‘আমি মানুষের গান গাই, আমি পথে ঘাটে, মিটিং-মিছিলে গান গাই…'। লোকসভা ভোটে বামশূন্য, তবুও নতুন ভোরের স্বপ্ন দেখা 'কমরেড' আরাত্রিকা সিনহা এবার গণসঙ্গীতের পসার সাজিয়ে হাজির সারেগামাপা-র মঞ্চে। তাঁর দৃঢ় কন্ঠে মজে কৌশিকি চক্রবর্তী, জাভেদ আলিরা। আরও প♕ড়ুন-‘মাহোল আবার কী? বাংলা ভাষার সর্বনাশ করবেন না’🦹, অভিযোগে বিদ্ধ সারেগামাপা-র বিচারক, কী জবাব অন্তরার?
গ্র্য়ান্ড অডিশনের পর সারেগামাপা-র মেগা অডিশনেও সারা ফেলল আরাত্রিকার গান। প্রথমদিন ‘কারার ওই লৌহ কপাট’ গেয়ে হইচই ফেলেছিল সে। এব♉ার তাঁর গলায় শোনা গেল, ‘পথে এবার নামো সাথী পথেই হবে পথ চেনা…’। সলিল চৌধুরীর কথা ও সুরে সাজানো এই গণসঙ্গীত প্রাণ পেল আরাত্রিকার কন্ঠে।
আরাত্রিকা দাদুর স্বপ্নপূরণে হাজির হয়েছে সারেগামাপা-র মঞ্চে। এতদিন বাম দলের নানান অনুষ্ঠানে, পথসভায়, সভামঞ্চে গান গেয়েছে সে। ছোট থেকে রাজনৈতিক আবহে বড় হয়েছে আরাত্রিকা।🍷 তাঁর গানে মুগ্ধ নেটপাড়া। একজন লেখেন, ‘অনেকদিন পর গণসংগীত শুনে মনটা ভীষণ ভরে গেল। খুব সুন্দর গেয়েছো দিদিভাই। এগিয়ে যাও আমরা তোমার সঙ্গে আছি তুমি জয়ী হয়ে এসো। আরো অনেক অনেক গণসংগীত গাও। আমাদের মন প্রাণ ভরে যাক’।
আরেকজন লেখেন, ‘কি বলবো ?💫 ভাষা খুঁজে পাচ্ছি না। শুধু ওকে লাল ⛎সেলাম জানালাম’।
আরাত্রিকার গান শুনে সঙ্গে সঙ্গে সবুজ 🌳সংকেত দেন ইন্দ্রদীপ দাশগুপ্ত। ধীরে ধীরে অপর বিচারকไরাও আরাত্রিকাকে সারেগামাপা-র মঞ্চে আসার জন্য গ্রিন সিগন্যাল দিয়ে দেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় এক জনৈক আরাত্রিকার পারফরম্যান্সের ভিডিয়ো শেয়ার করে লেখেন, ‘গণসংগীতের কথা শুনলেই যারা নাক তোলেন, তাদের নাক কেটে দেওয়ার জন্য এই পারফর্ম করাটাই যথেষ্ট.....’।
বাঁকুড়ার ভাদুলের মেয়ে আরাত্রিকা। তাঁর গান শুনে ইমন বলে ওঠেন, ‘আমার সꦫব থেকে বেশি আনন্দ হচ্ছে। আমি মন থেকে চা🐼ইছিলাম ও যেই সাবজেক্টটা পারফর্ম করে সেই সাবজেক্টটা মঞ্চে থাকুক, এটা আমাদের সবার জন্য অত্যন্ত জরুরি’।
সারেগামাপা-র মূল পর্বে পৌঁছে উচ্ছ্বসিত আরাত্রিকা। এখন প্রশ্ন হল কার টিমে গেল সে? জানিয়ে রাখি🐽, আরাত্রিকাকে দলে নিতে চেয়েছিল জোজো এবং জাভেদ আলির টিম এবং ইমন ও রাঘবের টিম। শেষ পর্যন্ত 🎃জাভেদ আলি এবং জোজোর টিমে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় আরাত্রিকা। জীবনের গান গাওয়া আরাত্রিকা এই সিজনে কতটা সাড়া ফেলবে? সেই প্রশ্নের জবাব মিলবে সারেগামাপা-র আগামী পর্বগুলিতে।