ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনায় গুরুতরভাবে জখম অভিনেতা অরিন্দম গঙ্গোপাধ্যায়, ভর্তি হাসপাতালে! কী হয়েছে তাঁর? কোন হাসপাতালেই বা ভর্তি তিনি? না না দুশ্চিꦏন্তা ☂করবেন না। আসলে ধারাবাহিকে 'বসু পরিবার'-এর অঞ্জন বাবু দুর্ঘটনার কবলে। সান বাংলার 'বসু পরিবার' ধারাবাহিকের গল্প সেদিকেই মোড় নেবে। কী দেখা যাবে সেখানে জানেন?
দুর্ঘটনায় আক্রান্ত অঞ্জন বাবু ওরফে অরিন্দম গঙ্গোপাধ্যায়!
গল্পে বড় দুর্ঘটনার মুখোমুখি বসু পরিবারের কর্তা অঞ্জন বসু। এই চরিত্রে দেখা যাচ্ছে অরিন্দম গঙ্গোপাধ্যায়কে, হাসপাতালে ভর্তি সে, তার প্রয়োজন প্রচুর রক্তের। অঞ্জন বসু সন্তানদের নিজের সবটা উজাড় করে দিয়ে এসেছেন সারা জীবন, মানুষ করেছে, বড় করেছে, তাদের প্রতিষ্ঠিত করেছেন জীবনে। কিন্তু গল্পে সেই ছেলে মেয়েরাই কেউ আহত বাবাকে রক্ত দিতে নারাজ। তাই নানা অজুহাত দেখিয়ে পিছিয়ে যায় তারা। অথচ পরিবারের কেউ না হয়েও নীলা নিজের থেকে রক্ত দিয়ে বাঁচাতে চায় অঞ্জন বাবুকꦜে। যদিও তার প্রয়োজন পড়েনি। কারণ তার আগেই দিপু তার বাবাকে নিজের রক্ত দেয়। কারণ বাবার প্রাণ রক্ষা করাই তার একমাত্র লক্ষ্য।
আরও পড়ুন: ৪৫০ কোটি থেকে স꧑ামান্যই দূরে! ১২তম দিনে জন্মাষ্টমীর ছুটিতে কত আয় করল স্ত্রী ২
'বসু পরিবার' ধারাবাহিকের গল্প সম্পর্কে
বসু পরিবারের কর্তা হল অঞ্জনবাবু। মেগার টিজারেই দ🌞েখানো হয়েছিল কিছুদিনের মধ্যেই কাজ থেকে অবসর নেবে সে। কিন্তু তা নিয়ে তার বিন্দুমাত্র ভাবনা নেই, কারণ সে বিশ্বাস করে তার ছেলেমেয়েরাই তাকে দেখবে অবসর জীবনে। তাই নিজের শেষ ফিক্সড ডিপোজিট ভাঙিয়ে হীরের গয়না করে দেয় তাদের। প্রতি মাসের মাইনে পেলেই ছেলে-মেয়েদেরকে শখ মেটাতে দামী দামী জিনিস কিনে দেন। অথচ তার ছেলে মেয়েরা সকলেই ভাল চাকরি করে, নিজেরা জীবনে প্রতিষ্ঠিত, নিজেদের আর্থিক সঙ্গতিও রয়েছে যথ🤡েষ্ট, তবুও বাবার থেকে সবটা নিতে তাদের বাধে না, কারণ সেটাই তাদের কাছে সাধারণ ব্যাপার।
আরও পড়ুন: আলিম হাকিমের জন🌸্মদিনে শাহিদ-ইমতিয়াজ একসঙ্গে! নতুন কাজের হদিশ কী মিলল?
অন্যদিকে, তাদের সেইসব শখ মেটাতে কখনওই কসুর করে না অঞ্জনবাবু দামী ঘড়ি থেকে বিমানের টিকিট, এমন কত কী! এদিকে নিজের দিকে তার খেয়াল পর্যন্ত নেই, নিজের ভাঙা চশমা সারানোর জন্য এক নয়া পয়সা ❀পর্যন্ত রাখেনি সে। অবশেষে তার স্ত্রীই তাকে মনে করিয়ে দেয়, যে এই বিলাসিতার দিন ফুরাচ্ছে আসতে আসতে। কারণ অবসরের পর কী হবে তাঁদের ভবিষ্যৎ? ছেলেমেয়েদের উচ্চশিক্ষিত করে গর্বিত অঞ্জনবাবুর ভরসা যে শেষ জীবনে তারাই দেখবে বাবা-মাকে। কিন্তু সেটা কি আদেও হবে? তা নিয়ে অবশ্য একটা বড় প্রশ্ন থেকেই যায়।