থী হওয়ার খবর প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই তাঁকে নিয়ে শুরু হয়েছিল নানা জল্পনা। আর ভোটে জেতার পর তাঁকে ঘিরে হওয়া চড়-কাণ্ড নিয়ে উত্তাল হয়েছিল স্যোশাল মিডিয়া। কিন🔜্তু তারপরও একটার পর একটা বিষয় নিཧয়ে কঙ্গনা সংবাদের শিরোনামে। আর এবার দিল্লি পৌঁছে অভিনেত্রী তথা নবনির্বাচিত বিজেপি সাংসদ কঙ্গনার অদ্ভুত দাবি নিয়ে আবারও দানা বেঁধেছে বিতর্ক।
সংসদ সদস্য হিসাবে শপথ নেওয়ার পরে তিনি থাকতে যান মহারাষ্ট্র সদনে। সেখানেই মুখ্যমন্ত্রীর ঘরে থাকতে চান তিনি। আর তা নিয়েই মঙ্গলবার প্রধান বিরোধী জোট নানা প্রশ্ন তোলে, আবারও পরিস্থিতি হয়ে ওঠে উতপ্ত। কঙ্গনা হিমাচল প্রদেশে তাঁর নিজের শহর মান্ডি থেকে জয়লাভ করে, এখন নির্বাচিত সাংসদ। তিনি সংসদীয় অধিবেশনে যোগ দিতে বর্তমানে দিল্লিতে রয়েছেন। সেখান🉐ে মহারাষ্ট্র সদনে থাকছেন নেত্রী। তবে এখানেই শেষ নয় এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে, তিনি নাকি মহারাষ্ট্র সদনের সমস্ত কক্ষ ঘুরে দেখেন, সেগুলি দেখে তাঁর মনে হয় ওই ঘরগুলি কম আরামদায়ক হতে পারে, একমাত্র মুখ্যমন্ত্রীর স্যুট তাঁর জন্য সঠিক, তাই তিনি সেখানে থাকার জন্য অনুরোধ করেছিলেন।
আরও পড়ুন: ‘অমিতাভ বচ্চনের পরে আমিই…’! নিজের বক্তব্য থেকে এখন⛄ও নড়তে নারাজ কঙ🔥্গনা
আর তাঁর এই মুখ্যমন্ত্রীর স্যুট চাওয়াকে কেন্দ্র করে আবার উঠেছে নিন্দার ঝড়। তাঁর এই কাজকে শিবসেনার সাংসদ তথা প্রধান মুখপাত্র, সঞ্জয় রাউত অযৌক্তিক বলে কটাক্ষ করেছেন।🔥 🔜তিনি বলেন, 'কেন, তিনি মহারাষ্ট্র ভবনের দিকে নজর না দিয়ে, রাষ্ট্রপতি ভবনেই তো থাকতে পারতেন।'
আবার কংগ্রেসের প্রাক্তন মন্ত্রী যশোমতি ঠাকু💖র বলেন, 'অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাওয়াত যেহেতু একজন নবনির্বাচিত সাংসদ, তাই তিনি এই জাতীয় বিষয়ের প্রোটোকল সম্পর্কে খুব একটা জানেন না। সেই জন্যই বোধ হয় তিনি এই আবেদন করেছেন।'
এনসিপি (এসপি) জাতীয় মুখপাত্র, ক্লাইড ক্র্যাস্টো বলেছেন, 'মাত্র তিন বছর আগেই যখন এমভিএ-এর তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে তাঁর গণ্ডগোল হয়েছিল, তখন কঙ্গনা রানাওয়াত মুম্বই এবং মহারাষ্ট্রকে পাকিস্তানের সঙ্গে তুলনা করেছিলেন। এখন হঠাৎ করে তিনি দাবি করলেন যে, মহারাষ্ট্র তাঁর দ্বিতীয় বাড়ির মতো... তাহলে কেন তিনি তাঁর 'জন্মভূমি'র পরিবর্তে তাঁর এই 'কর্মভূমি' থেকে লꦯোকসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেন না?'
এর পাশাপাশি অনেকের ম⛄তে, কঙ্গনা রানাওয়াত যেহেতু হিমাচল প্রদেশের একজন নির্বাচিত সাংসদ, তার উচিত ছিল মহারাষ্ট্র সদনের♈ পরিবর্তে হিমাচল ভবন কর্তৃপক্ষের কাছে এই জাতীয় সমস্যাগুলি উত্থাপন করা।
প্রসঙ্গত, মান্ডি লোকসভা কেন্দ্র থেকে বিজেপির হয়ে প্রতিনিধিত্ব করে কঙ্গনা কংগ্রেসের বিক্রমাদিত্য সিংকে ৭৪,৭৫৫ ভোটের ব্যবধানে প💯রাজিত করেন ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে।