দু-দিন আগেই দিদির হাত থেকে মহানায়ক সম্মান গ্রহণ করেছেন সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূলের অন্যতম যুবনেত্রী তিনি, অভিনয় ছেড়ে এখন রাজনীতিই তাঁর ধ্যানজ্ঞান। টলিউডে শেষ কোন ছবিতে দেখা গিয়েছে সায়ন্তিকাকে, তা মনে করতে রীতিমতো বেগ পেতে হবে। শেষ পাঁচ বছরে সায়ন্তিকার ঝুলিতে একমাত্র ছবি ‘সেভিংস অ্যাকাউন্ট’। এই ছবি কবে এল আর গেল তাও কেউ মনে রাখেনি। তারপরেও সায়ন্তিকার হাতে উঠেছে ‘মহানায়ক সম্মান’। ঠিক কী কারণে এই সম্মান হাতে পেয়েছেন সায়ন্তিকা? প্রশ্ন নিন্দকদের। অভিনেত্রীকে ‘চটিচাটা’ বলে൩ ট্রোল করতে ছাড়েনি কেউ। দিদির পদলেহন করেই আজ এই পুরস্কার, এমন কথাও বলেছেন অনেকে।
এর আগেও বহুবা⛎র ট্রোলিং-এর মুখে পড়েছেন সায়ন্তিকা, বিদ্রুপ-কটাক্ষ কোনওটাই নতুন নয়। 'মহানায়ক' পুরস্কার হাতে দেখে লোকজন তাঁর যোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন, এবার নায়িকার সপাট জবাব- ‘আমি নিন্দকদের ভীষণ ভালোবাসি। ফ্যানেদের চেয়েও সমালোচকরা আমার পছন্দের, আসলে ফ্য়ানেরা শুধু ভালোটাই বলেন, নিন্দকদের চোখে ভুলটা পড♒়ে’। এই সময়কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সায়ন্তিকা জানান, ‘অভিনেতা-অভিনেত্রীদের পার্সোনাল লাইফ বলে কিছু হয় না’। মানুষের প্রতি তাঁরা দায়বদ্ধ বিশ্বাসী অভিনেত্রী।
মহ🍃ানায়ক পুরস্কার তাঁর হাতে ওঠায় যে এত🌜ো সমালোচনা, সেই ব্যাপারে কী মত তাঁর? সায়ন্তিকা জানান- 'সবই যে কারুর ভালো লাগবে তা তো নয়। ব্যক্তি বিশেষে চিন্তাধারা আলাদা হতেই পারে। নিন্দাকে আমি খারাপভাবে নিই না। ১২ বছর ধরে আমি এই ইন্ডাস্ট্রিতে রয়েছি। অনেকেই কাজ করতে এসেছেন, আবার হারিয়ে গিয়েছেন। ক'টা ছবি করলাম সেটা আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ নয়। আমি কিন্তু ডাইনোসর যুগ থেকে টিকে রয়েছি'।
তারকাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে ভোটে জেতার পরে এলাকায় দেখা যায় না তাঁদের, সে মামলায় একদম উলটো পথের পথিক সায়ন্তিকা। ২০২১-এর বিধানসভা নি🌞র্বাচনে বাঁকুড়া থেকে লড়ে হেরে গিয়েছেন তিনি, তারপরেও বাঁকুড়ার মানুষের আপদে-বিপদে ছুটে যান। সেই প্রসঙ্গে সায়ন্তিকা বললেন-'কাজ হোক বা রাজনীতি, সবক্ষেত্রেই প্রতিশ্রুতি আমি রক্ষা করার চেষ্টা করি। বাঁকুড়ায় হেরে যাওয়াটা এখনও মেনে নিতে পারিনি। জিতলে হয়তো মানুষের জন্য আরও কাজ করতে পারতাম।' বলেই দিলেন, বাঁকুড়ার ব্যাপারে তিনি সেলফিশ। মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দেন না, তবে চেষ্টা করেন মানুষের হয়ে কাজ করার।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি অগাধ বিশ্বাস সায়ন্তিকার, সেই থেকেই রাজনীতিতে আস🎃া। দিদিকে চোখে হারান অভিনেত্রী। ত🔯াঁর কথায়, ‘পয়সা দিয়ে শিল্পীদের কেনা যায় না। আমরা সম্মান আর ভালোবাসার কাঙাল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে সম্মান আর ভালোবাসা আমাদের দিয়েছেন।’ কোনও ভুল হলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সবার আগে প্রতিবাদ জানান, দলীয় বৈঠকে উপস্থিত থাকার অভিজ্ঞতা থেকে জানালেন সায়ন্তিকা।
২৪ তারিখ মহানায়ক সম্মান নিয়েও দিদির প্রশংসায় পঞ্চমুখ ছিলেন অভিনেত্রী। সেই ফ্রেমবন্দি মুহূর্ত ভাগ করে নিয়ে লেখেন-'আমাকে এই বৃহত্তর সম্মানের যোগ্য ভাবার জন্যে আমি ধন্যবাদ জানাই আমার মাতৃসমা মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী শ্রীমতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তথ্য ও ꧂সংস্কৃতি দপ্তর পশ্চিমবঙ্গ ও সর্বোপরি আমার দর্শক। সম্মান ও ভালোবাসা এক শিল্পীর সারা জীবনের সম্পদ, এই সম্মান আরও ভালো করে কাজ করার অনুপ্রেরণা দেবে।’