দেব আনন্দের জন্মশতবার্ষিকী। ১৯২৩ সালে জন্মেছিলেন তিনি। কিছুদিন আগেই তাঁর জন্মবার্ষিকী গেল। 𒊎তাঁকে নিয়ে তাঁর স্ত্রী সহ সহ অভিনেতারা অনেকেই স্মৃতিচারণ করেছেন। এবার শেখর কাপুরকেও🅰 তাঁকে নিয়ে কলম ধরলেন শেখর কাপুর।
হিন্দুস্তান টাইমসের হয়ে তিনি একটি লেখায় লেখেন, 'তখন ১৯৭০ এর শুরুর দিক। আমি আমার চার্টার্ড অ্যাকাউন্টের চাকরিটা তখন ছেড়ে দিয়েছি। আমার বয়স তখন কত হবে, ২০ এর আশেপাশে। আমি তখন বুঝে উঠতে পারছিলাম না যে আমার কী করা উচিত। কী করব আমি। আমার তো ধরেই নিয়েছিলেন যে আমি হয়তো হিপ্পি হয়ে যাব। তাই আমার মা তখন দেব মামাকে (শেখর কাপুরের মা শীল কাপুর ছিলেন দেব আনন্দের বোন) বলে যে উনি যদি আমার কোনও একটা কাজের ব্যবস্থা করেন ওঁর ছবিতে।' এরপর তিনি জানান যে তিনি যখন ইশক ইশক ইশক ছবিতে কাজ করতে শুরু করেন তখন এই বিষয়টা, কাজটা🌼 তাঁর ভালো লেগে যায়। কারণ গোটা ছবিটায় মোটামুটি পাহাড়, ছোট গ্রাম, নেপালের ইতিউতিতে শুট করা হয়েছিল। 'দেব মামা তখন ওই ৫০ বছর বয়সে এসেও একা একাই কতটা চলে যেতেন হেঁটে✅। আমরা সবাই হাঁপিয়ে গেলেও উনি দাঁড়াতেন না। উনি খুব অ্যাডভেঞ্চার ভালোবাসতেন। আমি ওঁর সঙ্গে খুব মিল পেয়েছিলাম আমার, শুধু উনি জানতেন উনি কী করতে চান জীবনে, আমি জানতাম না। ফারাক এটুকুই ছিল', তাঁর লেখায় জানান শেখর কাপুর।
মামার কথা প্রসঙ্গে বꦜলতে গিয়ে দেব আনন্দের চরিত্রের আরও একটি দিক মনে করেন তিনি। জানান উল্লিখিত ছবিটা ফ্লপ করে। তখন প্রাথমিক ভাবে নাকি ভীষণ ভেঙে পড়েছিলেন অভিনেতা। বাথরুমে এরপর নিজের সঙ্গে কিছু সময় কাটিয়ে যখন বেরোন তখন হাসি মুখে এসেছিলেন। সেই কথা মনে করে শেখর কাপুর বলেন, 'এটা ওঁর থেকে শিক্ষণীয় বিষয় ছিল একটা।'
আরও পড়ুন: 'জুনিয়র আর্টিস্টদের জন্য...' দেব আনন্দের মানবিক রূপ বারবার ধꦛরা পড়েছিল দিলীপ কুমারের লেখায়
শেখর কাপুরের লে♉খায় উঠে আসে কীভাবে দেব আনন্দের হাত ধরেই অনেক ছোট বয়সে তাঁর সঙ্গে রাজ কাপুর, মধুবালার আলাপ হয়। দেখা হয়।
স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে তিনি লেখেন, 'উনি চ𒐪িরসবুজ। আর তাই থাকবেন। ও⭕ঁর ছবি ভালো হোক, মন্দ হোক যাই হোক উনি কখনও ছবি বানানো থামাননি। সিনেমার প্রতি ওঁর যে টান, ভালোবাসা ছিল সেটাই যেন তাঁকে দিয়ে এগুলো করাত। এমনকি মৃত্যুর সময়ও তিনি একটি স্ক্রিপ্ট লিখছিলেন। শেষ সময় তাঁর হাতে সেই স্ক্রিপ্ট লেখার খাতা ধরা ছিল।'