শিল্পীদের হাসিমুখে দেখতেই অভ্যস্ত দর্শক। তবে অনেকসময় তাঁদের মনেও অনেক ঝড় বয়ে যায়, তারপরেও হাসিমুখেই তাঁরা পারফর্ম করেন, ক্যামেরায় পোজ দেন, স্টেজে 👍ওঠেন। সম্প্রতি তেমনই যন্ত্রণার কথা জানালেন সঙ্গীতশিল্পী শান। আর এই যন্ত্রণা উস্তাদ রাশিদ খানের সঙ্গে শেষবার না দেখ🌱া হওয়ার। তাঁর অকালেই চলে যাওয়ার। মনে থেকে যাওয়া সেই কষ্ট যন্ত্রণার কথায় সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন শান।
গত ৯🌺 জানুয়ারি কলকাতায় যখন উস্তাদ রাশিদ খান শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। আর সেদিন সেসময় শান তখন ছিলেন বেঙ্গালুরুতে। স্টেজ শ♛ো করতে গিয়েছিলেন। আচমকা রাশিদের মৃত্যুর কথা জেনে ভারাক্রান্ত মন নিয়েই সেদিন স্টেজে উঠে গান গেয়েছিলেন শান। তাঁর গলায় শোনা গিয়েছিল ‘আওগে যব তুম সাজনা’। যে গানটি ‘যব উই মেট’ ছবির জন্য গেয়েছিলেন উস্তাদ রাশিদ খান। সেদিন অগ্রজ রাশিদকে শ্রদ্ধা জানিয়ে, তাঁর আত্মার শান্তি কামনা করে গানটি গেয়েছিলেন শিল্পী। তবে বুকে কান্না চেপে গান গাওয়াটা মোটেও সহজ নয়।
শান সোশ্যাল মিডিয়ায় রাশিদ খানের কিছু মুহূর্তের ছবি এবং সেইসঙ্গে সেদিন উস্তাদকে শ্রদ্ধা জানিয়ে তাঁর সেই গানের কোলাজ ভিডিয়ো 🎃শেয়ার করেছেন। লিখেছেন, ‘বহুত ভরি দিল লেকার কয়ি বার শিল্পী কো পারফর্ম করনꦉা হোতা হ্যায় … কাভি উস দর্দ কো আপনি দর্শক কে সাথ শেয়ার করো তো মন হালকা জো জাতা হ্যায় .. (অনেকসময় মনে দুঃখ চেপে ধরে শিল্পীদের গান গাইতে হয়, তবে দর্শকদের সঙ্গে সেই দুঃখ ভাগ করে নিলে অনেক সময় সেই কষ্ট কিছুটা লাঘব হয়।) তারপরে আপনি গান চালিয়ে যেতে পারবেন। ৯ই জানুয়ারি বেঙ্গালুরু থেকে একটি মুহূর্ত শেয়ার করছি... ওস্তাদ রশিদ খান সাবের আত্মা শান্তিতে থাকুক... । তবে ওঁর সঙ্গীতের উত্তরাধিকার বয়ে চলবে এবং লক্ষ লক্ষ মানুষের হৃদয়কে প্রশমিত করবে ..।’
জানা যাচ্ছে, বহুদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন উস্তাদ রাশিদ খান। প্রস্টেট ক্যানসারে আক্রান্ত ছিলেন তিনি। চিকিৎসা চলছিল। তারপর কিছুদিন আগে তাঁর মস্তিস্কের রক্তক্ষরণ হয়। এরপর গত ৯ জানুয়ারি মৃত্যু হয় উস্তাদ রাশিদ খানের। কলকাতায় গান স্যালুট দিয়ে শ্রদ্🎐ধা জানানো হয় উস্তাদকে। এরপর তাঁর জন্মভিটে উত্তরপ্রদেশের বদায়ূঁতে নিয়ে যাওয়া হয় রাশিদকে। সেখানেই🅷 তাঁকে সমাধিস্থ করা হয়েছে।