গত বছরই আয়েশা মুখোপাধ্যায়ে𝄹র সঙ্গে আইনি বিচ্ছেদ হয়েছে ক্রিকেটার শিখর ধাওয়ানের। দীর্ঘদিন ধরে শিখরের উপর মানসিক নির্যাতন চালানোর অভিযোগ ছিল শিখরের প্রাক্তন স্ত্রী আয়েশার বিরুদ্ধে। সেই ভিত্তিতেই গত বছর শিখর ধাওয়ানের বিবাহ-বিচ্ছেদের আবেদনে সম্মতি প্রকাশ করে দিল্লির এক আদালত। তবে💖 বিবাহ-বিচ্ছেদের পর প্রায় ৬মাসেরও বেশি সময় ধরে ছেলের সঙ্গে দেখা হয়নি শিখর ধাওয়ানের।
সম্প্রতি ই-টাইমসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এবিষয়ে মুখ খুলেছেন শিখর ধাওয়ান। জানিয়েছেন প্রায় ৬মাস হল ত𓆏িনি নিজের ছেলে জোরাবরের মুখই দেখেননি। শিখর ধাওয়ানের ছেলে এখন মা আয়েশার সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ায় থাকে।
প্রসঙ্গত গত ডিসেম্বরে, সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে, শিখর ধাওয়ান ছেলের উদ্দেশ্যে লিখেছিলেন, ‘আমি তোমাকে সামনে থেকে দেখেছি প্রায় এক বছর হয়ে গেছে। গত তিন মাস ধরে, আমাকে সব জায়গা থেকে ব্লক করা হয়েছে তাই তোমাক♏ে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাতে সেই একই ছবি পোস্ট করছি, আমার পুত্র, শুভ জন্মদিন (sic)’। এর আগে🔯 গত এপ্রিলের শুরুতে, তিনি তাঁর ছেলের সঙ্গে আরেকটি ছবি পোস্ট করে লিখেছিলেন, ‘তুমি সবসময় আমার সঙ্গেই আছো, আমার পুত্র।’
সেবার ছেলেকে নিয়ে নিজের পোস্টে আবেগতাড়িত হয়ে পড়েছিলেন শিখর ধাওয়ান। সম্প্রতি ব্যক্তিগত জীবন, ছেলের সঙ্গে বিচ্ছেদ প্রসঙ্গে ই-টাইমসকে শিখর বলেন, ‘যদি কেউ আমাকে আমার ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কে জ🌱িগ্গেস করে, আমি তাঁদের যতটুকু বলতে পারি তা বলি। তবে হ্যাঁ, আমি কখনওই জনসমক্ষে কোনও নোংরা কথা বলব না। ‘ম্যায় কাভি কিসি কি বুরাইয়াঁ করনে না আউঙ্গা। জো বাতা সাক্ত হুঁ, ও জারুর বাতাউঙ্গা।’জনসমক্ষে আমি কারুর কখনও নিন্দে করব না। যতটুকু বলার ততটুকুই বলব। উদাহরণস্বরূপ, শিখর ধাওয়ান বলেন ভারতীয় (ক্রিকেট দলের) ড্রেসিংরুমে এমন অনেক কিছু ঘটে। কিন্তু এখন আমি খেলছি না, তার মানে এই নয় যে আমি সেই জিনিসগুলো ফাঁস করব। এটা আমার নৈতিকতার পরিপন্থী।'
ছেলেকে হারিয়ে ফেলা প্রসঙ্গে শিখর ধাওয়ান বলেন, ‘ছেলের প্রতি বাবার অনুভূতি থাকাটা স্বাভাবিক। ঈশ্বর আমাকে একটা প্ল্যাটফর্ম দিয়েছেন এবং লোকজন আমাকে ভালবাসেন। তাই আমি যদি সেখানে খোলামেলা ক♓থা বলি, আমার অভিজ্ঞতা জানাই, তাতে যদি কারোও উপকার হয়, তাহলে তার থেকে ভালো আর কী হতে পারে! কেয়া বাত এমন অনেক বাবা আছেন 🐼যাঁরা তাঁদের সন্তানদের সঙ্গে দেখা করতে পারেন না। আমার অভিজ্ঞতা অনেক বাবাকেই অনুপ্রেরণা যোগাতে পারে। যদিও আমি নেতিবাচকতা ছড়াতে চাই না। আমি যখন আমার বিয়ের কথাও বলেছিলাম, তখন আমি স্বীকার করেছিলাম যে আমি অনভিজ্ঞ। এবিষয়ে খোলামেলা কথা বললে হয়ত এটা থেকে আরও অনেক ছেলে শিক্ষা নেবে।’
শিখর ধাওয়ান জানান, এই 🎃মুহূর্তে তাঁর জীবনে কোনও মহিলা নেই, তবে তিনি 𝕴অখুশি নন। তবে শিখর ধাওয়ানের কথায়, তিনি মানুষের ভালোবাসা পেয়েছেন, তাই তিনি সুখী।
প্রসঙ্গত ফেসবুকে আলাপ, পরবর্তী সময়ে দুই মেয়ের মা আয়েশা মুখোপাধ্যায়কে বিয়ে করেছিলেন শিখর ধাওয়ান। ২০১২ সালে বিয়ে হয় তাঁদের। ২০১৪ সালে জন্ম হয় শিখর ও আয়েশার ছেলে জোরাবরের🅘। এরপর ২০২১ সালে তাঁদের বিবাহ-বিচ্ছেদ হয়। আদালতে স্ত্রীর প্রতি মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ এনেছিলেন শিখর ধাওয়াল। যে অভিযোগ আদালতে প্রামণিত হওয়ার পর আদালত এই বিবাহ-বিচ্ছেদের আবেদনে সম্মতি দেয়।