আরজি কর কাণ্ডে উত্তাল রাজ্য। তারই মাঝে বেলঘড়িয়া প্রফুল্ল নগরে প্রকাশ্য রাস্তায় ঘটল ভয়ঙ্কর এক ঘটনা। যেকথা জানলে যে কোনও সুস্থ-স্বাভাবিক মানুষ হয়ত শিউরে উঠবেন। প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় স্কুল থেকে ফেরার পথে প্রকাশ্য রাস্তায় মায়ের সামনেই 💮নাবালিকাকে কোপাল এক অল্পবয়সী যুবক। জানা যাচ্ছে, বেলঘড়িয়া প্রফুল্ল নগর বেকারি রোড এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। ঘটনা ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। জনতা পথ অবরোধ করে। ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আর এই ভয়ঙ্কর, নৃশংস ঘটনার ভিডিয়ো নিজের ইস্টাগ্রামে তুলে ধরে প্রতিবাদে ফের একবার সোচ্চার হলেন অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়। স্বস্তিকা যে ভিডিয়োটি পোস্ট কর✃েছেন, সেখানে রক্তাক্ত অবস্থায় তরুণীকে রাস্তায় বসে পড়তে দেখা যাচ্ছে। অন্যদিকে তখন ঘটনার আকষ্মিকতায় হতভম্ব তরুণীর মা। তবে ঘটনাস্থলে উপস্থিত অন্যান্য জনতা অভিযুক্ত যুবককে মারধর শুরু করেছেন, সেখানে এক মহিলাকেও মারধর করতে দেখা যাচ্ছে। অন্যদিকে ঘটনাস্থলে আরও এক স্কুল পড়ুয়াকে দেখা যাচ্ছে। অন্যদিকে কেউ কেউ চেঁচিয়ে বললেন, এখনই হাসপাতালে নিয়ে যান।
স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায় নিজের ইনস্টাগ্রামে ভয়ঙ্কর এই ভিডিয়ো পোস্ট করে লিখেছেন, ‘আজকে বিকেলে বেলঘড়িয়া প্রফুল্ল নগর বেকারী রোড এলাকায় স্কুল ফেরত দশম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে তার মায়ের সামনেই কুপিয়ে খুন করার চেষ্টা করেছে ঐ পাড়ারই একটি ছেলে। দমদম সারদা মিশন বালিকা বিদ্যালয়ের ঐ ছাত্রীটিকে কিছুদিন আগে প্রপোজ করেছিলো ঐ ছেলেটি। মেয়েটি ছেলেটির কথায় রাজি না 🍸হয়ে ছেলেটির গালে এক চড় মারে। তারপর থেকে মেয়েটি মার সাথেই যাতায়াত করতো। আজকে ছেলেটি প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য বসেছিলো ঐ স্কুলের যাতায়াতের পথেই একটি বসার জায়গায়। আর মেয়েটি মায়ের সাথে স্কুলের থেকে ফেরার পথেই তাদের পথ আটকে দাঁড়ায় ছেলেটি। আর পরপর তিন চারটে কোপ মারে মেয়েটিকে। পাড়ার লোকেরা ঐ ছেলেটিকে ধরে ফেলে গণধোলাই দিয়েছে ঠিকই। তবে মেয়েটির পরিবারের আর ওর মায়ের অবস্থা ভাবতে কষ্ট হচ্ছে। বুক শিউরে উঠছে।’
(ঘটনার নৃশংসতার কারণে হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা এই ভিডিয়ো সামনে আনল না…)
জানা যাচ্ছে,ꦚ ঘটনায় ধৃত যুবকের নাম অভিজিৎ দত্ত। বেলঘড়িয়ার প্রফুল্লনগরের বাসিন্দা অভিজিৎ। আক্রান্ত নাবালিকা নবম শ্রেণির ছাত্রী। বুধবার বিকেলে মায়ের সঙ্গে স্কুল থেকে ফিরছিলেন নাবালিকা। তখন আচমকা এসে হাজির হয় অভিজিৎ দত্ত নামে ওই যুবক। ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথারি ওই নাবালিকাকে কোপাতে থাকে সে। পুলিশ গিয়ে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তা🎶রের পাশাপাশি অস্ত্রটি বাজেয়াপ্ত করেছে।