জীবনযুদ্ধে তাঁরা হারার পরিไস্থিতিতে পৌঁছেও জিতে গেছেন, বাস্তব জীবনের ‘বাজিগর’ মৈনাষা, পম্পারা। কলকাতার অ্যাসিড আক্রান্ত এই তরুণীদের সঙ্গে বেশ খানিকটা সময় কাটালেন শ🌳াহরুখ, দিলেন জীবনযুদ্ধে এগিয়ে যাওয়ার টোটকা। সেবামূলক কাজের সঙ্গেও যুক্ত শাহরুখ, এমনটা কারুর অজানা নয়। অভিনেতার মীর ফাউন্ডেশন দীর্ঘদিন ধরে অ্যাসিড আক্রান্তদের সমাজের মূলস্রোতের সঙ্গে জোড়ার কাজ করে চলেছে।
বৃহস্পতিবার কেকেকআরের ম্যাচের জন্য কলকাতায় হাজির হয়েছিলেন বাদশা। পরদিন বিকালে শহর ছাড়েন শাহরুখ। শুক্রবার সকালে তিনি কেকেআরের হোটেলেই আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন সেইসব মানুষগুলোকে যাঁরা জীবনের সব প্রতিকূলতাকে ফুঁ দিয়ে উড়ি🧸য়ে এগিয়ে চলেছেন। প্রেম প্রত্যাখান করায় অথবা কাছের মানুষদের ছোঁড়া অ্যাসিডেই শরীর ও মনে ক্ষত তৈরি হয়েছে এঁদের। কিন্তু হার মানেননি তাঁরা। এদিন শাহরুখের দেখা মিলল ধসূর রঙা শার্ট এবং ব্লু ডেনিমে, চোখ রোদ চশমা।🐎 হাসিমুখে সবার হালহাকিত জানলেন, খোঁজ নিলেন কীভাবে সাহায্যের হাত আরও সুদৃঢ়ভাবে বাড়িয়ে দিতে পারেন তিনি। গল্প-গুজব শেষে চলল দেদার ছবি তোলবার পালা। প্রত্যেক অ্যাসিড আক্রান্ত তরুণীর সঙ্গে আলাদা-আলাদাভাবে ছবির জন্য পোজ দেন পাঠান। স্বভাবতই শাহরুখে মুগ্ধ নেটপাড়া। ফ্যান পেজের দৌলতে ছড়িয়ে পড়েছে সেইসব ছবি।
এক শাহরুখ ভক্ত লেখেন, ‘একটাই তো মন কতবার জিতবে?’ অপর একজন লেখেন, ‘শুধু বড়মাপের অভিনেতা নয়, শাহরুখ খান একজন বড়মাপের মানুষ। এইজন্যই তো তোমায় এত ভালোবাসি’। জি চব্বিশ ঘন্টাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অ্যাসিড আক্রান্ত পম্পা জানান, ‘স্যার আমাকে জ🍌িজ্ঞাসা করেন আমি কী করি? যখন ব🐻ললাম, কুকিং করি, উনি বললেন, ‘আচ্ছা, আমি তোমার থেকে রান্না শিখব’। অপর অ্যাসিড আক্রান্ত সুনীতা বলেন, ‘স্যার আমাদের মন্নতে লাঞ্চের জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। আমি তো বলেছি, শুধু লাঞ্চ নয় ব্রেকফাস্টও আপনার সঙ্গে করব’।
বছর খানেক আগেই অ্যাসিড আক্রান্ত বঙ্গকন্যা সঞ্চয়িতার বিয়ে দিয়েছিলেন শাহরুখ।ℱ মীর ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে নানারকমভাবে কলকাতার অ্যাসিড আক্রান্তদের পাশে রয়েছেন অভিনেতা। এদিনও সেই অঙ্গীকারই করলেন তিনি।