𓄧 আরজি কর আবহে সেপ্টেম্বর মাসে কলকাতার কনসার্ট পিছিয়ে দিয়েছিলেন শ্রেয়া ঘোষাল। প্রায় দু মাস পর, কলকাতায় পা রাখলেন বাংলার এই গায়িকা। তবে স্টেজে উঠেও তাঁর গলায় প্রতিবাদের সুর।
🌺১৪ সেপ্টেম্বর কলকাতায় শ্রেয়া ঘোষালের কনসার্ট করার কথা ছিল। কিন্তু সেই সময় তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে জানান, ‘কলকাতার বুকে যে বর্বর এবং পাশবিক ঘটনা ঘটেছে সেটার জন্য আমি ভীষণ ভাবে দুঃখিত। আমি একজন মহিলা হয়ে মেয়েটার সঙ্গে আচরণ করা হয়েছে, যে বর্বরতার শিকার হয়েছে সে সেটা ভাবলেই যেন শিরদাঁড়া দিয়ে হিমস্রোত বয়ে যাচ্ছে। তাই ব্যথিত হৃদয় এবং অত্যন্ত মনোকষ্ট নিয়ে জানাচ্ছি যে আমি এবং ইশক এফএম আমাদের কনসার্ট শ্রেয়া ঘোষাল লাইভ, অল হার্টস ট্যুর ইশক এফএম গ্র্যান্ড কনসার্ট পিছিয়ে দিচ্ছি। এটা আগে ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪-এ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। এবার এটা অক্টোবর মাসে হবে।’
🔜এবার দেখা গেল, ১৯ অক্টোবর স্টেজে উঠে প্রতিবাদে সরব তিনি। শ্রেয়া গেয়ে উঠলেন, ‘যত ইচ্ছের ভাঙা ডানা, যত গল্প নজরবন্দি / যত সন্ধের যাওয়া মানা, যত রাত্রির অভিসন্ধি / সব মিথ্যের আর ধন্দের, তাই রক্তের সোঁদা গন্ধে / শুধু পৌঁছে যাবে, ঘুচে যাবে, বেঁধে রাখা গণ্ডি / এ যে শরীরের চিৎকার, জাগে ভাঙনের শব্দে / তাই ভাঙে পাড়, ভাসে ঘর, ভাঙে চেনা সূপ্তি’ / এ যে শরীরের চিৎকার, জাগে ভাঙনের শব্দে / তুমি বন্ধু আজ শুনবে…’ সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল গায়িকার এই পারফরমেন্স।
🐓এর আগে শ্রেয়ার অনুষ্ঠান বাতিলের সিদ্ধান্তের প্রশংসা করে তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ লিখেছিলেন, ‘শ্রেয়া ঘোষালের অবস্থানকে সাধুবাদ জানাই। আর জি কর নিয়ে আমাদের সকলের মত তিনিও উদ্বিগ্ন। ১৪ই সেপ্টেম্বরের অনুষ্ঠান পিছিয়ে দিচ্ছেন। পাশাপাশি সারা দেশ ও বিশ্বের মহিলাদের সুরক্ষার কথা বলেছেন। কারণ এই ধর্ষণ-খুনের সামাজিক সমস্যা, অপরাধটা নিয়ে সর্বত্রই প্রতিবাদ দরকার। এটা শুধু বাংলার ইস্যু নয়।’
🎀শ্রেয়ার পারফরমেন্সের ভিডিয়ো শেয়ার করে এক নেটিজেন লিখলেন, ‘এমন প্রতিবাদের নজির আগে কখনও দেখেনি শহর কলকাতা। নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়াম তখন দর্শকে ছয়লাপ। এতবছর ধরে প্রতিটা কনসার্টেই সর্বশেষ গান হিসেবে 'মেরে ঢোলনা' গেয়ে এসেছেন তিনি। কিন্তু এবার তা হলো না। মেরে ঢোলনা গাওয়া শেষ করে শ্রেয়া বললেন, 'এর পরের গানে কেউ হাততালি দেবেন না। শুধু শুনুন।' গান শেষ হতেই একটা কথাও না বলে সোজা মঞ্চ ছাড়লেন শ্রেয়া। সেই সম্পূর্ণ ভিডিওটা রইলো সকলের জন্যে। তিলোত্তমার বুকে প্রতিবাদের স্বরকে তীব্রতর হতে দেখলাম আজ। বেঁচে থাক শ্রেয়া আর ওঁর সঙ্গীত সাধনা।’